করিমগঞ্জে এখনও শরণার্থীরা আসছেন
করিমগঞ্জ মহকুমায় শরণার্থীদের আগমন এখনও অব্যাহত রয়েছে। এখন রােজ গড়ে এক হাজার শরণার্থী বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসছেন। পাকিস্তানী সেনাদের নৃশংস অত্যাচার ব্যতীত অর্থনৈতিক ভাঙ্গনবশতঃ কর্মহানিও শরণার্থী আগমনের একটি কারণ।।
গত সপ্তাহে করিমগঞ্জ মহকুমায় যে সব শরণার্থী এসেছেন, তাদের অনেকেই চা-শ্রমিক, মুক্তিফৌজের আক্রমণে সম্প্রতি সােনাতলা, দিলখুশ, খুরমা, ধামাই সহ সিলেটের অনেকগুলি চা-বাগান কারখানা ধ্বংস হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৪ হাজার চা-শ্রমিক লাতু, পাথারিয়া ও কুকিতল হয়ে করিমগঞ্জ মহকুমার বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
জুন পর্যন্ত করিমগঞ্জ মহকুমার রেজিষ্ট্রিকৃত শরণার্থীদের সংখ্যা ৭৪৬৯৩। এদের মধ্যে ৩০১৯৩ জন। ৪৫টি শিবিরে রয়েছেন। দাসগ্রাম, পাথু, চরগােলা ও সােনাখিরার আধাস্থায়ী শিবিরে আছেন ৮০১৭। শরণার্থীদের স্থান সঙ্কুলানের জন্য সরকার ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬০০ আধাস্থায়ী ঘর করিমগঞ্জ মহকুমায় নির্মাণ করছেন।
সূত্র: যুগশক্তি, ৯ জুলাই ১৯৭১