You dont have javascript enabled! Please enable it!

ঢাকায় কুয়েতী বিশেষজ্ঞ দল: কয়েকটি বড় প্রকল্পে সাহায্যের আশা

কুয়েত বাংলাদেশের প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনার বেশ কয়েকটি বড় রকমের প্রকল্পে অর্থ যােগাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকায় কর্তৃপক্ষীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এনা এ খবর দিয়েছে।
সূত্রে বলা হয়, কুয়েত বন্যানিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বন্টন প্রকল্পের বাস্তবায়ন, বাখরাবাদ ও চাঁদপুর এবং বাখরাবাদ ও চট্টগ্রামের মধ্যে পাইপ লাইন স্থাপন এবং চট্টগ্রামে একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনে বিশেষভাবে আগ্রহী।
তিন সদস্যের একটি কুয়েতী বিশেষজ্ঞ দল ১৫ দিনের তথ্যানুসন্ধানমূলক সফরে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন। তারা পরিকল্পনা কমিশন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

কুয়েতী বিশেষজ্ঞ
কর্মকর্তাদের সাথে বিস্তারিত আলােচনা করবেন। তাছাড়া কুয়েত যেসব প্রকল্পে অংশগ্রহণে আগ্রহী। তারা সেগুলাের নির্মাণ স্থান ও পরিদর্শন করতে পারেন।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড: মােহাম্মদ ==নেতৃত্বে এই বিশেষজ্ঞ দলটি দেশে ফিরে গিয়ে তাদের সরকারের কাছে রিপাের্ট পেশ করবেন। কুয়েত সরকার রিপাের্টটি বিবেচনা করে দেখার পর সহযােগিতার সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে চিহ্নিত করার জন্য উন্মুক্ত পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বিনিময়সহ পরবর্তী তার কয়েকটি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।[১৬৯]
ছাপাখানা শিল্পে নিম্নতম মজুরী ঘােষিত : ছাপাখানা শিল্পের জন্যে গঠিত বাংলাদেশ নিম্নতম মজুরী বাের্ড সরকারের কাছে কতকগুলি সুপারিশ করেছেন। বাের্ড প্রেস কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, দায়িত্ব, কায়িক পরিশ্রম এবং পেশা গত ঝুঁকির ভিত্তিতে ছাপাখানার সকল কাজকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করেছেন।
এনার এ খবরে বলা হয়, বাের্ড ছাপাখানা শিল্পের কর্মচারীদের যে সর্বনিম্ন বেতন ধার্য করেছেন তা হচ্ছে?
(১) শিল্প এলাকার জন্য (১৯৬৯) সালের নিম্নতম মজুরী (নির্ধারণ)। | নিম্নতম মজুরী : অর্ডিন্যান্সের (২) (গ) ধারা অনুযায়ী দক্ষ কর্মচারী ৩০০ টাকা, আধা দক্ষ কর্মচারী ২৬০ টাকা এবং অদক্ষ কর্মচারী পাবেন মাসিক ২০০ টাকা।
(২) শিল্প এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকার দক্ষ কর্মচারী ২৮০ টাকা, আধা দক্ষ শ্রমিক ২৪০ টাকা এবং অদক্ষ কর্মচারী পাবেন মাসিক ১৯০ টাকা। | বর্তমান সর্বোচ্চ বেতনকে বোের্ড সর্বোচ্চ বেতন বলে গণ্য করবেন না এবং বর্তমান বেতন যদি সর্বনিম্ন বেতন অপেক্ষা বেশি হয়ে থাকে তা হলে তা হ্রাস করা হবে না। নিয়ােগকারী এককভাবে অথবা যৌথভাবে কর্মচারীর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কিংবা বিশেষ এলাকায় জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে উচ্চতর বেতন বা মজুরী দিতে পারবেন।

সূত্র: দৈনিক বাংলা, ২৯ জানুয়ারি ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!