You dont have javascript enabled! Please enable it! 1975.01.16 | যুক্তরাষ্ট্র আরও দেড় লাখ টন চাল দেবে- সার ও বীজের জন্য ৩ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত | দৈনিক বাংলা - সংগ্রামের নোটবুক

যুক্তরাষ্ট্র আরও দেড় লাখ টন চাল দেবে
সার ও বীজের জন্য ৩ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত

বাংলাদেশ এ বছর জরুরী খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও দেড় লাখ টন চাল পাবে। যুক্তরাষ্ট্র এর আগে যে আড়াই লাখ টন খাদ্যশস্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এটা হবে তার অতিরিক্ত। মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসআইডি) প্রধান মি: ড্যানিয়েল এস পার্কার বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের একথা বলেন। গতকাল এনা ও বাসস পরিবেশিত এ খবরে বলা হয় দু’দেশের মধ্যে এ ব্যাপারে দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে মি: পার্কার জানান। এই নতুন সাহায্য ধরে এ বছর বাংলাদেশকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের মােট খাদ্য সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দাঁড়ালাে চার লাখ টনের-যার অর্ধেক হচ্ছে চাল, অর্ধেক গম। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সার ও শস্যবীজ আমদানীর জন্য ঋণ হিসাবে দেবে তিন কোটি ডলার (২৪ কোটি টাকা)। গত ঢাকায় দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক ঋণ চুক্তি বলে এই অর্থ প্রদত্ত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মি: পার্কার এবং বাংলাদেশের পক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এস, সাইফুজ্জামান এই ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর দেন। উল্লেখযােগ্য যে, মি: পার্কার চারদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন। এই ঋণ চল্লিশ বছরে পরিশােধ যােগ্য। এর সঙ্গে ঋণ পরিশােধের জন্য অতিরিক্ত (বাড়তি) সময় থাকবে দশ বছর। অতিরিক্ত সময়ে সুদের হার থাকবে শতকরা দু’ভাগ এবং এর পরে থাকবে তিন ভাগ। এ ঋণের অর্থ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশ মােটামুটি ভাবে ১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের ইউরিয়া, ১ কোটি ৩০ লাখ ডলারের ট্রিপল সুপার ফসফেট, ২৬ লাখ ডলারের গম বীজ ও ১৪ লাখ ডলারের অন্যান্য বীজ কিনবে। এক প্রশ্নের জবাবে মি: পার্কার জানান, মার্কিন সরকার বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের জন্য সাহায্য দেবে। মার্কিন এআইডি প্রধান এর আগে খাদ্যমন্ত্রী জনাব আবদুল মােমিন ও পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং পরে বিকেলে কৃষিমন্ত্রী জনাব আবদুস সামাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।

সূত্র: দৈনিক বাংলা, ১৬ জানুয়ারি ১৯৭৫
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৫ – অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেনু সম্পাদিত