You dont have javascript enabled! Please enable it!

কেন পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে না

অনেকদিন পর কোথাও নিজের মতামত লিখছি। নিজের যা ভাববার বা বলবার তা এখন আর লিখবার প্রয়ােজনবােধ করিনে। সংগত কারণেই। ভেবে দেখেছি, লিখে লাভ নেই। এক অর্থে পশ্রম। এতাে কাগজের এতাে কলাম’ কেই-বা পড়বে। বা পড়লেই বা কী হয়? সমাজটা এখন এমন এক জায়গায় যখন কোনাে সতর্কবাণীই কাউকেই আর বিচলিত করে না। আহ্বান তাে নয়-ই। স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালিত হতে যাচ্ছে বলেই হয়তাে আজকের এই লেখাটা লিখতে চেষ্টা করছি। সন্ত্রাসীদের যারা নিয়ন্ত্রণ করেন, সেই লােকদের মতামত বা চিন্তাধারাই এই সমাজে বেশি গৃহীত হয়। এমনটাই হয়ে আসছে এদেশে এবং অনেক দেশেই হয়তাে বা। কিন্তু আমাদের মতাে মানুষের হাতে বা নিয়ন্ত্রণে কলম ছাড়াতাে কিছুই নেই। কোনাে এককালে কলম তলােয়ারের চেয়ে বেশি নাকি শক্তিধর ছিলাে। আমার ধারণা সুচতুর রাজনীতিবিদ কিংবা দুর্বল মসিজীবী ছাড়া কেউ এমন মিথ্যাচারকে ছড়াবার চেষ্টা করে নি। কারণ প্রাত্যহিকভাবেই দেখতে পাচ্ছি, আমাদের সমাজের জ্ঞানী-গুণীরা দিনের পর দিন কলম নিয়ে একটি লােককেও ধ্বংসযজ্ঞ থেকে বাঁচাতে পারে নি, অথচ আমাদের রাজনীতিবিদরা কী অবলীলায়, কী সফলতায়, হাজার শত যুবককে অন্ধ লাঠিয়াল বানিয়ে নিজেদের বুদ্ধির মাহাত্ম্য জাহির করছেন। আজ আমার লেখার বিষয়বস্তু পাকিস্তান, যেখানে বেশ কিছুকাল ধরেই ভয়ঙ্কর এক অস্থিরতা চলহে, এবং আমি ঐকান্তিকভাবেই আশা করি, এই ভয়ঙ্কর রক্তপাত উৎরে পাকিস্তানের সরকার এবং জনগণ শান্তি আর স্থিতিশীলতা অর্জন করুক। এই ইচ্ছেকে প্রকাশ্যে প্রচার করার মধ্যে আমার কোনাে দ্বন্দ্ব নেই। নেই কারণ, আমি পাকিস্তান এবং ভারত দুই দেশেরই সামাজিক এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রত্যাশা করি। ভাবি, রাজনীতিবিদদের মূখতায় কিংবা অতি চালাকিতে, অথবা ধর্মবাদী সন্ত্রাসবাদিদের কারসাজিতে এই দুই দেশের মধ্যে আজ পর্যন্ত যে উত্তেজনা জিইয়ে আছে, যা দুই দেশের সাধারণ মানুষদেরকে পরস্পর পরস্পরের ঘৃণার এবং শক্রতার বস্তুতে পরিণত করেছে, তা আসলে তৈরি করা সমস্যা, যা থেকে সাধারণরা কেবলমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে, উপকৃত কখনাে হয় না। আমি নিজে বাঙালির মহান মুক্তি সংগ্রামে নিজেকে যৎকিঞ্চিৎ জড়িয়ে ছিলাম ।

