পাক নেতৃবৃন্দ আতঙ্কিত, দেশ ছেড়ে পালানাের তােড়জোড়
নয়াদিল্লী, ২ নভেম্বর—পাকিস্তানে ‘ভারত ধ্বংস করা। অভিযান চালানাে সত্ত্বেও সেখানকার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে একটা আতঙ্কের ভাব দেখা যাচ্ছে।
ইসলামাবাদে একজন বিদেশী কূটনীতিক নয়াদিল্লীতে তাঁরই সমপর্যায়ের একজন কূটনীতিককে সম্প্রতি চিঠি লিখে জানিয়েছেন, অধিকাংশ পাকিস্তানী নেতা এবং বিত্তবান নাগরিক দেশ ছেড়ে পালানাের ব্যবস্থা করছেন।
কয়েকজন নাকি ইতিমধ্যেই তাদের পরিবারের লােকজনকে বিদেশে, প্রধানতঃ ইরান ও ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারা ব্যাংক থেকে তাঁদের বেশির ভাগ টাকাই তুলে নিয়েছেন।
সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের সৈন্য চলাচল শুরু হওয়ার পরেই এ ধরনের কাজকর্ম নাকি আরম্ভ হয়েছে। ওই মহল থেকে আরও বলা হয়েছে, সােভিয়েট ইউনিয়ন যেখানে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে চীন সেখানে পাকিস্তানের ব্যাপারে চুপচাপ থাকায় পাকিস্তানী নেতৃবৃন্দের মনােবল ভেঙে পড়েছে।
দৃষ্টিপাত, ৩ নভেম্বর ১৯৭১ কমলপুর পাক গােলা পর পর কয়েকদিন যাবত ত্রিপুরা সীমান্তের কমলপুর সহরে পাক গােলাগুলি বর্ষণের ফলে সহরটী প্রায শ্মশানে পরিণত হইয়াছে বলিয়া খবর পাওয়া যাইতেছে। সহরের অধিকাংশ লােকই সহর ছাড়িয়া যাইতে বাধ্য হইয়াছে। সরকারী সূত্র মতেই নাকি নিহতের সংখ্যা ১১ জন এবং হতাহতের বহু বেসরকারী সূত্রে আরও বলা হইতেছে যে হতাহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশী। একজন ডাক্তার ও একজন নার্সও নাকি প্রাণ হারাইয়াছেন।
সূত্র: দৃষ্টিপাত, ৩ নভেম্বর ১৯৭১