You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুখ্যমন্ত্রী সকাশে বাংলাদেশ ত্রাণ কমিটী

করিমগঞ্জ বাংলাদেশ ত্রাণ কমিটীর পক্ষে শ্রীনলিনী কান্ত দাস, শ্রীদক্ষিণা রঞ্জন দেব ও শ্রীননীগােপাল স্বামী গত ৮ই তারিখ শরণার্থী সমস্যা সম্পর্কে শিলং-এ আসামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমহেন্দ্র মােহন চৌধুরীর সঙ্গে আলােচনা করেন। শিক্ষায়তনগুলি বন্ধ থাকায় শিক্ষার সমূহ ক্ষতি হইতেছে বলিয়া তাহারা মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি আগামী ২২শে জুলাই মধ্যে শিক্ষায়তনগুলি ভােলার আশ্বাস দেন। শরণার্থীদের প্রাথমিক আশ্রয় দানের জন্য লাতু ও পাথারকান্দিতে অস্থায়ী শিবির নির্মাণ করা হইতেছে বলিয়াও তিনি জানান। করিমগঞ্জ শহরেও অনুরূপ নির্মাণের জন্য তাহারা জোর দেন। স্থায়ী শিবিরগুলাের নির্মাণ কাৰ্য্য পরিচালনার করার উপর বিশেষ গুরুত্ব আরােপ করা হয়। সমগ্র প্রদেশের জন্য একজন মাত্র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের পক্ষে গৌহাটিতে থাকিয়া এইসব কাজের তদারকী করার খুবই অসুবিধা দেখা দিয়েছে। করিমগঞ্জের একজন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র ও তদারকী কর্মচারী নিয়ােগ করিয়া শিবিরের নির্মাণ কাৰ্য্য পরিচালনার জন্য দাবী জানান হয়।
চা-শ্রমিকদের জন্য বাগানের নাচঘরগুলির ব্যবস্থাও ইচ্ছুক শরণার্থীদের আটা সরবরাহ এবং প্রাপ্য টাকার অজুহাতে সরবরাহ যাতে ব্যাহত না হয় সেই দিকে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
মেঘালয় হইতে যে ২৫ হাজার শরণার্থীকে আসামে আশ্রয় দেওয়া হইবে তাহাদের জন্য আবশ্যক জমির ব্যবস্থাও শিবির নির্মাণ করিতে অনুরােধ করা হয়।
হাসপাতালে ঔষধ ও রােগ বীজ নাশক দ্রব্যের অভাব ও যথেষ্ট পরিমাণে শিশু খাদ্য সরবরাহের প্রতিও মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
ত্রাণ কমিটীর দাবীগুলি মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত সহানুভূতির সহিত শােনেন এবং যথাশীঘ্র ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
দৃষ্টিপাত, ১৪ জুলাই ১৯৭১ আসামে ও মেঘালয় রাজ্যে চার লক্ষাধিক শরণার্থী শিলং ৮ই জুলাই একটি সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে যে এখন পর্যন্ত আসাম ও মেঘালয়ে প্রায় সােয়া চার লক্ষ শরণার্থী আসছেন। তবে এদের মধ্যে অনেকেই আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে প্রকাশ।

সূত্র: আজাদ, ১৪ জুলাই ১৯৭১

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!