করিমগঞ্জে নাশকতা বিরােধী অভিযান
বিগত ২৩ শে সেপ্টেম্বর করিমগঞ্জ মহকুমাধিপতির আহ্বানে তথাকার মহকুমা পরিষদ হলে স্থানীয় ব্যক্তিদের নিয়া নাশকতা বিরােধী অভিযানের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সৰ্ব্বশী মৌলানা আবদুল জলিল চৌধুরী, এম. এল. এ, আবদুল নূর চৌধুরী, মঈন উদ্দিন চৌধুরী, মইনূল ইসলাম চৌধুরী, রাকেশ চন্দ্র দাস, সুরঞ্জন নন্দী, যামিনী মােহন দাস, ইব্রাহিম আলী, আবদুল রৌফ চৌধুরী প্রভৃতি বিশিষ্ট নেতৃবর্গ আলােচনায় অংশ গ্রহণ করেন।
সভার প্রারম্ভে মহকুমাধিপতি শ্রীইন্দ্রজি গুপ্ত সভার উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানী শাসক চক্র আমাদের দেখে গুপ্তচর পাঠিয়ে নাশকতামূলক কাজ চালানাের চেষ্টা করছে।
এই সকল নাশকতামূলক কাজ রােধ করার জন্য শাসন বিভাগে সর্বদা সজাগ করেছেন। কিন্তু জনগণের সাহায্য ছাড়া এই সকল কার্যকলাপ সম্পূর্ণ রােধ করা সম্ভব নয়। প্রতি গাঁওসভা স্তরে জনসাধারণ, ভিলেজ ডিফেন্স পার্টি ও অন্যান্যরা সক্রিয়ভাবে প্রতিরােধ ব্যবস্থায় যদি এগিয়ে আসেন তা হলেই এই সকল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা সম্ভব। সেই সংগে আঞ্চলিক পঞ্চায়েতগুলিকেও সক্রিয় থাকার জন্য তিনি অনুরােধ জানান।
সভায় কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা সমিতি গঠন করা হয় এবং স্থির হয় যে আঞ্চলিক পঞ্চয়াতগুলি নিজ নিজ এলাকায় সভা আহ্বান করে জনসাধারণকে পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকেবহাল করবেন। প্রতিটি গাঁও সভায় সভা সমিতি করে প্রতিটি জনসাধারণকে এই সম্পর্কে সতর্ক করে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা সমিতির সভ্যগণ মহকুমার সর্বত্র সভাগুলিতে যােগদান করে এই কাজে সহায়তা করবেন।
সূত্র: আজাদ, ১৩ অক্টোবর ১৯৭১