বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিক ঘটনাবলী
৩১ শে জানুয়ারি ১৯৭২: বাংলাদেশেকে অস্ট্রেলীয় স্বীকৃতি দান।
২১শে এপ্রিল, ১৯৭২: বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার মি: জে এল এ্যালেনের পরিচয় পেশ।
মে, ২৮-২৯, ১৯৭২: বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহামান্য মি: নাইজেল বােয়েনের বাংলাদেশে শুভেচ্ছা সফর। | ২৯ শে মে, ১৯৭৩: ঢাকা বিমান বন্দরে এক অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে ২টি ফোকার ফ্রেন্ডশীপ বিমান দান কারল।
১১ই জুন, ১৯৭৩: বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত জনাব শামসুল হকের ২ দিনের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফর।
২০শে ডিসেম্বর, ১৯৭৩: বাংলাদেশে নিযুক্ত হাই কমিশনার তার সরকারের বাংলাদেশে ৩ লাখ টন গম সরবরাহের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৫-১৮ই জানুয়ারি, ১৯৭৪: অস্ট্রেলিয়ার রিপাট্রিয়েশন মন্ত্রী সিনেটর রােজনান্ড বিশপের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি অস্ট্রেলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর।
২২শে মার্চ, ১৯৭৪: অস্ট্রেলিয়া থেকে ৩ হাজার মুরগীর ছানা বিমানে করে ঢাকা নিয়ে আসা হল।
১৮ই মে, ১৯৭৪: অস্ট্রেলিয়া কর্তৃক বাংলাদেশকে ১৯০ টি ল্যান্ড রােভার প্রদান।
১৬-২২শে জুলাই, ১৯৭৪: অস্ট্রেলিয়াস্থ এশীয় ছাত্র সংগঠনের আমন্ত্রণে বাংলদেশ ছাত্রলীগের ২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের অস্ট্রেলিয়া সফর। তারা এক সেমিনারে যােগদান করেন।
২৯শে অক্টোবর, ১৯৭৪: ৭ সদস্যের একটি অস্ট্রেলীয় পাট-প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর।
৫ই নভেম্বর, ১৯৭৪: বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চক্তি স্বাক্ষর। এ চক্তিধীনে অস্ট্রেলিয়া মজুরী আকারে বাংলাদেশকে ৭৭ হাজার টন গম দেবে। এর মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি গম দেশে এসে পৌঁছেছে। যার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। এই মঞ্জুরীর মধ্যে ৬৭ হাজার টন গম আসবে পূর্বে স্বাক্ষরিত চুক্তিধীনে অস্ট্রেলিয়া সরকারের বার্ষিক সাহায্যের অংশ থেকে। বাদবাকী গম সরবরাহ করা হবে অস্ট্রেলীয় জরুরী সাহায্য (খাদ্য সাহায্য) কর্মসূচী থেকে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালের ৫ই নভেম্বর পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের জন্য প্রায় দু লাখ টন গম মঞ্জুর করেছে-যার মূল্য ৩২ কোটি টাকা।
সূত্র: দৈনিক বাংলা, ১৯ জানুয়ারি ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত