You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাংলাদেশ ত্রাণ কমিটী শিবির

বহির্ভূত শরণার্থীদের সাহায্য ও শিক্ষায়তনগুলি খালি করার জন্য সরকারের সংগে আলােচনা | যে সকল শরণার্থী আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবের গৃহে আশ্রয় নিয়েছেন তাদেরকে সরকারী সাহায্য দেওয়ার জন্য স্থানীয় বাংলাদেশ ত্রাণ কমিটী প্রথম থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশ ত্রাণ কমিটী এই সম্পর্কে আলােচনা করেছেন।
সম্প্রতী আসামের পুনর্বাসন মন্ত্রী শ্রীযােগেন সইকিয়া ও রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীসাধন রঞ্জন সরকার করিমগঞ্জ আসিলে বাংলাদেশ ত্রাণ কমিটির পক্ষে সভাপতি শ্রী সুরেশচন্দ্র দেব, সহ-সভাপতি শ্রীনলিনী কান্ত দাস ও যুগ্ম সম্পাদক শ্রীদক্ষিণা রঞ্জণ দেব সাক্ষাৎ করেন এবং এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা হয়।
এই আলােচনার পর আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে যারা আছেন তাদের মধ্যে ১৫ হাজার শরণার্থীকে শিবিরে আশ্রয় দিতে তাহারা স্বীকৃত হন। প্রয়ােজনবােধে এই সংখ্যা আরাে বৃদ্ধি করা যেতে পারে বলেও তাহারা আশ্বাস দেন। উপরন্তু মেঘালয় থেকে আরাে ২৫ হাজার শরণার্থীকে আসামে আনা হইতাছে বলিয়াও তাহারা জানান। [ স্কুল কলেজগুলি একবার খালি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার ভর্তি হয়ে যাওয়ার ফলে ছাত্র ও শিক্ষক সাধারণকে খুবই অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ত্রাণ কমিটী অবিলম্বে স্কুল কলেজগুলি খালি করে দেয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এক তার বার্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরােধ জানান। সুদীর্ঘ তার বার্তায় বলা হয় যে, অতিরিক্ত শরণার্থী বিশেষ করে চা শ্রমিকদের আসার ফলে খালি শিক্ষায়তনগুলি পুনরায় ভর্তি হয়ে গেছে যেগুলি সপ্তাহে ২৩ সহস্রাধিক চা-শ্রমিক শরণার্থী করিমগঞ্জ শহরে এসে উপস্থিত হয়েছে।
করিমগঞ্জ শহরের স্কুল কলেজগুলি একবার খালি করে নব নির্মিত শিবিরগুলিতে শরণার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খালি স্কুল গৃহগুলি আবার ভর্তি হয়ে গেছে ৮ই জুন স্কুলগুলি খােলার কথা ছিল কিন্তু আবার ২২ শে তারিখ পর্যন্ত উহা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সূত্র: দৃষ্টিপাত, ৭ জুলাই ১৯৭১

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!