জকিগঞ্জ অঞ্চলে পাকসেনাদের তাণ্ডব
আজ জকিগঞ্জ অঞ্চলে এক কোম্পানী পশ্চিম পাকিস্তানী সেনা এসে তাণ্ডব নৃত্য সুরু করে। করিমগঞ্জ শহরের অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর তীরে পাকসেনারা এসে উপস্থিত হয় এবং বাংকার প্রভৃতি খনন করতে থাকে। শহরে দিকে মুখ করে কয়েকটা কামানও দাগিয়ে রাখতে দেখা যায়। পাঞ্জাবী সেনারা পৌঁছানাের অব্যবহিত পরেই জকিগঞ্জের চারিদিকে ইতস্ততঃ অগ্নিকাণ্ড দেখা যায়। একই দিনে প্রায় দশ পনেরটা গ্রাম আক্রান্ত হয়। আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্ধিষ্ণু হিন্দুদের বাড়ী দেখে দেখে লুঠ করা হয় ও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই সকল সৈন্যরা মুসলিমলীগ গুণ্ডাদের সাহায্যে অত্যাচার চালিয়ে যায় এবং ১০/১২ জন নিরীহ লােককে বিনা প্ররােচনাতেই হত্যা করে। অত্যাচারিত জনসাধারণ দলে দলে নদী পার হয়ে করিমগঞ্জ আসতে সুশুরু করেছে।
এইখানে উল্লেখযােগ্য যে ঘটনার কয়েকদিন আগেই জকিগঞ্জ থানার তৃতীয় অফিসার তালুকদার থানার ৭টি রাইফেল স্থানীয় লীগপন্থী নেতা চেয়ারম্যান মাহমদুর রহমানকে সমঝাইয়া দেন। হারুনুর রসিদ নামক এক কুখ্যাত ব্যক্তিসহ মাহমদুর রহমান ও সামছুদ্দীন উকিল ১৮ই মে জকিগঞ্জে পাকিস্তানী নিশান তােলার চেষ্টা করলে স্থানীয় অধিবাসীদের আপত্তিতে তাহারা ব্যর্থ হন। পরদিনই পাঞ্জাবী সৈন্যরা এসে হাজির হয়।
সূত্র: দৃষ্টিপাত, ১৯ মে ১৯৭১