মুক্তিবাহিনীর বিমান ব্যবহার
নয়াদিল্লী ৩০ শে অক্টোবর- বাংলাদেশ শত্রুদের গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য মুক্তিবাহিনীর বিমান শাখার জঙ্গী, বিমান ও হেলিকেপ্টারগুলি এখন আকাশে উড়ছে। আজ বিশেষ নির্ভরযােগ্য সূত্র হইতে এই সংবাদ পাওয়া গিয়াছে।
সংবাদে বিস্তারিত বিবরণে জানা যায় যে, বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চলের বিমান অবতরণ ক্ষেত্র ও হেলিপ্যাডগুলি হইতে মুক্তিবাহিনীর বিমান হেলিকেপ্টারগুলি আকাশে উঠছে।
বাংলাদেশ মুক্তাঞ্চলে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যকরী সমিতির বৈঠকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের বক্তব্য উদ্ধৃতি করে এই নির্ভরযােগ্য সূত্রে জানা যায় যে, মুক্তিবাহিনীর বিমান বাহিনীর শক্তি সীমাবদ্ধ হইলেও এই বিমান বাহিনীতে উন্নত ধরনের বিমানও রহিয়াছে। শত্রুর গতিবিধি নির্ণয়, গেরিলাদের নির্দেশ দান ও গেরিলা ইউনিটগুলাের কাছে সরবরাহ পৌছে দেওয়ার কাজে বিমানগুলি এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন যে, স্বদেশ ও বিদেশের দেশপ্রেমিক বাঙালী ও অপর কয়েকটি মিত্র রাষ্ট্রের বদান্যতায় মুক্তিবাহিনীর বিমান শাখা গড়ে উঠেছে। বিদেশে বসবাসকারী বাঙালীদের কাছ হইতে প্রচুর বিদেশী মুদ্রা সংগ্রহ করা হইয়াছে এবং শিঘ্রই আরও কয়েকটি জঙ্গী বিমান বাংলাদেশে আনা হইবে।
সূত্র: আজাদ, ১০ নভেম্বর ১৯৭১