নাশকতা বন্ধ হউক
পাকিস্তানের জঙ্গী শাসকদল তাহাদের অপকৰ্ম্মাদী চাপা দেওয়ার মতলবে ভারতের সাথে একটা গােলমাল বাঁধাইয়া তােলার জন্য নানা রকমের অপপ্রচার ও উস্কানীমূলক কাজ করিতেছে। তাহারা ভারত সীমান্তে স্থানে স্থানে গােলাগুলি বর্ষণ করিতেছে; ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাসমূহে নাশকতা কাজের জন্য গুপ্তচর পাঠাইয়া ধ্বংসাত্মক কাজ করার চেষ্টায় আছে, ইহা আজ আর গােপন নহে। ত্রিপুরা আসাম ও মেঘালয়ে এযাবত কতিপয় নাশকতামূলক কাজ হইয়াছে। তাহারা সীমান্ত এলাকায় ভারতের অভ্যন্তরে যােগাযােগ ব্যবস্থা বানচাল করার ব্যাপারে সক্রীয়।
কাছাড় ও ত্রিপুরার উপর পাকগুপ্তচর বাহিনী ও পঞ্চম বাহিনী নানাভাবে সক্রিয় থাকিয়া আমাদের দৈনন্দিন যােগাযােগ বিপন্ন করিতে ত্রুটি করিবেনা ইহা বলাই বাহুল্য।
কাছাড় জেলায় অবস্থিত রেল লাইন, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, রেল পুল, ডাক তার সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ যােগাযােগ সৰ্ব্বপ্রযত্নে এবং দক্ষতার সহিত সুরক্ষিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলেরই। এই সকল কাজে পুলিশ, সৈন্যবাহিনী ছাড়াও আমাদের সকলের অপরিসীম দায়িত্ব রহিয়াছে। বেসরকারী সকল স্তরের সংস্থার পরিচালকগণ এই মহকাজে সরকারী প্রশাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযােগীতা করিয়া যথাকৰ্তব্য করিবেন এ বিশ্বাস আমাদের রহিয়াছে।
দেশের দশের ও জাতীর সমষ্টিগত যৌথ স্বার্থের জন্য আমাদের সকলেরই অকৃত্রিম ভাবে দূরদর্শীতার সহিত কাজ করার দায়িত্ব আজ সৰ্বাধিক।
তাহা ছাড়া আমাদের মধ্যে যাহাতে কোন স্তরের নাশকতাকারীর অনুপ্রবেশ ঘটিতে না পারে তৎপ্রতিও সবিশেষ দৃষ্টি রাখা উচিত। অহেতুক গুজব নিবারণ বিষয়ে বা গুজব সৃষ্টির কোন সুযােগ না ঘটার প্রতিও আমাদের অবহিত থাকার প্রয়ােজনীয়তা রহিয়াছে।
সূত্র: আজাদ, ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১