You dont have javascript enabled! Please enable it!

যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ

৭ মার্চ হাউডপার্ক স্পীকার্স কর্নারে ছাত্র গণসমাবেশ ও শােভাযাত্রা শেষে পাকিস্তান স্টুডেন্টস হােস্টেলে অনুষ্ঠিত বাঙালী ছাত্রদের এক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে “বেঙ্গল স্টুডেন্টস এ্যাকশন কমিটি গঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পাকিস্তান ছাত্র ফেডারেশনে জাতীয়তাবাদী গ্রুপের ছাত্র নেতা মােহাম্মদ হােসেন মঞ্জু। সভায় সর্বসম্মতভাবে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ জন সদস্য নির্বাচিত হয়। ১১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির ছাত্র নেতৃবৃন্দ ছিলেন। সর্বজনাব মােহাম্মদ হােসেন মঞ্জু, খন্দকার মােশাররফ হােসেন (গ্রন্থের লেখক), নজরুল। ইসলাম, এ. টি, এম, ওয়ালী আশরাফ, সুলতান মাহমুদ শরীফ, শফিউদ্দিন মাহমুদ বুলবুল, সামসুদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী মানিক, জিয়াউদ্দিন মাহমুদ, লুঙ্কর রহমান সাহজাহান, আখতার ইমাম ও কামরুল ইসলাম।  বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘােষণার পর “বেঙ্গল স্টুডেন্টস এ্যাকশন কমিটি” এর নাম। পরিবর্তন করে যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ” বা “বাংলাদেশ স্টুডেন্টস এ্যাকশন কমিটি ইন ইউকে” রাখা হয় এবং কমিটিকে সম্প্রসারিত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘােষণা করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আন্তর্জাতিক প্রচারণা ও জনমত সৃষ্টির কাজে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণের লক্ষ্যে কমিটির কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তিন জন আহ্বায়ক নিযুক্ত হন। যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন মােহাম্মদ হােসেন মঞ্জু, আমি নিজে এবং নজরুল ইসলাম। স্বাধীনতা ঘােষণার অব্যবহিত পরে ১২ এপ্রিল তারিখে মােহাম্মদ হােসেন মঞ্জু ও সুলতান মাহমুদ শরীফ মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ। গ্রহণ এবং মুজিবনগর সরকারের সাথে যােগাযােগে স্থাপনের উদ্দেশ্যে কলিকাতা গমন। করে। মােহাম্মদ হােসেন মঞ্জুর অনুপস্থিতিতে আমার উপর বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনায় দায়িত্ব অর্পিত হয়। অপর আহ্বায়ক (৩) নজরুল ইসলাম ৩৫নং হােবনে গ্যামেজেজ বিল্ডিং-এ তার নিজস্ব অফিসটিকে বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আফস হিসাবে ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সম্পূর্ণ সময়ে উপরােক্ত “প থেকে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এ সম পরিষদ বাংলাদেশের স্বপক্ষে বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করেছে যার বিবরণ হল বান্ন অনুচ্ছেদে স্থান পেয়েছে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্ব ও কর্মকাণ্ড সম্পকে অশর সরকারের তৎকালীন বৈদেশিক প্রতিনিধি, স্টিয়ারিং কমিটির উপদেষ্টা ও সাবেক জাত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাঁর “প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি” গ্রন্থে এবং বিশিষ্ট 

উপরােক্ত কার্যক্রম অত্যন্ত সফলতার সাথে পরিচালনা করা যাদের অক্লান্ত ও আন্তরিক পরিশ্রমের ফলে সম্ভব হয়েছে তাদের সকলের নাম স্মরণেও নেই এবং উল্লেখ করাও সম্ভব নয়। তবুও যাদের নাম উল্লেখ করতেই হয় তারা হলেন মােহাম্মদ হােসেন মঞ্জু, এ, কে, নজরুল ইসলাম, এ, টি, এম ওয়ালী আশরাফ, সুলতান মাহমুদ শরীফ, সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শফিউদ্দিন মাহমুদ বুলবুল, জিয়াউদ্দিন মাহমুদ, লুৎফর রহমান শাহজাহান, আফরোজ আফগান চৌধুরী, এম. ইয়াহিয়া, মাহমুদ আবদুর রউফ, শ্যামা প্রসাদ ঘােষ, আনিস আহম্মদ, আখতার ইমাম, এ. কে. এম সামসুল আলম, এম, মজিবুল হক, ফজলে রাব্বি খান, নজরুল আলম, মমতাজ উদ্দিন, রাজিয়া চৌধুরী, এম, আই চৌধুরী, জাকিউদ্দিন আহম্মদ, আবদুস সামাদ বাংলাদেশ, সামসুল আবেদীন, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আবদুল্লাহ ফারুক, সৈয়দ মােজাম্মেল আলী, মােঃ আবুল হাশেম, আমিনুল হক, খলিফা এ. মালিক, সৈয়দ মােজাম্মেল আলী, মােঃ আবুল হাশেম, এম, নূরুল আবছার, এম, এম, মুস্তাফিজুর রহমান, রফিকুল হক ভুইয়া, আহম্মদ হােসেন জোয়ারদার, আখতার ফেরদৌস লাকী, সৈয়দ মােকাররম আলী, বেগম আজিজা এমাদ, রাবেয়া ভূইয়া, সুরাইয়া খানম, এ. এম চৌধুরী। মঞ্জু, সৈয়দ ফজলে এলাহী এবং সৈয়দ সফিউল্লা প্রমুখ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে বিলাত প্রবাসীদের অবদান – ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!