করিমগঞ্জ মহকুমায় শরণার্থী শিবির
অস্থায়ী শিবিরগুলিতে বসবাসকারী ৬ হাজারেরও অধিক শরণার্থী পরিবারের জন্য মহকুমার পাথু, সােনাখিরা ও চরগােলাতে ৬০০ টী গৃহ নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হইয়াছে। উহার মধ্যে এ যাবত মাত্র ২৮০ টা গৃহ নির্মাণ সম্পূর্ণ হইয়াছে। নবনির্মিত গৃহগুলিতে প্রায় ১২ হাজার শরণার্থীকে এ যাবৎ আশ্রয় দেওয়া হইয়াছে।
বর্তমানে মহকুমায় যে সকল শরণার্থী আছেন এবং যাহাদিগকে এই সকল শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হইবে তাহাদের জন্য কমপক্ষেও ১০০০ টা গৃহের অবিলম্বে প্রয়ােজন। সুতরাং আরাে অধিক মঞ্জুরীর প্রয়ােজন আছে। অথচ যে ৬০০ টা গৃহ নির্মাণের জন্য মঞ্জুর করা হইয়াছে উহার জন্য এখনও অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় নির্মাণকাৰ্য্য আশানুরূপ হইতেছে না। এ শিবিরগুলিতে জল সরবরাহের জন্য পাব্লিক হেলথ বিভাগের উপর নাকি দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু কাৰ্যতঃ তাহারা ব্যর্থতারই পরিচয় দিয়াছেন। সােনাখিরা, চরগােলা প্রভৃতি শিবিরগুলিতে জলের ভয়ানক অসুবিধা দেখা দিয়াছে।
সরকারী মঞ্জুরী না আসার জন্য প্রাপ্য টাকা না পাওয়ায় সরবরাহকারীরা সরবরাহে গড়িমসী করার ফলে শরণার্থীরা মাঝে মাঝে দুর্ভোগের সম্মুখীন হইতেছেন।
ঔষধপত্রের সরবরাহও আশানুরূপ নয়। অবিলম্বে এই সকল অসুবিধা দূর করা না হলে মহকুমার শিক্ষায়তনগুলি কিছুতেই ভােলা সম্ভব নয়।
সূত্র: দৃষ্টিপাত, ১৪ জুলাই ১৯৭১