মুক্তিফৌজের গেরিলা তৎপরতা বৃদ্ধি
গত ১৪ই জুন থেকে শ্রীহট্ট অঞ্চলে মুক্তিফৌজের গেরিলা তৎপরতা ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। ঐ দিন রাত্রে লাতু বড়লেখা সড়কের উপর গুরুত্বপূর্ণ ডলনি সেতুটি মুক্তিফৌজ উড়িয়ে দেন। ঐ দিনই মৌলবী বাজার মহকুমার শিলুয়া বাগানের ফ্যাক্টরীটি উড়িয়ে দেওয়া হয়। ঐ বাগানের ম্যানেজার পাক সৈন্যদের পক্ষে কাজ করায় তাকে হত্যা করা হয়। ঐ অঞ্চলে সেনাবাহিনীর একটি জীপে করে দুজন লীগ পন্থী সংবাদ আদান প্রদান করত, মুক্তিফৌজের ‘মাইন’ এর আঘাতে জীপটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং আরােহী ঐ লীগপন্থী দুজনের মৃত্যু ঘটে। ১৫ই জুন রাত্রে শেওলা সীমান্তে মুক্তিফৌজের সঙ্গে পাকবাহিনীর দীর্ঘ সময় ব্যাপী সশত্র
সংঘর্ষ ঘটে, এতে উভয় পক্ষই ভারী মর্টার ব্যবহার করে। এই সংঘর্ষে কয়েকজন পাক সৈন্য নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, যে সমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামী সামরিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন তাঁদের একাধিক দল ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ সমাপন্তে মুক্তিবাহিনীতে যােগ দেওয়ায় মুক্তিবাহিনীর পর্যাপ্ত শক্তি বৃদ্ধি ঘটেছে।
সূত্র: যুগশক্তি, ১৮ জুন ১৯৭১