করিমগঞ্জ সীমান্ত পাকিস্তানী সৈন্যবাহিনী ও গুপ্তচরদের তৎপরতা অব্যাহত
গত ১৩ই নভেম্বর রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে করিমগঞ্জ শহরের অদূরে চরগােলা এলাকায় জবাইনপুরে আসামের কৃষি বিভাগের সারা রাজ্যে প্রথম ও একমাত্র লিফট ইরিগেশনের ইলেকট্রিক পাম্প ও উহার ঘর পাক চরদের প্রােথিত টাইম বােমা বিস্ফোরণের ফলে ধ্বংস হয়ে গেছে। ১৪ই নভেম্বর কুড়িখলা থেকে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মাইন বিস্ফোরণের ফলে লােকটির এই অবস্থা হয়। ১৪ই নভেম্বর রাত্রে জকিগঞ্জ এলাকা থেকে পাক সৈন্যরা ভারতের দিকে গােলাবর্ষণ করলে করিমগঞ্জের উপকণ্ঠে ভারতীয় গ্রাম দেওপুরে মজিদ আলী নামক এক ব্যক্তির মাতা পাক বুলেটে আহত হন। ঐদিন নদী তীরবর্তী এলাকা এবং শহরের কোন কোন স্থানে পাক গােলা এসে পড়ে। এর আগেও দু’দিন পাক সেনারা বিনা প্ররােচনায় করিমগঞ্জ শহর এলাকার ওপর গুলি চালায়।
১৫ই নভেম্বর লাফাশাইল গ্রামে শীতছিয়া খাতুন নাম্মী ভারতীয় মহিলা পাক গুলিতে আহত হয়ে করিমগঞ্জ হাসপাতালে স্থানান্তরিত হন।
সূত্র: যুগশক্তি, ১৯ নভেম্বর ১৯৭১