সহস্র সহস্র শরণার্থীর আগমন
পূর্ব বাংলার নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে করিমগঞ্জের মত একটী ক্ষুদ্র মহকুমা শহরে হাজার হাজার শরণার্থীর স্রোত বয়ে চলেছে। এ পর্যন্ত ছয় হাজারেরও বেশী শরণার্থী এসেছেন। প্রায় দুই হাজার শরণার্থী ৬টা আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। বাকী সবাই আত্মীয় স্বজনের গৃহে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই উদ্বাস্তু আগমনে এই শহরের অর্থনৈতিক জীবনে একটী বড় রকমের আঘাত হেনেছে। দ্রব্যমূল্য বর্তমানে আকাশচুম্বী বুকিং বন্ধ থাকার কারণে নূতনভাবে মাল আমদানী হচ্ছে না বলেই নাকি পুরানাে মজুত জিনিষের দাম হুহু করে বাড়তে সুরু করেছে। | সরকারী অফিসগুলিতে প্রকৃত পক্ষে কোন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এস ডি ও থেকে আরম্ভ করে নিম্ন পদস্থ কর্মচারী পৰ্য্যন্ত সকলকেই দিবা রাত্র পরিশ্রম করতে হচ্ছে। | বর্তমানে সিলেট শহরটী সম্পূর্ণ জনমানবহীন অবস্থায় পড়ে আছে। শহরের ৫০ হাজারেরও বেশী বাসিন্দা বাড়ীঘর সব ত্যাগ করে যে যেখানে সম্ভব আশ্রয় গ্রহণ করেছেন এবং এই জনতার একাংশ করিমগঞ্জ দিয়ে আসতে আরম্ভ করেছেন। এই শরণার্থীদের মধ্যে ভুগুসিং নামক পশ্চিম পাকিস্তানী পাঞ্জাবী হিন্দুও এখানে এসে পৌঁছেছেন।
সূত্র: দৃষ্টিপাত, ১৪ এপ্রিল ১৯৭১