You dont have javascript enabled! Please enable it!

সিলেট সেক্টরে মুক্তিসেনার কমাণ্ডো বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি গত সপ্তাহে শতাধিক পাক-সেনার মৃত্যু

এই সপ্তাহে কুমারশাইল চা-বাগানে হানাদারদের এক টহলদার দলের উপর মুক্তিবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণের ফলে ১৮ জন হানাদার নিহত ও ৬ জন আহত হয়। মুক্তিবাহিনীর পােতা মাইনে তিনজন পাকসেনা নিহত হয়। মৃতদেহগুলিকে পাকসেনারা বয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু বুটজুতা সহ একটী পা-কে মুক্তিফৌজরা নিয়ে আসে।
আটগ্রাম লােভাছড়া এলাকায় পাক-হানাদার দল মুক্তিবাহিনীর একটী অগ্রবর্তী ঘাটীর উপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সহিত হানাদারদের মােকাবেলা করা এবং এতে পাক-হানাদার দলের প্রায় ১৫০ জন জোয়ান ঘটনাস্থলেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়। উক্ত দলের অধিনায়ক ঘটনার তিন দিন পর মাত্র একটী অন্তর্বাস পরিহিত অবস্থায় একজন রাজাকরের সাহায্যে জকিগঞ্জে এসে উপস্থিত হয়।
এই হানাদার বাহিনী বর্তমানে রাজাকাকারিদেরও সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করতে পারছে না। সড়কের বাজারের নিকটে একজন রাজাকরকে (রাজাকার] পাক-সেনারা গুলি করে হত্যা করে। ফলে রাজাকরদের রাজাকার] মধ্যে খুবই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তিনজন রাজাকর (রাজাকার) ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে চাকুরীতে ইস্তাফা দিয়েছে।
একজন মুক্তিফৌজের আত্মীয় বলে অষ্টঘরি সফিক নামক এক ব্যক্তিকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।

সূত্র: দৃষ্টিপাত, ৬ অক্টোবর ১৯৭১

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!