কলেরার প্রাদুর্ভাব
পূৰ্ব্ববঙ্গ হইতে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী আগমনের সঙ্গে সঙ্গে করিমগঞ্জ শহর অঞ্চলে কলেরার ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়াছে। ইতিমধ্যে জেলার ডেপুটি কমিশনার সমগ্র করিমগঞ্জ মহকুমাকে কলেরা উপদ্রুত এলাকা বলিয়া ঘােষণা করিয়াছেন।
একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মােকাবিলা করিতে যখন আমাদের সরকার এবং জনসাধারণকে হিমসিম খাইতে হইতেছে, ঠিক সময়ে নতুন আরেকটি সমস্যা দেখা দেওয়ায় উহার মােকাবেলা করা কষ্টসাধ্য হইয়া দাঁড়াইয়াছে। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা ইতিমধ্যে শরণার্থীদের সেবার জন্য আগাইয়া আসিয়াছেন। সরকারী তরফ হইতে এবং পৌর প্রশাসনের স্বাস্থ্য বিভাগ এই রােগ প্রতিরােধের জন্য চেষ্টা চালাইয়া যাইতেছে। কিন্তু উহা যথেষ্ট নহে। শহরের নর্দমাগুলি অপরিষ্কার থাকায় ঐগুলি মশা ও মাছির আবাস স্থলে পরিণত হইয়াছে। বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরগুলিতে ব্লিচিং পাউডার সরবরাহের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই।
করিমগঞ্জের মহকুমাশাসক ইতিমধ্যে একটি আবেদন প্রচার করিয়া কতকগুলি জরুরী নির্দেশ পালন করিবার জন্য জনসাধারণকে অনুরােধ জানাইয়াছেন। আমরা উক্ত নির্দেশগুলি পালন করিবার জন্য আবেদন জানাইতেছি। কারণ শরণার্থী আগমনের হার যেভাবে বৃদ্ধি পাইতেছে, তাহাতে পরিস্থিতি আরাে জটিল আকার ধারণ করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে। সেই সঙ্গে সরকারকেও সর্বপ্রযত্নে এই রােগ প্রতিরােধের জন্য সৰ্ব্ব প্রকার ব্যবস্থা অবলম্বন করিবার জন্য আবেদন জানাইতেছি।
সূত্র: যুগশক্তি, ১৪ মে ১৯৭১