যুদ্ধ-শিশু রায়ান গুডের কথা
এই বাংলাদেশে কে তাকে চিনবে? কে তার মা, কোন শহর, কোন গঞ্জ বা কোন গায়ে তার মায়ের ঠিকানা, কে তার খোঁজ রাখার প্রয়ােজন বােধ করবে। কিন্তু রায়ান গুড এই দেশটাকে মনে করে তার নিজের দেশ, নিজের জন্মভূমি। সে-কারণেই সুদূর কানাডা থেকে সে ছুটে এসেছে আত্মপরিচয়ের খোঁজে। , শুধু আত্মপরিচয়ের খোজটিই তার মুখ্য নয়। যুবক রায়ান গুড বাংলাদেশের যুদ্ধশিশুদের কল্যাণে কিছু করতে চায় কিছু করতে চায় সেই সব মায়েদের জন্যে… যাদের মধ্যে হয়তাে-বা তার নিজের মা-ও রয়েছে… যাকে সে বোেঝমান হবার পর একবারও দেখে নি এই সাতাশ বছরে অদেখা সেই প্রিয় মায়ের মুখটাকে অনেক বারই মনে করতে চেষ্টা করেছে। মিলিয়ে দেখতে চেষ্টা করেছে। আর অন্যান্য বাঙালি মায়েদের মুখের সাথে কিন্তু বারবার সে ব্যর্থ হয়েছে। এই যুবকটির সাথে পরিচয় আমার হঠাৎ করে মােহাম্মদপুর থেকে স্নেহাস্পদ সােয়েব একদিন ফোনে জানাল, কানাডা থেকে তার এক বন্ধু এসেছে, সে আমার সাথে দেখা করতে চায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চায় উত্তরে আমি ওকে আমার মিরপুরের বাসায় পাঠিয়ে দিতে বলি ওর আসার দিনক্ষণও নির্ধারিত হয়ে যায় টেলিফোনে যথারীতি একদিন সকালে কানডার নাগরিক যুবক রায়ান গুড একটি অটোরিক্সা করে আমার বাসায় চলে আসে আমি ওর জন্যে অপেক্ষা করে ছিলাম বেশ সুদর্শন ছেলে। যথেষ্ট ফর্সা কিন্তু ওকে দেখে কেন যেন পুরোপুরি সাহেব বলেও মনে হচ্ছিল না আমার তার মধ্যে গায়ে চরানাে সুতির চেককাটা পাঞ্জাবি। অপূর্ব সুন্দর নিস্পাপ একটি মুখ। প্রাথমিক কুশল বিনিময়ের পর জানতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের ওপর কি সে জানতে আগ্রহী সে কি কোনাে গবেষণা করছে। যুবকটি খানিকটা হেসে ইংরেজিতে বলল, কেন, সােয়েব কি আমার সম্পর্ক কিছু বলে নি তােমাকে বললাম, বলেছে, তুমি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ঠিকই বলেছে। আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চাই। তারপর কোনাে রকম ভূমিকা না করেই সে বলল, আমার পরিচয়টাই তােমাকে আগে দেয়া উচিত হবে। আমি তােমাদের মুক্তিযুদ্ধের একজন ‘ওয়ার বেবি’।
আমার যখন বয়স তেইশ দিন তখনই কানাডার একটি পরিবার আরও অনেকের সাথে আমাকে দত্তক নিয়ে সে দেশে চলে যায়। আজ আমি বড় হয়েছি। আমি আমার শিকড় খুঁজতে চাই। সে কারণেই বাংলাদেশে এসেছি। যদি সব হয়, আমার মাকে খুঁজে বের করতে চাই। আর আমি চাই, যতােটা আমি পারি, একাত্তরের যুদ্ধ-শিশু আর নির্যাতিতা মায়েদের জন্যে কিছু করতে এ ব্যাপারে তুমি আমাকে সাহায্য করতে পার, যদি সম্ভব হয়। বিশুদ্ধ ইংরেজিতে রায়ান গুড কথাগুলাে বলে গেল। আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম। কী নিস্পাপ চেহারা। বেশ কিছুদিন হলাে সে বাংলাদেশে এসেছে। এদিকসেদিক ছুটাছুটি করছে। জানতে চেষ্টা করছে তার মায়ের ঠিকানা। তার জন্মের ইতিহাস। আমি মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখালেখি করি বলে, আমার খোঁজও সে করেছে কারও কারও মাধ্যমে। যুদ্ধ-শিশু রায়ান গুড় আমার সামনের চেয়ারটিতে বসা । ওকে দেখে আমাদের জাতীয় ইতিহাসের একটি ভয়ংকর যন্ত্রণার ছবি আমার চোখে ভেসে উঠল। