You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুক্তিযােদ্ধাদের সম্মান, প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা

একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, একজন মুক্তিযােদ্ধার কতটা প্রাপ্তি তার জাতির কাছে। কিম্বা জাতি একজন মুক্তিযােদ্ধা বা স্বাধীনতা সংগ্রামীকে প্রতিদানে কি দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারে। প্রশ্নগুলি কিছুকাল ধরেই আমার মনে জাগছে। জাগছে এ কারণে যে, মুক্তিযুদ্ধপরবর্তীকালে মুক্তিযােদ্ধাদের কি পাওয়া উচিত কি উচিত নয়, কিম্বা কি দেয়া হয়েছে আর কি দেয়া হয় নি-এ নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক হয়েছে এবং এখনাে হচ্ছে। এ সমাজের একজন হিসেবে এবং মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের একজন সৈনিক হিসেবে বিষয়টিকে তাই। আলােচনায় আনার প্রয়ােজনীয়তা অনুভব করি। জাতির মুক্তিযুদ্ধে বা জাতীয় স্বাধীনতার সংগ্রামে যারা যােগ দেন তারা কখনােই ভাড়াটে সৈনিক হন না, কিম্বা পেশাদারী অস্ত্রধারী হন না। মুক্তিযুদ্ধের মতাে জাতীয় জনযুদ্ধে যারা জীবন উৎসর্গ করতে ঝাপিয়ে পড়েন, তারা দেশপ্রেমে আত্মােৎসর্গীকৃত প্রাণ বিরল কিছু মানুষ যাদের পরবর্তী প্রজন্ম সম্মানের চোখে দেখবে, এটাই সাধারণভাবে কাম্য। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন বাজি রেখে লড়েছিলেন, সীমাহীন আত্মত্যাগ সাধন করেছিলেন, স্বাধীনতার শত্রু পাকিস্তানি হানাদার সৈন্য এবং তাদের স্থানীয় দালালদের জীবনের বিনিময়ে প্রতিরােধ করেছিলেন এবং অবশেষে জাতির জন্যে প্রার্থিত স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন, তাদের সবাইকে কি জাতি যােগ্য সম্মান দিতে পেরেছে। প্রশ্নটি আজ নিশ্চয়ই করা যেতে পারে। বিশেষ করে বর্তমান সরকার যখন পদক বা খেতাবধারী মুক্তিযােদ্ধাদের জন্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানের ব্যবস্থা করছে, যৎকিঞ্চিৎ অর্থেরও যােগান দিচ্ছে, তখন প্রশ্নটি আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। গেল ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক দিনে আমাদের ৬৭৬ জন বরেণ্য মুক্তিযােদ্ধাকে যারা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পদকে ভূষিত হয়েছিলেন, তাদের সম্মানিত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। এই প্রথমবারের মতাে একটি ব্যাপক আয়ােজনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে খেতাবধারীদের প্রায় সবাইকে সম্মানিত করা হলাে। এর আগেও একবার। বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে খেতাবধারীদের পদক বিতরণের ব্যবস্থা হয়েছিল।

বিশেষ করে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক দিনে বরেণ্য মুক্তিযােদ্ধাদের হাতে সনদ। এবং যৎকিঞ্চিৎ সম্মানী তুলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলের সরকারের হাতে বড় একটি কাজ সাধিত হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস। মুক্তিযুদ্ধোত্তরকালে যে ৬৭৬ জনকে রাষ্ট্রীয় খেতাবে ভূষিত করা হয়েছিল তাদের সবাই সেদিনের অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেন নি। গেল ছাব্বিশ বছরে এদের অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন, অনেকে পঙ্গু হয়েছেন, অনেকে জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়ে লােকচক্ষু থেকে হারিয়ে গেছেন। এমনও দেখা গেছে, গেল ছাব্বিশ বছরে এদের কেউ কেউ আবার জানতেও পারেন নি মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের খেতাব দেয়া হয়েছে। এই মাত্র ক’দিন আগেও এদের কাউকে কাউকে আকস্মিকভাবে খুঁজে পাওয়া গেছে, স্বাধীনতার দুই যুগেরও বেশি সময় পর। যে জাতি একটি সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে, যে জাতির মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ লােক ক্ষয় হয়, সে জাতির জন্যে জাতীয় বীরদের প্রতি এমন অসচেতনতা দুর্ভাগ্যজনক বৈকি! আমার জানা মতে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে রাষ্ট্রীয় খেতাব দেয়া হয়েছিল যাদের, তাদের ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ’, ৬৮ জন বীরউত্তম’, ১৭৫ জন বীরবিক্রম’ এবং ৪২৬ জন বীরপ্রতীক’। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে অনন্য আত্মত্যাগী অবদান রাখার জন্যে এসব রাষ্ট্রীয় খেতাবের ব্যবস্থা হয়েছিল, যা ছিল যুদ্ধোত্তর সরকারে অতিপ্রয়োজনীয় একটি কাজ। মুক্তিযােদ্ধাদের মধ্যে যাদের এই খেতাবগুলি দেয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই তা পাবার যােগ্যতা ছিল। কিন্তু এরপরও বলব, সে তালিকাটি পূর্ণাঙ্গ হয় নি। সমাজের সাধারণদের মাঝ থেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আত্মত্যাগী মুক্তিযােদ্ধাদের নাম যে তালিকায় খুব একটা আসে নি। ছাত্র-জনতা বা শহর আর গ্রাম-গঞ্জের, সাধারণ মুক্তিযােদ্ধাদের আত্মত্যাগী গেরিলাদের, যারা ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল প্রাণশক্তি, তাদের। অবদানকে যথার্থভাবে মূল্যায়ন করা হয় নি। আমার বিশ্বাস, কাজটি করা হয়েছিল প্রাথমিকভাবে, পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান হয় নি কিম্বা সে সময়ে করা সম্ভবও হয় নি।  হলে, ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক বা চাকরিজীবী শ্রেণীর মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের মাঝ থেকে, যারা গ্রাম-গঞ্জের, শহরবন্দরের অলিতেগলিতে বীর বিক্রমে পাকিস্তানী সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়েছেন, অমিত তেজে লড়াই করে জীবন উৎসর্গ করেছেন, যাদের হাত গেছে, পা গেছে, শরীর বিক্ষত হয়েছে, তাদের অনেকেই এই খেতাব পেতে পারতেন এবং পাওয়া উচিত ছিল। উচিত ছিল কেবলমাত্র খেতাবপ্রাপ্তদের নামের তালিকা বাড়াতে নয়, একই সাথে জাতির গর্ব করার মতাে প্রতিটি চরিত্রকে ভবিষ্যতের কাছে গচ্ছিত রাখার প্রয়ােজনে।

