বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর অবদান
বাংলাদেশে মুক্তযুদ্ধ চলাকালে বিলাতে প্রবাসী বাঙালীদের কাছে একজন সৎ দেশপ্রেমিক, অকুতােভয় নির্ভিক সৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিলাতে আন্দোলনে ঐক্যের প্রতিক যে নামটি প্রবাসীদের উজ্জীবিত করেছে তিনি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদ অধিবেশন নিয়ে তালবাহানা এবং তকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নির্যাতন যখন অব্যাহত তখন লন্ডনে বহু বিভক্ত দলউপদলের কোন্দলের ফলে বিলাতের আন্দোলনে কাংখিত সমন্বয় করা সম্ভব হচ্ছিল না। সকল দল ও উপদলকে একত্রিত করে একটি সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ গঠনের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এমতাবস্থায়, যখন পাকিস্তান পার্লামেন্ট বাতিল, সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেফতার এবং চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘােষণা করে বাংলাদেশ সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ, সেই ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসােসিয়েশন সমন্বয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যার প্রতিবাদে এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে সমর্থনের দাবিতে বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করে। রাজনৈতিক দলগুলাে মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং বিশেষ করে আওয়ামী লীগের বিভক্তির ফলে কোন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বা ঐক্যবদ্ধ কোন প্রয়াস গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। লন্ডনে বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক এবং লন্ডনের বাইরে শহর ভিত্তিক সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে বাঙালীরা বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করছিল। ঠিক এমনি এক সংকটময় মুহূর্তে বিলাতের প্রবাসী বাঙালীদের আশীর্বাদ রূপে লন্ডনে আগমন করলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাংখার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কর্তব্যবােধে উদ্বুদ্ধ হয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরতা এবং বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদে তিনি স্বেচ্ছায় জেনেভা থেকে লন্ডনে এসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার প্রত্যয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তাঁর প্রবল আত্মবিশ্বাস, বাঙালীদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি অকুণ্ঠ সমথন এবং বাঙালীদের প্রতি প্রদর্শিত চরম বৈষম্যের প্রতিবাদে বিদ্রোহী মনের অধিকারী বিচারপিত চৌধুরী সহায় সম্বলহীন অবস্থায় লন্ডনে এই কঠিন ও ঝুকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সম হন। তার একাগ্রতা, দেশপ্রেম ও কঠোর পরিশ্রমে অতি দ্রুত বিবদমান ও বিশৃংখল সংগ্রাম পরিষদ’ সমূহকে সমন্বয় করে এবং রাজনৈতিক দল ও উপদলের বিশ্বাস অর্জন করে। আত্মপ্রকাশ করেন বিলাতে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনের আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রাণ হিসাবে।
১৯২১ সালের ৩১ জানুয়ারি মাসে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী টাঙ্গাইলের এক সম্ভ্রান্ত ও সুপরিচিত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা আবদুল হামিদ চৌধুরী পূর্বপাকিস্তান আইন পরিষদের স্পীকার ছিলেন। আবু সাঈদ চৌধুরী বাল্যকাল থেকেই মেধাবী ছাত্র হিসাবে বিবেচিত ছিলেন এবং পাঠ্য পুস্তক ছাড়াও অন্যান্য বই পড়ার প্রতি তার আগ্রহ ছিল। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বি. এ. পাশ করেন। তিনি ১৯৩৯ ইং সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আবু সাঈদ চৌধুরী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষয়ে এম, এ, এবং বি, এল. ডিগ্রী লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়য়ে অধ্যয়কালে তিনি নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন এবং ‘রূপায়ন’ নামে একটি সাহিত্যপত্র সম্পাদনা করেন। তিনি ১৯৪৭ সালে লন্ডনের লিংকনস্-ইন’ থেকে ব্যারিষ্টারী (বার-এট-ল) পাস করেন। লন্ডনে অধ্যয়নকালে তিনি নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনের বৃটেন শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ব্যারিষ্টার আবু সাঈদ চৌধুরী দেশে ফিরে প্রথমে শহীদ সােহরাওয়ার্দীর জুনিয়র হিসাবে। এবং পরবর্তিতে স্বতন্ত্রভাবে আইন পেশায় আত্মনিয়ােগ করেন। আইন পেশায় তাঁর মেধা ও একাগ্রতার স্বীকৃতি হিসাবে ১৯৬০-৬১ সালের জন্য তাঁকে পুর্ব-পাকিস্তানের এডভােকেট জেনারেল পদে নিযুক্ত করা হয়। ব্যারিষ্টার চৌধুরী ১৯৬১ সালে ঢাকা হাইকোর্টে বিচারপতি হিসাবে নিয়ােগ লাভ করেন। তিনি ১৯৬৩-৬৪ সময়কালের জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বাের্ডের সভাপতির পদে নিয়ােজিত ছিলেন। ১৯৬৯ ইং সালে ব্যাংককে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্ব বিচারক সম্মেলন’ এবং ‘আইনের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্পর্কিত চতুর্থ বিশ্ব সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব করেন। ১৯৬৯ ইং সালে ছাত্র-গণ আন্দোলন সফল হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর ওসমান গণি উপাচার্যের পদ ত্যাগ করেন। এমনি একটি ক্রান্তিকালে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়ােগ দান করা হয়। তিনি উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করে অতি দ্রুত তার মেধা ও আন্তরিকতা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের মন জয় করতে সমর্থ হন।
১৯৭১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি চৌধুরী জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের শবেশনে যােগদানের জন্য জেনেভা গমন করেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের আধবেশন চলাকালে মার্চ মাসে ঢাকা থেকে পরিবেশিত বিভিন্ন খবরে তিনি উদ্বিগ্ন ও কথার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে পত্রিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইজন ছাত্র হত্যার খবর পান। এই ঘটনার পর ১৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র হত্যায় প্রতিবাদে লাশক শিক্ষা সচিবের কাছে জেনেভস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের মাধ্যমে উপাচার্যের পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন। ২৬ মার্চ ঢাকার সাথে সকল যােগাযােগ বন্ধ এবং বাংলাদেশে কিছু ঘটেছে বলে তিনি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানতে পারেন। এমতাবস্থায়,
(লেখা অস্পষ্ট হওয়ায় বইয়ের ছবি দেয়া হল।)
বিশ্বব্যাপী এই বর্বরতার কথা বলবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বি. বি. সি, বাংলা অনুষ্ঠানে একই দিনে (১০ এপ্রিল) সাক্ষাৎকারটি গুরুত্ব সহকারে প্রচার করে। কলকাতার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বিচারপতি চৌধুরীর বি. বি. সি. এর সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে। এভাবেই ১০ এপ্রিল বিচারপতি চৌধুরী প্রকাশ্যে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার সম্পৃক্ততা ঘােষণা করেন। ইতােমধ্যে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে বিলাতে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ে বিলাতের আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করার জন্য অনুরােধ জানানাে হয় । কিন্তু এরই মধ্যে মুজিবনগর থেকে বিচারপতি চৌধুরীকে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি নিয়ােগের খবর জানানাে হয়। বিচারপতি চৌধুরীকে পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে নানা ভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়। যার প্রেক্ষিতে তার বাসস্থান পরিবর্তন করতে হয় । এক পর্যায়ে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কর্মকর্তারা বিচারপতি চৌধুরীকে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। ২৪ এপ্রিল কভেন্ট্রিতে যুক্তরাজ্যস্থ সকল সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধিদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বিচারপতি চৌধুরী উপস্থিত হন। প্রতিনিধিদের সকলে তাকে সম্মেলনের সভাপতিত্ব করার জন্য এবং প্রস্তাবিত কমিটির নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য অনুরােধ করেন। বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে সম্মেলনে সভাপতিত্ব করা। বা কোন কমিটির নেতৃত্ব নেয়া সমীচীন হবে না বলে যুক্তি দিয়ে প্রতিনিধিদের অনুরােধ রক্ষায় অপরাগতার কথা সকলকে অবহিত করেন। ইতােমধ্যে মুজিবনগর থেকে লন্ডন প্রবাসী রকিবউদ্দিনের মাধ্যমে প্রেরীত বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসাবে নিয়ােগদান পত্র সম্মেলনে পাঠ করে শােনান হয়।
ঐতিহাসিক কভেন্ট্রি সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা সম্ভব না হলেও স্টিয়ারিং কমিটি” গঠন করা হয় এবং বিচারপতি চৌধুরীকে এই কমিটির উপদেষ্টা নির্বাচন করা হয়। ১১ নং গােরিং স্ট্রীটে অফিস স্থাপন করে দেশ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিচারপতি চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ও পরিচালনায় স্টিয়ারিং কমিটি যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচার ও সংগ্রাম কমিটি সমূহের মধ্যে সমন্বয়ের কাজ অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিচালনা করে। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি গ্রহণ করে বিচারপতি চৌধুরী বহিবিশ্বে কূটনৈতিক গাযােগ স্থাপনের লক্ষ্যে লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। “ওয়ার অন ওয়ান্ট” এর ডােনাল্ড চেসওয়ার্থের সহযােগিতায় ২৪ নং পেব্রীজ গার্ডেনে ২৭ ৮ বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন লন। বিচারপতি চৌধুরীর নির্দেশ মােতাবেক পাকিস্তান সরকারের সাথে সম্পর্কছিন্নকারী লা কূটনৈতিক কর্মকর্তারা বাংলাদেশ দূতাবাসের যাবতীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। চারপতি চৌধুরী প্রত্যহ সকালে ষ্টিয়ারিং কমিটির গােরিং স্ট্রীটের অফিসে এবং অপরাহে স্ত্ৰীজ গার্ডেনে বাংলাদেশ দূতাবাসে অফিস করেন।
(লেখা অস্পষ্ট হওয়ায় বইয়ের ছবি দেয়া হল।)
করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব পাসে বাধা সৃষ্টি করেন। এ সময় বিচারপতি ২ কূটনৈতিক কর্মকান্ড এবং তার উপস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বার্থ বিরােধী প্রস্তাবের সােভিয়েত ইউনিয়ন সহ অনেক দেশ অবস্থান গ্রহণ করেছিল। বিচারপতি চৌধুরী নিউই* অবস্থান কালেই বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে আবির্ভাব করে। ট্রাফেলগার স্কোয়ারে ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় উৎসব বিচারপতি চৌধুরীর অনুপস্থিতিতেই অনুষ্ঠিত হয়। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী লন্ডনে প্রত্যাবর্তন করেন ২৪ ডিসেম্বর। স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বাগত জানানাে এবং প্রবাসী বাঙালী ও বৃটিশ জনগণকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে ২ জানুয়ারি হাইড পার্ক স্পীকার্স কর্ণারে ষ্টিয়ারিং কমিটির সর্বশেষ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিচারপতি চৌধুরী পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশে সন্তোষ প্রকাশ করে বিলাতের আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ধন্যবাদ জানান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের জরুরী তারবার্তা পেয়ে বিচারপতি চৌধুরী ৬ জানুয়ারি, ‘৭২ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন এবং ১৮ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে ২৪ ডিসেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৩ এর পর বিচারপতি চৌধুরী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিচারপতি চৌধুরী একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে ১৯৭১ এর ২৬ মার্চ লন্ডনে এসে একজন বিজ্ঞ রাজনীতিবিদের মতাে লন্ডনে বাংলাদেশ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে বহিবিশ্বে সুনাম অর্জন করেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতির পদলাভ করেন। যে লন্ডন থেকে বিচারপতি চৌধুরীর উত্থান সেই লন্ডনে এসেই তিনি ১৯৮৭ ইং সালের ২ আগস্ট একটি আন্ডারগ্রাউন্ড স্টেশনে নিঃসঙ্গ অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এই পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়ে চলে গেলেন (ইন্নালিল্লাহে……)।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে বিলাত প্রবাসীদের অবদান – ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন