You dont have javascript enabled! Please enable it!

পূর্ববঙ্গে পাকিস্তানী জঙ্গীশাহীর বর্বরতা
কাছাড় চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সভায় তীব্র নিন্দা

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক স্বাধিকার অর্জনের জন্য তথাকার জনসাধারণের আন্দোলনকে দমন করিবার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী মিলিটারী শাসন যন্ত্র যেভাবে ব্যাপক বােমাবর্ষণ ও আধুনিক মারণাস্ত্র দ্বারা গণহত্যা করিয়া চলিয়াছে কাছাড় চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভায় তাহার তীব্র নিন্দা করিয়া বলা হয়, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ নিরীহ নারী ও শিশুসহ নিরস্ত্র জনসাধারণকে দিনের পর দিন নির্মমভাবে অত্যাচার ও হত্যা করিয়া পাকিস্তানের মিলিটারী শাসন বিশ্ব মানবিকতার আদর্শকে লঙ্ঘন করিয়াছে। মানব ইতিহাসে এরূপ জঘন্য ও ঘৃণ্যতম কাজের নজীর অদ্যাবধি দৃষ্ট হয় নাই। বিশ্বের সর্বত্র এই ব্যাপক অত্যাচার ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠিয়াছে। আধুনিক বিশ্বে এরূপ জঘন্যতম কাজ অনুষ্ঠিত হইতে দেখিয়া আজ বিশ্ববাসী সকলেই স্তম্ভিত। ভারত সীমান্তে এই রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম প্রতিটি ভারতবাসীকে শুধু বিচলিতই করে নাই, অত্যাচারী শাসকগােষ্ঠীর এরূপ নির্মম অত্যাচার ও গণহত্যা বাংলাদেশের জনসাধারণের প্রতি প্রত্যেক ভারতবাসীর উপর একটি নৈতিক দায়িত্ব আনিয়া দিয়াছে। সভার মতে ভারতবাসী এই ব্যাপারে নীরব দর্শক হইয়া থাকিতে পারে না। উক্ত সভা ভারত সরকার ও বিশ্বের সকল রাষ্ট্রকে বাংলাদেশের জনসাধারণকে সর্ব প্রকার সহানুভূতি ও সাহায্য প্রদান করতঃ তাঁহাদের রক্ষা করিতে আবেদন জানাইতেছে এবং জেলার প্রত্যেক শ্রমিকের এক দিনের মজুরী ত্রাণ তহবিলে সাহায্যার্থে দান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছে।

সূত্র: যুগশক্তি, ৩০ এপ্রিল ১৯৭১

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!