১৫ মার্চ ১৯৭১ঃ ভুট্টোর বিবৃতির প্রতিবাদ
জমিয়তে উলামা ইসলাম সাধারন সম্পাদক মুফতি মাহমুদ করাচীতে ভুট্টোর করাচীর সাংবাদিক সম্মেলনের বিবৃতির প্রতিবাদ করে বলেন জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল একটিই এবং সেটি হল আওয়ামী লীগ শেখ মুজিব যার নেতা। ভুট্টো নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে ক্ষমতার ভাগ চাচ্ছেন যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অযৌক্তিক। ভুট্টোর মন্তব্বের প্রতিবাদে করাচীতে স্থানীয় জনগন এবং বাঙ্গালী ছাত্রদের একটি বিক্ষোভ মিছিল নিস্তার পার্কের কাছেই ভুট্টোর গাড়ী আটকিয়ে বিক্ষোভ করে। তারা ভুট্টোর কাছ থেকে তারা তাদের উপস্থিতিতে সংশোধনী বিবৃতি দাবী করে। ভুট্টো তাদের সময়াভাবে তা করতে পারছেন না বলে বুঝিয়ে সুঝিয়ে চলে যান। জামাত প্রাদেশিক আমীর গোলাম আজম এক বিবৃতিতে বলেছেন ভুট্টো আসলে এক পাকিস্তান চাহেন না। ভুট্টোর দাবীর প্রতি কর্ণপাত না করার জন্য তিনি ইয়াহিয়ার প্রতি আহবান জানান। পিডিপি প্রাদেশিক প্রধান নুরুল আমীন ভুট্টোর প্রস্তাবকে অবাস্তব বলেছেন। একটি পরিষদে দুটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দল থাকতে পারেনা। ন্যাপ প্রধান ওয়ালী খান বলেন ৭০ এর জুলাই থেকে এক ইউনিট আর নেই তাই ভুট্টো ৪ প্রদেশের পরিবর্তে পশ্চিম পাকিস্তান প্রদেশ বলতে পারেন না। তাই তার দলের কাছে কেন্দ্রের ক্ষমতার হিস্যা দেয়ার প্রশ্নই আসেনা।
কাউন্সিল মুসলিম লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম ভুট্টোর বিবৃতিকে অবাস্তব বলে বলেন ভুট্টোর উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশকে বিভক্ত করে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া। ন্যাপ ভাসানি নেতা ও পাকিস্তান বার কাউন্সিল সহসভাপতি আলিম আল রাজী ভুট্টোর দাবীকে হাস্যকর ও অবান্তর বলেছেন। তিনি বলেন একটি পরিষদে একটি দল সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকে।