শরণার্থী স্রোত অব্যাহত
পাকিস্তানী সেনাদের অত্যাচার দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সীমান্ত শহর করিমগঞ্জে প্রতিদিনই হাজার হাজার শরণার্থী চলে আসছে। বেশীরভাগ হিন্দু পূর্বেই চলে আসার ফলে বর্তমানে পাক হানাদাররা দলমত নির্বিশেষে মুসলমান বাড়ীগুলিতেও হানা দিতে সুরু করেছে। যে সকল মুসলীম নেতা ও কর্মীরা প্রথম দিকে পাকসেনাদের সাহায্যে লুঠতরাজ গুণ্ডামী রাহাজানি চালিয়েছিল জনসংখ্যা কমে আসার পর অতিলিন্দু পাক সেনারা এবার তাদের উপরই ঝাপিয়ে পড়ছে বলে সীমান্তের ওপার থেকে প্রত্যহই সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। বহু মুসলীম লীগ নেতার বাড়িতে প্রবেশ করে প্রকাশ্যে মেয়েদের শ্লীলতাহানি করে চলেছে। অনন্যোপায় হয়ে এই লুঠবাজ গুণ্ডারাও ভারতে চলে আসছে।
গত সপ্তাহে সহরে এই সকল গুণ্ডাদের কতিপয়কে লুণ্ঠিত শরণার্থী চিনে ফেলে আটক করে।
শ্রীহট্টের চা-বাগানগুলি থেকেও হাজার হাজার শ্রমিক চলে এসে মহকুমার বাগানগুলিতে আশ্রয় নিতে সুরু করেছে। এই জনস্রোত কবে কখন বন্ধ হতে পারে তার কোন হদিস মিলছে না।
সূত্র: দৃষ্টিপাত, ১২ মে ১৯৭১