সংবাদ
২৪শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
শেখ মুজিবের সংক্ষিপ্ত জীবনী
(নিজস্ব বার্তা পরিবেশক)
ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে ১৯২০ সালে শেখ মুজিব জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি কলিকাতা ইসলামিয়া কলেজ হইতে বি এ ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি স্কুল জীবনেই বিবাহ করেন। বর্তমানে তাহার তিন পুত্র ও দুই কন্যা রহিয়াছে।
শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্র জীবন হইতে পাকিস্তান আন্দোলনের কর্মী ছিলেন। তিনি মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর একজন ভক্ত ও অনুগত। তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ছাত্র আন্দোলন ও রাজনীতিতে ঝাপাইয়া পড়েন। তিনি তৎকালীন ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণ আন্দোলনে অংশ গ্রহণ এবং আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এই সময় হইতে তাহাকে বারে বারে জেলে যাইতে হয় এবং বর্তমান ষড়যন্ত্র মামলাসহ তিনি নিরাপত্তা বন্দী, দেশরক্ষা বন্দী হিসাবে মোট ৮ বৎসর কারাগারে কালযাপন করেন। তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের বিজয় লাভের পর যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার এবং পরে ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্রী জারীর পর আতাউর রহমান মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
তিনি ১৯৫৩ সাল হইতে দীর্ঘ কাল পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৬ সালে দেশরক্ষা বন্দী হিসাবে তাঁহাকে আটক করার পূর্বে তিনি পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন এবং দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানকল্পে তিনি ৬ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করেন। এই কর্মসূচী ঘোষণার পরই তাহাকে বিভিন্ন অজুহাতে গ্রেফতার করা হয় এবং তাহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পরে তাহাকে দেশরক্ষা বিধিবলে গ্রেফতার করা হয় এবং আজ মুক্তিলাভের পূর্বে তথাকথিত ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে তাহাকে কুর্মিটোলা সেনানিবাসে আটক রাখা হয়। কোন মামলায়ই উল্লেখযোগ্য যে, সরকার তাহার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করিতে সক্ষম হয় নাই।
সুত্র: সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু: পঞ্চম খণ্ড ॥ ষাটের দশক ॥ চতুর্থ পর্ব ॥ ১৯৬৯