অস্ত্র ধরে সম্মুখ সমরে গিয়েছিলাম। বিশ্বাস করুন, সে কারণে নয়, আমি যে কথাটা আজ বলতে চাই তা একটি প্ররে বা আমার বিশ্বাসের কারণেই শুধুমাত্র । বিশ্বাস বা প্রশ্নটা আমার এমন যে, স্বাধীনতার এই রজতজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে এসেও আজ আমাকে ভাবতে হচ্ছে, যে বাঙালি লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে জাতির ইতিহাসে প্রথমবারের মতাে একটি আপন ভূখণ্ড অর্জন করতে পেরেছিলাে, সে বাঙালি তার স্বাধীনতার মর্যাদা  রক্ষায় আজ কতটা মােগ্যতা রাখতে পেরেছে। পাকিস্তানিদের সঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে, এমনকি ভালাে সম্পর্ক হবে এটাই স্বাভাবিক প্রত্যাশা আমাদের। ধর্মের নামে পাকিস্তান নামক দুঃস্বপ্নের রাষ্ট্র কাঠামাের ২৪ বছর ধরে বাঙালিদের নির্যাতন, পাকিস্তানের সামরিক কিম্বা অসামরিক কুটিল-অত্যাচারী স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ বিদ্রোহ, এমনকি ১৯৭১ সালের রক্তপাত মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করেও আজকের পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আধুনিক রাষ্ট্রাচারের নিয়মনীতিতেই পড়ে। অতএব সে সম্পর্ক যত বেশি হবে ততই আমরা খুশি হব। বাতালি, আমার ধারণায় খুবই আত্মবিস্মৃত জাত বলে, তারা অতীতকে সজনে ভুলে যায়। তবে সাম্প্রতিককালের বেশ কটি উদাহরণ দেখছি পাকিস্তানের সরকার নিয়ন্ত্রক এবং সে দেশের সরকারি কর্মকর্তারা কেউই যেন আমাদের মতাে এতটা ইতিহাস বিবৃতিতে ভােগেন না। বেইজিং নারী সম্মেলনে, মাত্র মাস কয়েক আগে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রীতিমতাে বিস্তৃত করেছেন সবাইকে বাংলাদেশে ১৯৭১-এ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ বা নারী নির্যাতন সম্পর্কিত একটি প্রশ্নের জবাবে। বেনজীর ভুট্টো নাকি কিছুই জানেন না এসব সম্পর্কে। অন্যদিকে, এই মাত্র দিন কয়েক আগে, আরেক কাণ্ড করে বসলাে ঢাকাতে অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাস। দুর্ভাগ্যক্রমে এই দুটো ঘটনাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদাকে ইচ্ছেকৃতভাবে অপমানিত করার সামিল এবং বাঙালির জন্যে অপমানকর। ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটিতে এই সমাজের সকলেই হয়তাে সাংগঠনিকভাবে যুক্ত নেই। কিন্তু স্বদেশী বা বিদেশীদের কে না জানেন এই জরুরি ভিত্তিক সংগঠনটি মুক্তিযুদ্ধের রক্তপাতের মধ্যে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের আত্মার কতটা গভীরের দাবিকে তুলে ধরছে। অথচ, সেই সংগঠনটিকে প্রত্যক্ষভাবে অপমান করতে পাকিস্তানি দূতাবাস তৎপর। লাভ হয়েছে এই, বাঙালিরা আজ যখন স্বাধীনতার ২৫তম বার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে হারানাে তিক্ততাকে তাদের স্বভাবসুলভ রীতিতে ভুলতে যাচ্ছে, পাকিস্তানি হটকারিতা তা হতে দিচ্ছে না। ব্রিটিশরা আমাদেরকে তাদের সাবজেক্ট’ ভাবতাে, কারণ তারা ছিল ঔপনিবেশিক শক্তি, অর্থাৎ আমাদের প্রভু। আর পাকিস্তানি শাসকরা বাঙালিদের শােষণ করত ধর্মের চালাকিতে। তাই অবিভক্ত পাকিস্তানের ২৪ বছরে বাঙালিরা যে আবারও নতুন করে পাকিস্তানিদের ‘প্রজা’ ছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই জাতির জন্যে সে এক উল্লেখযােগ্য ইতিহাস। কিন্তু পরবর্তী পরিস্থিতিতে সেই ইতিহাসকে শুধুমাত্র অতীতের বিষয়বস্তু ভেবে বাঙালিরা যখন পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে উন্নত সম্পর্ক প্রত্যাশা করছে, সেই তথনই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং তাদের এক শ্রেণীর কূটনীতিক তা যেন হতে দিতে চাইছেন না। এক অর্থে ঘটনাগুলাে হয়তাে মন্দও হয় নি। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী, অর্থাৎ বেনজীর ভুঠোর মন্তব্য এবং ঢাকায় অবস্থিত ইসলামাবাদের দূতাবাস কর্মকর্তাদের আচরণ, আমি জানিনে, ইতিহাসবিস্মৃত এই জাতিকে কিছুটা আত্মমর্যাদাশীল করে তুলবে কিনা। খুব যে একটা আশাবাদী আমি এ ক্ষেত্রে এমনও নয়। কারণ স্বাধীনতার ২৫ বছর। পেরুতে চল্পেও আমাদের কোনাে সরকার না পেরেছে পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে, না পেরেছে পাকিস্তানের কোনাে সরকারকে বলতে যে, তােমাদের সেনাবাহিনী যে ত্রিশ লাখ মানুষ মেরেছে, তাদের হাতে। মানবতার যে লাঞ্ছনা হয়েছে ১৯৭১ সালে, যে নারী নির্যাতন হয়েছে, তার জন্যে তােমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর। , আমাদের কোনাে সরকার তা পারে নি কিম্বা করে নি। করলে বা পারলে, আমার । দৃঢ় বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো একথা অন্তত বলতে লজ্জাবােধ করতেন যে, ১৯৭১ সালে তার দেশের সেনাবাহিনী বাংলাদেশে কী করেছে তা তিনি বেমালুম জানেন না, কিন্তু ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তানি দূতাবাস ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জাতীয় নেতাদের হাত থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করতে দূতাবাসের একজন দারােয়ানকে। অন্তত পাঠাতাে না। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যে যুদ্ধ, সে যুদ্ধে গােটা জাতির অংশগ্রহণ ছিলো। স্বাধীনতা। অর্জনের জন্যে যতটা ত্যাগ স্বীকার জরুরি তার পুরােটাই করেছে আমাদের মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতাকে অভ্যন্তরীণ এবং বহিঃশত্রুর হাত থেকে নিরাপদে রাখতে, কিম্বা তাকে ফলপ্রসূ সু-সংহত করতে, আমাদের রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রনায়কদের ব্যর্থতা। উল্লেখযােগ্য বলেই মুক্তিযুদ্ধের ২৫ বছর পূর্তির দ্বারপ্রান্তে এসেও রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতাসার্বভৌমত্বকে নিয়ে আমাদের সংকট কমে নি এখনাে। এই মাত্র ক’দিন আগের ঘটনা। পর পর বেশ কয়েকজন জাপানি প্রধানমন্ত্রী বর্বর জাপ। বাহিনীর দ্বিতীয় মহাযুদ্ধকালীন অপরাধের জন্যে মাঞ্চুরিয়ার জনগণের কাছে এবং কোরিয়ার জনগণ, বিশেষ করে সে দেশের মহিলাদের কাছে, ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সেই আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনার দৃশ্য। টেলিভিশনের পর্দায় অনেকেই দেখেছি আমরা।

আমাদের ধারণা, জাপানে রাজনৈতিক নেতাদের এই সিদ্ধান্ত, এই আধুনিক পৃথিবীর কাছে এক উল্লেখযােগ্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। জাপানের একজন সরকার প্রধান, পঞ্চাশ বছর পরও, তার দেশের সেনাবাহিনীর হাতে সংঘটিত নৃশংসতার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কেন? প্রশ্নটির উত্তর খুব কঠিন কিছু নয়। জাপানি নেতারা চাইছেন, তাদের সেনাবাহিনীর হাতে সংঘটিত বর্বরতা, যা ভিনদেশের জনগােষ্ঠীর বুকে ক্ষতচিহ্ন হয়ে আছে যুগের পর যুগ, নিজেদের সভ্যতার দাবিতেই মুছে দেয়া উচিত এখন। ইতিহাসকে স্বীকার করে ৫০ বছর আগের সে অপরাধ নিজেদের ঘাড়ে তুলে নিতে এই সৎসাহস তাকে উদাহরণযােগ্য বলতে হয় বৈকি। মাত্র ক’দিন আগে, অন্যদিকে এক মার্কিন সেনা জাপানি এক মহিলার স্ত্রমহানির জন্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষদের কাছে, যাদের প্রায় প্রতিজনের পরিবারের কেউ না কেউ নিহত নিপীড়িত-লুষ্ঠিত হয়েছিলাে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে, এই মাত্র ২৫ বছর আগে কোনাে পাকিস্তানি সরকার আজও পর্যন্ত একটিবারের জন্যেও ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। যুক্তিটা হয়তাে বা এ রকম বাঙালিদের শায়েস্তা করতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে বর্বরতা করেছে তা ঠিক করেছে অতএব ক্ষমাটমা, ওসব আবার কেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, পাকিস্তানের কোনাে সরকার না হয় ব্যাপারটা করে নি বা করার প্রয়ােজন বােধ করে নি, আমাদের কোনাে সরকারও কি আজও পর্যন্ত এমন একটা দাবি তােলার প্রয়ােজন বােধ করেছে ? না, সেই যােগ্য কাজটা হয়ে ওঠে নি বাংলাদেশের কোনাে সরকারের পক্ষ থেকে।

যদি হত, তাহলে আমি নিশ্চিত যে প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো ১৯৭১-এর নারকীয়তা নিয়ে এমন ঠাট্টা উপহাস নিশ্চয় করতে পারতেন না। আর পারত না পাকিস্তানের কোনাে দূতাবাস কর্মকর্তা তাদের অফিসের দারােয়ান পাঠিয়ে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতাদের হাত থেকে স্মারকলিপি নেয়ার ঔদ্ধত্য দেখাতে। আমি বিশ্বাস করি, সরকার অনেক ক্ষেত্রেই জাতির বিবেকের প্রতিনিধিত্ব করে না। এই মন্তব্যে ভুল নেই একেবারে । কিন্তু তাই বলে সরকার করেন না বা করতে ইচ্ছুক নন বলেই জরুরি কাজটুকু ফেলে রাখা সমীচীন হয় না। আমার ধারণা, আমাদের প্রতিটি গণসংগঠন, মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়া প্রতিটি ব্যক্তি-সংস্থার ব্যানার থেকে এক্ষুণি সােচ্চার দাবি ওঠা উচিত। কেন পাকিস্তান ক্ষমা চাইবে না। না, বাংলাদেশের মানুষদের কাছে পাকিস্তানের সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে রাজনীতির কোনাে কারণে নয়, জেদ বা মান-অভিমানের প্রয়ােজনে নয়, চাইতে হবে ইতিহাসকে স্বীকার করতেই। আর এটাই প্রমাণ করতে, যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রনায়করা, যারা আজ পাকিস্তানকে পরিচালিত করছেন, তারা কৃত অপরাধকে স্বীকার করে নিজেদেরকে সভ্য এবং মানবতাবাদী ভাবতে কুষ্ঠবােধ করেন না। আমার বিশ্বাস, দুই দেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস অনেক বেশি দূরীভূত হবে যদি পাকিস্তানের সরকার প্রধান এমন একটি কাজ করার সৎ সাহস দেখাতে কাল বিলম্ব না করে এগিয়ে আসেন। আমার এই আহ্বান আজকের বন্ধু-প্রতিম পাকিস্তানি জনগণের বা তাদের সরকারের প্রতি বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা দেখাতে নয়, বরং আমাদের ভালােবাসা আর সহযােগিতা যেন আরও বেশি গভীরতর হয়, কথিত সে লক্ষ্যেই। আমরা চাই, নতুন প্রজন্মের, আধুনিক চিন্তাধারার পাকিস্তানিরা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে ঘৃণা করতে এগিয়ে আসুন, এবং আমার বিশ্বাস, অন্তত বেনজীর ভুয়োর নেতৃত্বাধীন সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অনুধাবন করবে। কারণ, এখানে সেখানে যাই তিনি মন্তব্য করে থাকুন না কেন, তিনি অন্তত তকালীন পূর্ব “কতানে তার দেশের সেনাবাহিনী কী করেছিলে, তা অবশ্যই জানবেন। বেনজীর তখন শিশু ছিলেন না মােটেই। টগবগে তরুণী ছিলেন। অন্তত এতটুকু সৎ সাহস আশা করতে পারি তার কাছ থেকে।

জানুয়ারি, ১৯৯৩

সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত প্রবন্ধ হারুন হাবীব

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!