৪ মার্চ, ১৯৭১ঃ আন্দোলন
জাতীয় পরিষদ অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা ও গণহত্যার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঢাকা-সহ সারা বাংলায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। চট্টগ্রামের আমবাগান ও পাহাড়তলীতে আজ নয়জন নিহত হয়। ৪ মার্চ পর্যন্ত প্রদেশে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২১ জনে। আজ চট্টগ্রাম মেডিক্যালে আহত ১৯ জনকে ভর্তি করা হয়। হরতাল চলাকালে খুলনার টেলিফোন এক্সচেঞ্জ এর সামনে সেনাবাহিনীর গুলিতে ৩ জন নিহত হন অনেক আহত হয় আহতদের মধ্যে ৩ জন পরে মারা যায়। খুলনায় একজন আন্দোলনকারীদের উপর বোমা হামলাকালে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া খেয়ে এক কালভার্ট এর নীচে আশ্রয় নেয়। কালভার্ট এর দুপাশে জনতা আগুন ধরিয়ে দিলে সে মারা যায়। নিহত মোহাম্মদ হোসেন নামের যুবকের বাড়ী গোপালগঞ্জ। খুলনায় একটি বন্দুকের দোকান লুট হয়। লুটের বন্দুক ব্যাবহার করে জনতা পুলিশের উপর হামলা চালালে ৪ পুলিশ আহত হয়। সারাদিনে তেজগাও বিমানবন্দরে একটি সি ১৩০ বিমান অবতরন করে। ঢাকায় কারফিউ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বায়তুল মোকাররমে ছাত্রলীগের উদ্যোগে নিহতদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।