শরণার্থী শিবিরে জনসমস্যা
আগরতলা, ১০ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থী শিবিরে পানীয়-জলের সুব্যবস্থা নেই বলে পত্রপত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেদিকে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে ৩৫টি ক্যাম্প ইউনিটের ২৭৩টি শিবিরে প্রায় আট লক্ষ বারাে হাজার শরণার্থী আছেন। প্রতি ৫০০ জনের জন্য একটি করে নলকূপ বা ১,৫০০ জনের জন্য একটি করে পাতকূপ দেওয়ার প্রস্তাব হয়েছে। যেসব অঞ্চলে (যেমন উত্তর ত্রিপুরা জেলায়) অগভীর নলকূপ থেকে জল পাওয়া যায় না সেই সব অঞ্চলে গভীর নলকূপ বসানাের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ভৌগােলিক অবস্থানের দরুন পরিবহনের অসুবিধাটা, নল, ফিলটার ও পাম্পের অভাবে ১,৬০০ নলকূপ বসানাের কর্মসূচীটি রূপায়ণ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই এই কর্মসূচী রূপায়ণ এখনাে শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবুও বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে ২৫০টি নলকূপ বসানাে হয়েছে এবং প্রায় ৩০০ পাতকূপ ও কাঁচাকূপ খনন করা হয়েছে। কালাছড়া শিবিরে একটি গভীর নলকূপ বসানাে হয়েছে। কলকাতা থেকে প্রয়ােজনীয় সাজসরঞ্জাম কেনা হয়েছে এবং সেগুলাে খুব তাড়াতাড়ি আগরতলা এসে পৌছুবে। তাই আশা করা যাচ্ছে শীঘ্রই অবস্থার উন্নতি হবে। গভীর নলকূপ বসানাের জন্য ভারত সরকার থেকে একটি রিগ’ দেওয়া হয়েছে। এটি খুব শীঘ্রই কাজে লাগানাে হবে। অবিলম্বে শরণার্থীদের পানীয়-জলের সমস্যাটির সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
সূত্র: ত্রিপুরা
১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
২৯ ভাদ্র, ১৩৭৮