করিমগঞ্জ মহকুমায় ব্যাপক নাশকতামূলক প্রচেষ্টা
দুইজন ছাত্র হাতেনাতে গ্রেফতার
গত ২৭ শে আগষ্ট মহকুমা পুলিশ অফিসার শীতামুলীর নিজস্ব গােপন সূত্রের সংবাদ পাইয়া সেরালীপুর কেম্পের ৫ জন পুলিশ কনষ্টেবল সর্বশ্রী, পদ্মলাল নমঃশূদ্র, নন্দকুমার পাল, ক্ষীরােদচন্দ্র দে, মােহিতলাল চক্রবর্তী ও মান কুমার নাথ সদ্য পাকিস্তানাগত দুইজন পাকগুপ্তচরকে দুইটী ১০ কেজি ওজনের পাকিস্তানী মার্কা মাইন সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। সংবাদ পাইয়া মহকুমাধিপতি ও পুলিশ অফিসাররা অকুস্থলে উপস্থিত হন।
ধৃত গুপ্তচরদ্বয়ের একজন শ্রীগৌরী নৈখাই গ্রামের মঈন উদ্দীন ও অপরজন শ্রীগৌরী হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র।
এইখানে উল্লেখযােগ্য যে ১৮ জন ভারতীয় নাগরিক পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তি ও নাশকতামূলক কার্য্য প্রশিক্ষনোণীর জন্য গিয়াছে বলিয়া ইতিপূর্বে একটা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এবং উল্লিখিত যুবকদ্বয় সেই দলের বলিয়া সন্দেহ করা হইতেছে।
গত ৫ই সেপ্টেম্বর রবিবার করিমগঞ্জ মহকুমাধীপতি অফিসের সম্মুখে অবস্থিত মসজিদের পুকুর হইতে একটী মাইন ও দুইটী গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। প্রকাশ মসজীদ সন্নিকটস্থ চা-স্টলের ছােট একটী ছােট একটি ছেলে স্নান করিতে নামিলে ঐ জিনিসগুলি তাহার পায়ে ঠেকে। উপরে তুলিয়া আনিলে গামছায় বাঁধা অবস্থায় জিনিষগুলি পায়। ঐ জিনিষগুলি সহ ছেলেটা মসজিদের বাহিরে আসিলে নিরাপত্তা বাহিনীর একজন লােকের উহা দৃষ্টিগােচর হয় এবং উহা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই প্রসঙ্গে এখনও কাহাকেও গ্রেপ্তার করা হয় নাই। বিষয়টী সহরাঞ্চলে বিশেষ উত্তেজনার সৃষ্টি করিয়াছে।
সূত্র: দৃষ্টিপাত, ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭১