মৌলানা আজাদের ভবিষ্যদ্বাণী-
ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ত্যাগ এবং রাষ্ট্র গঠন একান্ত অবাস্তব। ইহা হইতে বিরত থাকার জন্য মিঃ জিন্নাহ ও অন্যান্যদের কাছে আকুল আবেদন জানাইয়া ব্যর্থ হইয়াছি।
ভাবীকালের ঘটনাবলী ও ইতিহাস বলিয়া দিবে কাহার বা কাহাদের মুক্তি বাস্তব ছিল। (৫ই জুলাই, ১৯৪৭ ইংরেজী)
ভারতের তিন নেতার ভবিষ্যদ্বানী প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী
“ভারত কাহারাে হুমকীতে, কাহারাে চোখ রাঙ্গানীতে ভয় করিবে না, ভারত তাহার নীতিতে অবিচল থাকিয়া যুদ্ধ চালাইয়া যাইবে এবং চূড়ান্ত বিজয় ভারতেরই হইবে।”
দেশরক্ষা মন্ত্রী শ্রীজগজীবন রাম—
“যদি ভারতকে যুদ্ধ করিতেই হয় তাহা হইলে ভারত পাকিস্তানের মাটীতেই যুদ্ধ করিবে এবং সে যুদ্ধে ভারতই জয়ী হইবে।”
শিল্পমন্ত্রী জনাব ময়ীনুল হক চৌধুরী-
“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরকে বিচারের প্রয়ােজন হইবে না। বিচারের সম্মুখীন হইতে হইবে জঙ্গীনায়ক এহিয়া খানকেই।”
হায় হায় এয়াহিয়া খান
এই দাম্ভিক ডিক্টেটার লক্ষ লক্ষ বাঙালীর জল্লাদ রূপে; পাকিস্তান রাষ্ট্রের ধ্বংসকারীরূপে আজ কাঠগাড়ার বিচারাধীন আসামী।
বাংলাদেশ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর আবেদনে যে ব্যঙ্গ ভরে বলিয়াছিল “এই মহিলা (This woman) আবার কে?” সেই মহিয়সী মহিলার জোয়ানরা দশ দিনেই ঐ জল্লাদের বিষদাঁত ভাঙ্গিয়া দিয়াছে। খােদ পাকিস্তানেই তাহার চরম বিচার সুরু হইয়াছে। ছি! ছি! সাম্রাজ্যবাদের গােলাম এহিয়াখান।
সূত্র: আজাদ, ২২ ডিসেম্বর ১৯৭১