শহরে তিন মাসে ৩ লাখ ভুয়া রেশন কার্ড উদ্ধার
সসামবার পর্যন্ত তিনমাসে রাজধানীতে তিন লাখ ভুয়া রেশন কার্ড উদ্ধার হয়েছে। ঢাকা রেশনিং কন্ট্রোলার দফতর সূত্রে এ-তথ্য জানা গেছে।
সিডিআর দফতর সূত্রে আরও জানা গেছে যে, ভূয়া রেশন কার্ড উদ্ধারের ব্যাপারে একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, যা আইন প্রয়ােগকারী সংস্থাসমূহের সহযােগিতায় কার্যকরী হবে।
উল্লেখ্য, মীরপুর এলাকায় রেশন দফতর ও আইন প্রয়ােগকারী সংস্থার অভিযান চলছে। তিনমাসে মীরপুর এলাকাতেই ৯৭ হাজার ভুয়া রেশন কার্ড উদ্ধার হয়েছে। মীরপুর রেশন এলাকায় ১ লাখ ৭০ হাজার রেশন কার্ড ইস্যু ছিল গত তিন সপ্তাহে ভুয়া রেশন কার্ড উদ্ধার চলছে দ্রুতগতিতে। তিন সপ্তাহে ভুয়া রেশন কার্ড উদ্ধার হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার।
সিডিআর দফতর সূত্রে আরও জানা গেছে যে, বহু সংখ্যক ভুয়া রেশন কার্ডধারীরা রেশন ভােলা থেকে বিরত রয়েছেন। ফলে, আগামী সােমবারের মধ্যে বেশ কিছু ভুয়া রেশন কার্ড স্বাভাবিক নিয়মে বাতিল হয়ে যাবে। পুরােনাে ঢাকায় কয়েকটি রেশন দোকানে পরিদর্শক নিয়ােগ করা হয়েছে। এবং রেশন তােলার সময় সন্দেহ হলে সরেজমিনে তদন্ত করে দেখছেন।
ভুয়া রেশন কার্ড জমা দেওয়ার জন্যে ইতিপূর্বে যেসব তালিকা টাঙানাে হয়েছিলাে তাতে মাত্র দেড় হাজার ভুয়া কার্ড জমা পড়লেও বহু ব্যাপ্তি জমা দেওয়ার বদলে তাদের ভুয়া কার্ড বিনষ্ট করে। ফেলেছে বলে সিডিআর দফতর ধারণা করছেন। উল্লেখ্য করা যেতে পারে যে, ভুয়া কার্ডধারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা সরকার ঘােষণা করেছেন।
আরও উল্লেখ্য, গত আদম শুমারি অনুযায়ী ঢাকা রেশন এলাকায় ১৬ লাখ ৮৮ হাজার লােকের বাস। কিন্তু রাজধানীতে বর্তমানে ২৫ লাখ রেশন কার্ড ইস্যু করা আছে।
গত সপ্তাহে রােববার পর্যন্ত ঢাকার বিধিবদ্ধ রেশনিং এলাকা থেকে ৬০ হাজার ৪শ ২৯টি ভুয়া রেশনকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
গত নভেম্বর থেকে ওই দিন পর্যন্ত এ নিয়ে মোেট রেশনকার্ড বাতিলের সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৩২৮ টিতে দাঁড়াল।
কার্ড উদ্ধার : অভিযান এখনাে চলছে বলে বুধবার এক সরকারী তথ্য বিবরণীতে প্রকাশ।
কুমিল্লা : কুমিল্লা থেকে দৈনিক বাংলার নিজস্ব সংবাদদাতা জানান: কাফু দিয়ে বুধবার কুমিল্লা শহরের উপকণ্ঠে ভুয়া রেশনকার্ড উদ্ধার অভিযান চালানাে হয়। ভাের সাড়ে ৫টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কার্টু বলবৎ ছিল। জেলা প্রশাসন ও খাদ্য দফতরের কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত ২০টি টিম এ অভিযান চালায়।
সূত্র: দৈনিক বাংলা, ৩০ জানুয়ারি ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত