৫ মার্চ, ১৯৭১ঃ আন্দোলন ৫ম দিনে
৫ম দিনের মত হরতাল পালনকালে টঙ্গীতে ২০ হাজার লোক বিক্ষোভ করে। তারা গত কয়েকদিনে নিহতদের গায়েবানা জানাজা শেষে এলাকা ত্যাগ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে একদল শ্রমিক মেঘনা টেক্সটাইলের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। মিলের কাছাকাছি পৌছলে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের গুলিতে টঙ্গী শিল্প এলাকায় ৪ জন শ্রমিক শহীদ হন এবং ২৫ জন শ্রমিক আহত হন। নিহতদের দুজন চান্দা ব্যাটারির, একজন তিস্তা সিগারেট কোম্পানির এবং একজন অলিম্পিয়া টেক্সটাইলের শ্রমিক। মেঘনা টেক্সটাইলের নিরাপত্তা অফিসার এক্সচেঞ্জ থেকে কাঙ্ক্ষিত লাইন না পাওয়াকে কেন্দ্র করে টেলিফোন অপারেটরকে প্রহার করেন।
চট্টগ্রামে পোর্ট ট্রাস্ট উত্তর কলোনিতে ৪ জন নিহত হয়েছে এবং আগের আহত দের মধ্য হতে ১৪ জন নিহত হয়েছে। চট্টগ্রামে ৫ দিনে ১৩৮ জন নিহত হয়। এদিনে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ভর্তি আহত ২২১ জন। এদিন পিআইএ এর কোন ফ্লাইট আসেনি এবং যায়নি। বঙ্গবন্ধুর স্বাধিকার আন্দোলনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিকেলে লেখক সংঘ, কবি-সাহিত্যিক ও শিক্ষকবৃন্দ মিছিল নিয়ে রাজপথে নেমে আসেন। ছাত্রলীগ ও ডাকসুর উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের হয়। ছাত্র ইউনিয়ন শহীদ মিনারে সমাবেশ করে। শ্রমিক লীগ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করে। সন্ধ্যায় সরকারিভাবে ঘোষনা করা হয়, আজ ঢাকায় সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।