মুক্তিযুদ্ধ ছিল দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বে পরিচালিত একটি সশস্ত্র জনযুদ্ধ, অবশ্যই কোনাে গতানুগতিক যুদ্ধ বা কনভেনশনাল ওয়ার’ নয়। এ যুদ্ধের পেছনে যেমন এক দীর্ঘ রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পটভূমি আছে, তেমনি এর সফলতার পেছনেও আছে গ্রাম-গঞ্জ-শহর-বন্দরের অগণিত দেশপ্রেমিকের রক্ত। মুক্তিযুদ্ধকে যারা কেবলমাত্র একটি ওয়ার’ বা লড়াই বলে চালাবার চেষ্টা করেছেন, তারা আদপে এই জনযুদ্ধকে তাদের রাজনৈতিক প্রয়ােজনে সামরিকায়ন করার অপচেষ্টা করেছেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেনাে নবরাজনীতিবিদেরাই এই কাজটি বেশি করে করেছেন। এদের হাতে মুক্তিযুদ্ধের সামাজিক, রাজনৈতিক আর সাংস্কৃতিক ইতিহাস ধুয়ে মুছে যাবার উপক্রম হয়েছিল, এবং দুর্ভাগ্যক্রমে, এদের কেউ কেউ আমাদের স্বাধীনতাকে ‘ভারতের কারসাজি’ বলেও চালাবার চেষ্টা করেছেন, বিশেষত পঁচাত্তরের রক্তাক্ত পালাবদলের পর । যে ভাষায় এই শ্রেণীর নব্যরাজনীতিবিদরা কথা বলেছেন, সে ভাষার সাথে পাকিস্তানি রাজনীতিবিদের ভাষায় যথেষ্ট মিল খুঁজে পাওয়া যায়। যে-কোনাে অর্থেই মুক্তিযুদ্ধের প্রাণশক্তি ছিল ছাত্র-জনতা এবং শহর-গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ তরুণ, যারা ভারতীয় সীমান্ত অঞ্চলে সামান্য অত্র প্রশিক্ষণের পর সুশিক্ষিত পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এরা লড়েছিল দেশের প্রতিটি অঞ্চলে, প্রতিটি থানায়, প্রতিটি শহরে-বন্দরে এবং পাকিস্তানি সৈন্যদের মনােবলকে এরা বিপদগ্রস্ত করে তুলেছিল তাদের অমিত তেজে। বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং প্রাক্তন ইপিআর-এর দেশপ্রেমিক অংশ লড়াইয়ে যােগ দেয়ায় ফলে পাকিস্তানিদের সাথে লড়াইয়ের চেহারা পাল্টে যায়। নতুন এক পর্যায় শুরু হয়। শুরু হয় সামনা-সামনি যুদ্ধ। প্রবাসী মুজিবনগর সরকার গােটা দেশের এলাকাকে এগারটি যুদ্ধ সেক্টরে ভাগ করে।

এই সেক্টরগুলির প্রত্যেকটির জন্যে বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন মেজর বা কর্নেলকে অধিনায়ক নিয়ােগ দেয়া হয়। গােটা দেশে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রতিরােধ সংগঠিত রূপ ধারণ করে। আজ এ লেখাটা লিখছি ভাগ্যাহত মুক্তিযােদ্ধাদের কথা মনে করে, যাদের অবদানকে আজও স্বীকৃতি দেয়া হয় নি, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী হয়েও যারা আজও সমাজের কাছে উপেক্ষিত। আমি আমার নিজের রণক্ষেত্রের অসংখ্য সহযােদ্ধার চেহারা, এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নাম পর্যন্ত মনে করতে পারি, যাদের অবদানগুলি জাতীয় স্বীকৃতি পাবার যােগ্য। এই স্বীকৃতি বা এই খেতাব শুধুমাত্র তাদেরকেই সম্মানিত করতে নয়, জাতির ভবিষ্যৎ প্রজদের আত্মসম্মান গড়ে তােলার জন্যেও তা জরুরি। কিন্তু তা হয় নি। এই সব জাতীয় বীরের অনেকে যারা শহীদ হয়েছেন, অনেকে যারা পঙ্গু হয়ে পরবর্তী জীবনযাপন করছেন, তাদের ক’জনের খোঁজ রাখি আমরা। এও দেখেছি, এদের কারও কারও পরিবারের পােয্যরা-বাবা-মা-ভাইবােন কিম্বা কারও কারও ছেলেমেয়েরা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের সামান্য কটা টাকার ভাতা পাবার জন্যে দিনের পর দিন কি হন্যে হয়েই না ঘুরেছেন! কেউ কেউ আমার এই মন্তব্যে সমালােচনামুখর হতে পারেন। বলতে পারেন, দেশব্যাপী যে সর্বাত্মক যুদ্ধ চলেছিল ২৫শে মার্চের কালাে রাত থেকে ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত, সেই ব্যাপক গণযুদ্ধের প্রতিটি আত্মত্যাগী যােদ্ধাকে একদিকে যেমন খুঁজে বের করা সম্ভব নয়, অন্যদিকে এদের প্রত্যেককে রাষ্ট্রীয় খেতাব দেওয়াও বাস্তবসম্মত নয়। তাছাড়া সেনাবাহিনী বা নিয়মিত বাহিনীর অফিসার আর কর্মকর্তাদের নিত্যদিনের কাজের বা বীরত্বের কথাগুলি লিপিবদ্ধ হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক সুযােগে, কিন্তু এফ.এফ, বা মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের অবদানের কোনাে দলিল নেই, বা তাদের তথ্য রাখবার প্রাতিষ্ঠানিক কোনাে পদ্ধতিও ছিল না। আমি এ যুক্তির সাথে একমত হতে রাজী। এরপরও কথা থাকে। এদের সবাই রাষ্ট্রীয় খেতাব না পাক, অন্তত কিছুটা হলেও স্বীকৃতি তাে এরা পেতে পারত। আর কিছু না হােক, রাষ্ট্রের উপেক্ষা কি তাদের প্রাপ্য ছিল। স্বাধীনতা-উত্তর সরকারগুলির উচিত ছিল এইসব জাতীয় বীরকে খুঁজে বের করা, যা একেবারেই অসম্ভব কোনাে কাজ ছিল না। উচিৎ ছিল তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের দুর্ভাগ্য, অতি প্রয়ােজনীয় সেই কাজটি আজও পর্যন্ত সমাধা হয় নি।

মুক্তিযােদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠনগুলিকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দলীয় বা গােষ্ঠীর প্রয়ােজনে ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার বীরদের, যাদের আত্মত্যাগ হলে দেশ স্বাধীন হত না, তাদের মূল্যায়ন হয় নি। বাংলাদেশের এমন কোনাে গ্রাম নেই যেখানে বাঙালির জাতীয় বীর নেই, অথচ তাদের নাম দুর্ভাগ্যজনক অসতর্কতায় হারিয়ে গেছে। বেঙ্গল রেজিমেন্টের যে জেসিও, এনসিও আর সেপাই সেদিন পাকিস্তানিদের ত্রাস বলে প্রমাণিত হয়েছিলেন, তাদের ক’জনের খােজ রাখি আমরা। প্রাক্তন ইপিআর-এর এবং পুলিশের সদস্যদের মধ্যে একটি বড় সংখ্যক যােদ্ধা আছেন যারা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়েছেন অমিতবিমে। এদের কয়জনের নাম আছে আমাদের জাতীয় বীরের তালিকায়। অথচ এদের খুঁজে বের করা কি সত্যি সত্যি এতােই কষ্টসাধ্য ছিল। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ব্যক্তিজীবনের সবকিছু হারিয়েও মুক্তিযােদ্ধারা যা অর্জন করেছে, তা তাদের আকাশছোঁয়া এক আত্মঅহংকার। সে কারণে এইসব বীরের বেশির ভাগকেই নীরবে এ অবহেলার প্রতিবাদ করতে দেখি। এদের মধ্যে যারা কখনাে কখনাে সরব হয়েছেন, তারা হয় নির্যাতিত হয়েছেন, নয় প্রতারিত। জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে কেউ পরবর্তী প্রতিদানের আশায় যােগ দেন নি। আমার বিশ্বাস, এমন কোনাে সত্যিকারের মুক্তিযােদ্ধা নেই যিনি প্রতিদান আশা করেন, তবুও কথা থাকে, রাষ্ট্র না হয় তাদের খুঁজে নিতে পারে নি, কিন্তু রাষ্ট্রের সচেতন অবহেলা তারা সইতে যাবেন বহুকাল পর মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হবার ফলেই কথাগুলি বেশি করে পাড়ছি আমি। এবং এই আশাই করছি, প্রতিটি গ্রাম থেকে, প্রতিটি থানা থেকে, প্রতিটি জেলা থেকে এইসব আত্মত্যাগী মানুষ আর তাদের বিপন্ন পরিবারগুলােকে খুঁজে বের করা হােক। এই কাজটি আপাতদৃষ্টে কঠিন মনে হলেও কঠিন নয়। রাষ্ট্রের সততাই এ ক্ষত্রে যথেষ্ট। যে রাষ্ট্র কোটি কোটি টাকা ব্যক্তি বা গােষ্ঠী লুণ্ঠন করে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত, সে রাষ্ট্রে একজন মুক্তিযােদ্ধাও অনাহারে থাকতে যাবে কেন, অপমানিত হতে যাবে কেন।

ডিসেম্বর, ১৯৯৬ 

সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত প্রবন্ধ হারুন হাবীব

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!