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের যে যুদ্ধ-শিশুদের কথা আমরা শুনেছিলাম স্বাধীনতার অব্যবহিত পর, তারপর যাদের কথা আমরা প্রায় সকলে বেমালুম ভুলে গেছি, সেই দুর্ভাগা যুদ্ধশিশুদেরই একজন আজ আমার সামনে উপস্থিত। আমি ওকে আবার তাকিয়ে দেখলাম । রং লালচে ফর্সা হলেও চেহারাতে ওর বাঙালি কমনীয়তা আছে চুলগুলাে ছােট করে ছাঁটা। এক-দুটো বাংলা শব্দও সে শিখে নিয়েছে এরই মধ্যে। ‘ধন্যবাদ’, ‘কেমন আছেন আর আমাকে একটু সাহায্য করবেনইত্যাদি বলল, এবার আমি বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশে থাকব। বাংলা ভাষা শিখতে চেষ্টা করছি। বাংলাদেশে এলে বাংলাতেই কথা বলতে চাই। রায়ানের বর্তমান বাবা-মা’র নাম ডেলি আর ডরেন। ওরা কানাডার নাগরিক। ১৯৭২ সালে, রায়ানের যখন বয়স মাত্র ২৩ দিন, তখনই সে দত্তক হয়ে ঢাকা থেকে চলে যায় কানাডার ভিক্টোরিয়াতে। তার এক বােনও আছে। নাম রচনা। যুদ্ধ-শিত রচনাকেও মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গিয়েছিল ডেলি আর ডরেন ‘ফেমেলিস ফর চিলড্রেন’ নামের এক সেবা সংস্থার সৌজন্যে। শুধু ডেলি আর ডরেন নয়, এমনি বহু বিদেশী ব্যক্তি আর সংস্থা বাংলাদেশের যুদ্ধ-শিশুদের দত্তক নিয়ে গেছে স্বাধীনতার পর বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত। এরা সকলে আজ কোথায় আছে, কেমন আছে, কেউ তার খােজ নিতে যাই নি। যে বাঙালি মায়ের পেটে রায়ান ওডের জন্ম তার হদিস কোনােদিন সে পাবে এমন দিব্যি আমি দিতে পারিনে। কিন্তু ওর জীবনের যে লক্ষ্য সে স্থির করেছে, তার জন্যে।
ওর প্রতি আমার শ্রদ্ধা হলাে বৈকি। আমাদের সমাজ, আমাদের রাষ্ট্র যে-কাজটি করতে পারত, এবং অনস্বীকার্যভাবে যে-কাজটি তাদেরই করা উচিত ছিল, সেই কাজ করতে এসেছে রায়ান গুড— যে নিজে একজন যুদ্ধ-শিশু! আমাদের প্রতিটি যুদ্ধ-শিশুকে, আমাদের প্রতিটি নির্যাতিতা মাসেকে সসম্মানে প্রতিষ্ঠিত করা উচিত ছিল মুক্তিযুদ্ধোত্তর এই সমাজে আমরা তা পারি নি। আমরা আমাদের জাতীয় ইতিহাসের ক্ষতচিহ্নগুলােকে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা আজও পর্যন্ত জনিনে, কতজন বাঙালি নারীকে নির্যাতিত করেছে হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যরা যারা একদিকে বাঙালি স্বাধীনতাকামীদের হত্যা করেছিল অন্যদিকে নারীদের ওপর চালিয়েছিল বীভৎস এক নিপীড়ন। আমরা আজও পর্যন্ত জানিনে, এই সব অভাগী মায়েদের কতজন শিশুকে ভিনদেশী সেবা প্রতিষ্ঠানগুলাে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে চলে গেছে। জানিনে, আমাদের সেই নির্যাতিতা বােনেরা কী করে তাদের জীবনযাপন করছে, কিম্বা তাদের কতজন শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে। খুব সম্ভবত ১৯৭২-এর শেষের দিকে। আমি তখন বিপিআই নামের একটি ছােট্ট সংবাদ সংস্থায় যােগ দিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে পড়ালেখা করে, এবং মুক্তিযুদ্ধের মাঠ থেকে উঠে এসে যে অল্পসংখ্যক ক’জন সরাসরি সাংবাদিকতায় ঢুকেছিল, আমি তাদেরই একজন। একদিন এই নির্যাতিতা নারীদের খোঁজখবর নিতে গিয়ে উপস্থিত হলাম ধানমণ্ডির দুই নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে। আজ যেখানে ব্যক্তি মালিকানাধীন এনায়েত হাসপাতাল, খুব সম্ভবত ঠিক তার পাশের একটি বাড়ি। মুক্তিযুদ্ধোত্তর সরকার এই বাড়িটিকে দুস্থ নারীদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করেছে। এখানেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা নির্যাতিতা নারীরা একত্র হচ্ছে। এদের বেশির ভাগেরই পেটে সন্তান। কেউ ক্রোধে-অপমানে উন্মাদ হয়েছে। কেউ তাদের গর্ভের সন্তানকে হত্যা করতে উদ্যত হচ্ছে। কেউ কেউ আবার দুস্থ নারী পুনর্বাসন কেন্দ্রে এসে, দুঃখে, অপমানে আত্মহত্যা করছে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ হয়েছে।
মাত্র কিছুদিন। সারা দেশ লণ্ডভণ্ড। চারদিকে স্বজন হারানাের আহাজারি। রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট— সব বিধ্বস্ত। ভারতীয় সীমান্ত থেকে লক্ষ লক্ষ শরণার্থী সবেমাত্র তাদের ভিটেতে ফিরে আসতে শুরু করেছে। আর ঠিক তখনই দেখা দিল নির্যাতিত মেয়েদের নিয়ে সংকট। এই সব দুস্থ নারীদের নিয়ে সরকারের সেই মহৎ প্রচেষ্টাটি তারপর কদূর এগিয়েছিল আমার জানা নেই। আমি নিজেও তাদের নিয়ে আমার রির্পোটটি শেষ পর্যন্ত করতে পারি নি। নারী পুনর্বাসন কেন্দ্রটিতে গিয়ে পৌছলেও কারও সাথে কথা বলতে পারি নি। কথা বলা সম্ভব ছিল না। লজ্জায় মুখ লুকাচ্ছিল সকলে। নারীত্বের সেই অপমানকে সহ্য করা অসম্ভব একটি কাজ। কাজেই চলে এসেছি। তারপর সেই চেষ্টার কী হয়েছিল জানিনে। ধর্ষিতাদের সমাজে সসম্মানে পুনর্বাসিত করার সেই প্রচেষ্টাটি যে আর এগােয় নি… তা বলাই বাহুল্য। এই জঘন্য অপরাধেরও কোনাে বিচার হয় নি আজ পর্যন্ত। দৃণ্য এই অপরাধীদের কোনাে শাস্তি হয় নি। মুক্তিযুদ্ধের ঘাতক-অপরাধীরা পাড় পেয়ে গেছে। পাকিস্তানি যুদ্ধ-অপরাধীরা অবলীলায় তাদের দেশে ফিরে গেছে। প্রগতিশীল নারী সংগঠন আর ব্যক্তিরা এগিয়ে এসেছিলেন প্রথম দিকে এদের পুনর্বাসনের কাজে। কিন্তু আজও কি আমাদের সমাজের জানবার সুযােগ হয়েছে, কতজন মেয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে বলি হয়েছিল? কিম্বা ৩জন যুদ্ধ-শিশু আজও দেশে আছে বা বিদেশের মাটিতে পাচার হয়েছে। যদিও এই সব নির্যাতিতাদের সংখ্যার সঠিক কোনাে হিসেব আজও পর্যন্ত হয় নি, কিন্তু বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি তথ্যে এই হতভাগী বাঙালি নারীদের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। বিদেশীদের হাতেও এমনি একটি সংখ্যার হিসেব করা হয়েছে। রায়ান গুডের কাছেও প্রায় এমনিই একটি হিসেব আছে। আর আছে প্রায় ৪২ হাজার যুদ্ধশিশুর কথা, যাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ থেকে দত্তক নিয়ে বিজ্ঞি দেশে চলে গেছে। আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার ইতিহাসকে বারংবার খণ্ডিত করা হয়েছে, বারবার লুষ্ঠিত করা হয়েছে প্রায় দুই যুগ ধরে। আজ সেই লুষ্ঠিত ইতিহাসের পুনরুদ্ধার করতে সচেষ্ট হয়েছে সমাজ। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের কোনাে সরকারের হাতে এমন কি কোনাে পরিসংখ্যান আছে যে, তারা এই নির্যাতিতা বােনদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সসম্মানে পুনর্বাসিত করেছে, তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে কিম্বা তাদের সম্মানিত করা হয়েছে ?
আমাদের হাতে আজও কি এমন কোনাে সঠিক হিসেব আছে যে, কতজন যুদ্ধ-শিশু বিদেশের মাটিতে ভিনদেশী পরিচয়ে জীবনযাপন করছে। অথচ এরাও তাে আমাদের স্বাধীনতার বলি। এরাও তাে আমাদের জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন। রায়ান গুডকে আমি এক অর্থে নিশ্চিত করলাম এই বলে যে, আমি ওকে নিয়ে লিখব। বললাম, আমাদের টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকেও বলব তােমাকে নিয়ে যেন একটি অনুষ্ঠান করা হয়। বলেছিলামও যথারীতিকিন্তু আজও পর্যন্ত কোনাে উত্তর পাই নি। আমার সামনে বসা মুক্তিযুদ্ধের শিশুটিকে আরও বললাম, আমি জানিনে তুমি তােমার মা-কে কোনােদিন খুঁজে পাবে কি না। কথা প্রসঙ্গে সে জানাল, খুব সম্ভবত, যদ্র সে তার দত্তক বাবা-মার কাছে শুনেছে, ওর মা বরিশালের কোনাে এক জায়গা থেকে লঞ্চে। চেপে একদিন ঢাকার দিকে আসছিলাে। ঢাকাতে আসার পরই সে পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে বন্দি হয়, এবং অনেক দিন ধরে নির্যাতিতা হয়। একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল রায়ান গুড, আমি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে চাই । এই মুক্তিযুদ্ধে আমার মা’র অবদান আছে, আমার নিজের অবদান আছে। আমি জানতে চাই, কী পরিস্থিতিতে আমার মা নির্যাতিত হয়েছিল। বল, এতে আমার মার বা আমার নিজের কী অপরাধ? আমি তাে মানুষের পশুত্বের দৃষ্টান্ত হয়ে জন্মেছি। বলতে পার, মানুষ কী করে এতােটা পশুতে পরিণত হয়! রায়ান ওড আক্ষেপ করে জানাল, বাংলাদেশে এসে সে তার মায়ের মতাে অসংখ্য নির্যাতিতা মায়েদের সঠিক হিসেবটিও কোথাও পাচ্ছে না। পাচ্ছে না তার মতাে যুদ্ধশিশুদের সঠিক সংখ্যাটিও। অথচ তার অভিপ্রায় হচ্ছে, তার ব্যক্তি-জীবনের সবটুকু দিয়ে সে এই সব মায়েদের সেবা করবে, এই সব যুদ্ধ-শিশুদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে। কথাগুলাে সে যখন বলছিল, আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। বেশ কটা কালাে বিষন্ন রেখা দেখছিলাম আমি ওর কপালে জ্বলজ্বল করে উঠছে। চোখ দুটো ছলছল করে উঠছিল ওর। বাঙালি মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া এই ছেলেটির নাম হয়েছে রায়ান। গুড। এখন সে কোথায় আছে, কী করছে- তাও আমি সঠিক জানিনে। তবে সেদিন বিদায়ের আগে ওকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, তুমি তােমার মায়ের খোঁজ করতে বাংলাদেশে এসেছ, কিন্তু বাবার খোঁজ করতে পাকিস্তানে গেলে না কেন? দেখলাম, রায়ান আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হোঁচট খেল। কাঁধের ব্যাগটা ঠিক করে নিয়ে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল, ওই বাবার খোঁজ কোনােদিন আমি নিতে চাইনে, যে আমাকে ‘জারজ’ বলে পরিচিত করেছে, যে বাবা একজন পশুর মতাে আচরণ করেছে।
ডিসেম্বর, ১৯৯৮
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত প্রবন্ধ – হারুন হাবীব