শিবিরবাসী শরণার্থীদের উপর নির্যাতনের অভিযােগ
গত ২২শে অক্টোবর চরগােলা শরণার্থী শিবিরে শরণার্থীদের সঙ্গে শিবির কর্তৃপক্ষের মনােমালিন্য থেকে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। কয়েকজন শরণার্থীকে বেপরােয়া প্রহার করা হয়েছে বলে অভিযােগ করা হয়েছে। ২৫শে অক্টোবর উক্ত ঘটনার তদন্তের জন্য কাছাড়ের ডেপুটি কমিশনার, করিমগঞ্জের মহকুমা শাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চরগােলায় যান। ১৫ জন শরণার্থীকে অতঃপর গ্রেপ্তার করে করিমগঞ্জ থানায় নিয়ে আসা হয়। থানার লক-আপে এদের ৫ দিন আটক রাখা হয়। প্রথম দিন এদের কোনও খাদ্যদ্রব্যই দেওয়া হয় নি এবং পরের চার দিন শুধু মাত্র চিড়ে দেওয়া হয়েছে বলে প্রকাশ। উল্লেখ করা প্রয়ােজন যে, করিমগঞ্জ থানার লকআপ মনুষ্যবাসের জন্য প্রয়ােজনীয় নিতান্ত প্রাথমিক ব্যবস্থাদিও অনুপস্থিত। অতএব বন্দী এই সমস্ত শরণার্থী পুরাে পাঁচ দিন পর্যাপ্ত দুর্ভোগের মধ্যে প্রায় অনাহারে দিন। কাটিয়েছেন। করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্রীঅরবিন্দ চৌধুরী এবং স্থানীয় যুবকংগ্রেস উক্ত ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবী করেছেন।
সূত্র: যুগশক্তি, ৫ নভেম্বর ১৯৭১