বাংলাদেশের মুক্তি লাভ উপলক্ষ্যে জনসভা
সম্প্রতি সুতারকান্দি ক্লাবের উদ্যোগে সুতারকান্দিতে বাংলাদেশ দিবস উদযাপনকল্পে এক বিরাট মিছিল বাহির হয়। শােভাযাত্রীরা বিভিন্ন ধ্বনি সহকারে সমগ্র সুতারকান্দি এলাকা পরিভ্রমণ করতঃ সুতারকান্দি পঞ্চায়েত অফিসের সম্মুখে ঐদিন এক জনসভায় মিলিত হন। সভায় সভাপতিত্ব করেন লাতু হাই স্কুলের শিক্ষক শ্রী আবদুল হক চৌধুরী বি, এ, বি, টি। প্রধান বক্তা ছিলেন করিমগঞ্জ জিলা যুব-কংগ্রেস সভাপতি মাে. আবদুল বাসিত চৌধুরী। সভার অন্যতম দাবী ছিল অবিলম্বে শেখ মুজিবের মুক্তি দান।
স্বাধীন সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তিলাভকে স্বাগত জানিয়ে রাতাবাড়ী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্রীমদনমােহন মুখার্জির সভাপতিত্বে সম্প্রতি কাজিরবাজারে এক বিরাট জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের শিল্পী শ্রীসুবিনয় চক্রবর্তী সভায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে সভার উদ্বোধন হয়। সভায় বক্তারা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের বিভিন্ন দিক পৰ্য্যালােচনা করেন। শ্ৰীআক্ৰম আলীর প্রস্তাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্বর্গত আত্মার সদগতি কামনা করে দুই মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়ে অবিলম্বে শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি এবং ইয়াহিয়া খানের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের দাবী জানিয়ে এক প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে আরাে বলা হয় যে, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি চিরস্থায়ী থাকার জন্য সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গৃহীত হউক। সভাপতির ভাষণের পর — স্বাধীন বাংলা জিন্দাবাদ শেখ মুজিব-জিন্দাবাদ শেখ মুজিবের মুক্তি চাই ইন্দিরাজীজিন্দাবাদ প্রভৃতি ধ্বনির মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘটে।
সূত্র: যুগশক্তি, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭১