You dont have javascript enabled! Please enable it! লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপন - সংগ্রামের নোটবুক

লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপন

মুজিবনগর সরকার বহির্বিশ্বে কূটনৈতিক যােগাযােগ স্থাপনের সুবিধার জন্য কলকাতার বাইরে একটি দূতাবাস প্রতিষ্ঠার প্রয়ােজনীয়তার কথা লন্ডনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীকে অবহিত করেন। বিচারপতি চৌধুরী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহম্মদ কে এক পত্রে লন্ডনে দূতাবাস স্থাপনের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। বৃটেনে রক্ষণশীল দল (Conservative Party) ক্ষমতা থাকলেও বাংলাদেশ আন্দোলনের প্রতি সরকার বেশ সহানুভূতিশীল ও নমনীয় ছিল। বিরােধী দল (শ্রমিক দল) এর এম. পি. দের ছিল বাংলাদেশের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন। এই সকল বিবেচনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপনের উপযুক্ত স্থান হিসাবে লন্ডনই সব দিক থেকে সুবিধাজনক বলে বিবেচিত হয়। ইতােপূর্বে স্টিয়ারিং কমিটির গােরিং স্ট্রীটের অফিসে বিচারপতি চৌধুরীসহ পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদকারী কূটনৈতিক কর্মকর্তাবৃন্দ বিলাতে আন্দোলনের সমন্বয়, প্রচার ও কূটনৈতিক যােগাযােগ সহ সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন। কোন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে বিচারপতি চৌধুরী সাক্ষাৎ প্রদান করতে চাইলে স্টিয়ারিং কমিটি অফিস উপযুক্ত ছিলনা। ষ্টিয়ারিং কমিটির অফিসটি মূলতঃ রাজনৈতিক কর্মকান্ডের অফিস হওয়ায় বিচারপতি চৌধুরী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন বেমানান মনে হতাে। এমতাবস্থায়, লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপন অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল।  বিচারপতি চৌধুরী এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে মুজিবনগর সরকার থেকে অনুমতি নিয়েই ১ আগস্টে এ্যাকশন বাংলাদেশ’ আয়ােজিত ট্রাফেলগার স্কোয়ারের জনসভায় লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ভাগ্য সুপ্রসন্ন যে, যখন দূতাবাস স্থাপনের জন্য উপযুক্ত এলাকায় অফিস খোঁজ করা হচ্ছিল, তখন জাকারিয়া খান চৌধুরী পশ্চিম পডনের বেইজওয়াটার এলাকায় নটিংহীল গেইটের কাছে ২৪, পপত্ৰীজ গার্ডেনে ডোনাল্ড সওয়ার্থের তত্ত্বাবধানে একটি বাড়ির গ্রাইন্ড ফ্লোর পাওয়ার সম্ভাবনার কথা বিচারপতি ‘পুরাকে অবহিত করেন। ইতােমধ্যে ডােনাল্ড চেসওয়ার্থের নাম বহু স্থানে উল্লেখ করা গেছে। তিনি ‘ওয়ার অন ওয়ান্ট’ এর চেয়ারম্যান এবং বাঙালীদের একজন সাচ্চা সমথক সাবে সকলের কাছে পরিচিত। পেমত্রীজ গার্ডেনের উল্লেখিত বাড়িতে টক-এইচ’ নামে * পাতিষ্ঠানের পরিচালিত ইন্টারন্যাশনাল হােষ্টেলের তিনি ওয়ার্ডেনের দায়িত্বে ছিলেন। ” চেসওয়ার্থের কথা জানতে পেরে বিচারপতি চৌধুরী, শেখ আবদুল মান্নান ও 

সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে বিলাত প্রবাসীদের অবদান – ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন