রিলিফ নয়-চাই কৃষি উপকরণ
শুধুমাত্র কাশিমপুর কৃষি খামারের ‘ডেমােনেস্ট্রেটিং স্পটে’র ১৪ একর জমির উৎপাদিত শাকসবজি দিয়ে রাজধানীর তের লাখ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানাে সম্ভব হবে না। কাশিমপুর কৃষি খামার পত্তনের লক্ষ্য অর্জন করতে হলে এই ১৮ একর জমির উৎপাদনের লব্ধ অভিজ্ঞতাকে খামারের আওতাধীন ১৫ হাজার কৃষককে সুষ্ঠুভাবে প্রয়ােগ ও বাস্তবায়নের সুযােগ-সুবিধা দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন পরিচালিত কাশিমপুর কষি খামার পরিদর্শন শেষে একদল সাংবাদিক এই অভিমত পােষণ করেন।
১৯৬৭ সালে রাজধানীর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার শাকসবজির দৈনন্দিন চাহিদা মেটাবার উদ্দেশ্যে এই কৃষি খামার পত্তন করা হয়েছিল। বাংলাদেশে অনুরূপ আরও ৩টি কৃষি খামার রয়েছে। কাশিমপুর কৃষি খামার শাকসবজি বাড়ার হাঁস, মুরগি, গরু পালন ও গম চাষ হয়ে থাকে।
খামারের পরিচালক জানিয়েছেন: ১৯৭৩-৭৪ সালে তারা ঢাকার বাজারে ১৩ হাজার টন শাকসবজি, ৯ লাখ ১৫ হাজার হাঁস-মুরগি, ৯ লাখ ১৫ হাজার ৬শত ডিম, ৪৩০ টন মাছ এবং ৬ হাজার ৩ শত পাউন্ড দুধ বিক্রি করেছেন। খামারের কৃষকগণ জানিয়েছেন, যানবাহন ও হিমাগারের অভাবে তারা উৎপাদিত পণ্যদ্রব্য সুষ্ঠুভাবে বাজারজাত করতে পারছেন না। খামারের হিমাগারটি যন্ত্রাংশের অভাবে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। উল্লেখ্য, কাশিমপুর কৃষি খামারের অধীনে ১৯০টি সমবায় সমিতির মাধ্যমে চাষাবাদ হয়। এই খামারের অধীনে ৫০ হাজার একর জমি রয়েছে। ২০৯ গ্রামের ১৫ হাজার সমবায় কৃষক কাশিমপুর খামার থেকে হাতে-কলমে আধুনিক চাষাবাদের কলাকৌশল শিখে নিজেরা বাস্তবে প্রয়ােগ করেছেন। তাঁদের ভাষায় কাশিমপুর কৃষি খামার আমাদের নতুন পথ দেখিয়েছে। খামার পত্তনের পর এলাকার বহু কৃষক স্বনির্ভরতা অর্জন করেছেন।
সূত্র: দৈনিক বাংলা, ২৪ জানুয়ারি ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত