You dont have javascript enabled! Please enable it! 1972.01.30 | মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে কোথায় ছিলেন জহির রায়হান? - সংগ্রামের নোটবুক

মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোতে কোথায় ছিলেন জহির রায়হান?

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের ১৫ তম খণ্ড থেকে জহির রায়হানের যুদ্ধকালীন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া যায়। যেগুলোকে ক্রোনোলজিকালি সাজিয়ে দেখা যাকঃ
.
পৃষ্ঠা ১৩৫-এ বাংলা শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও ভাসানিপন্থি ন্যাপ নেতা কাজী জাফর আহমেদ বলেনঃ

“২৫ মার্চ রাতে পাকিস্থানের সেনাবাহিনী তাদের পৈশাচিক হত্যাকান্ড শুরু করলে আমি আশ্রয় নেই এদেশের প্রগতিশীল সিনেমা আন্দোলনের পথিকৃত শহীদ জহির রায়হানের বাসায়। তিনি এবং তার স্ত্রী নিজেদের জীবনের ঝুকি নিয়ে আমাকে তিন দিনের আশ্রয় দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, জহির রায়হানের গাড়িটিও আমাদের দিয়েছিলেন ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্যে। এই গাড়ী নিয়েই আমি ঢাকা জেলার শিবপুর চলে যাই সেখানে আমাদের সংগঠনের নেতা মান্নান ভূঁইয়া গড়ে তুলেছিলেন এক বিরাট গেরিলা বাহিনী। উল্লেখ করা দরকার যে জহির রায়হানের গাড়িটি যুদ্ধের গোটা সময়টাতেই শিবপুরে ছিল এবং আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা এটাকে বিভিন্ন কাজে লাগিয়েছিলেন।“
.
পৃষ্ঠা ১৩২-এ সাংবাদিক ওয়াহিদুল হক বলেনঃ

“এপ্রিলের শেষ দিকে খবর আসে যে ‘জয় বাংলা’ নামে একটি পত্রিকা বের হচ্ছে। এর অফিস বালু হাক-কাক লেনে। এও খবর শুনি আব্দুল মান্নান এই পত্রিকার দায়িত্বে আছেন। জহির রায়হান তাঁর সাথে যোগাযোগ করেছিলেন কিন্তু তাঁকে সাময়িক ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। যা হোক বেতার কেন্দ্রের ব্যাপার নিয়ে আমরা আবার ব্যস্ত হয়ে পড়ি। শামসুল হুদা চৌধুরী, মোস্তফা মনোয়ার, কামরুল হাসান, এম. আর. আখতার মুকুল এবং আমি একটি কমিটি গঠন করি। সার্কাস এভিনিউ-এর বাসায় আমরা বসতাম। ঠিক হয় যে জামিল চৌধুরী এবং মোস্তফা মনোয়ার বাজেট ও কর্মী তালিকা তৈরি করবেন। তাঁরা তা প্রস্তুত করেন এবং হিসেব দাঁড়ায় মাসিক ১৮,০০০ টাকা সব খরচ ধরে। কিন্তু আওয়ামী লীগ মহলে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে বাজেট ধরা হয়েছে দৈনিক ১৮,০০০ টাকা। এই সব ঘটনার পর আমরা বেতার কেন্দ্র থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি নিজেদের ইচ্ছায়।“
.
পৃষ্ঠা ৩১০-এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এবং বাংলাদেশ আর্কাইভসের সভাপতি সৈয়দ আলী আহসান বলেনঃ

“জুলাই মাসে সময় মিসেস লী থ (Lee Thaw) নামক এক ভদ্রমহিলা কোলকাতায় আসেন এবং ওবেরয় গ্রান্ড হোটেল অবস্থান করেন। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক উদ্বাস্তু সমিতির (International Refugee Organization) প্রতিনিধি। তিনি লোকদের জন্য কিছু সাহায্য এনেছিলেন। তার অর্থদানের পাত্র ছিল সৃষ্টিধর্মী লেখক, শিল্পী এবং সাংবাদিক। ৫-৭-৭১ তারিখে আমি মিসেস থ কর্তৃক অনুরুদ্ধ হয়ে লেখক এবং সাংবাদিকদের একটি তালিকা তাকে প্রদান করি। সে তালিকা অনুসারে যারা পূর্বের সাহায্য সংস্থা থেকে কিছু পান নি এবং সৃষ্টিশীল লেখক, শিল্পী এবং সাংবাদিক, তাদের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ করা হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে ১১জন লেখক, শিল্পী এবং সাংবাদিককে ৫ হাজার ৮ শত টাকা দেয়া হয়েছিল এবং পরবর্তী পর্যায়ে ২২ হাজার ৫ শত টাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। যারা সাহায্য পেয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে শিল্পী কামরুল হাসান, জহির রায়হান, অভিনেত্রী সুমিতা এবং আরো অনেকে ছিলেন।“
.
পৃষ্ঠা ১৩২ অনুযায়ী, সাংবাদিক ওয়াহিদুল হক আবার বলেনঃ

“সেপ্টেম্বর মাসে দুটো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। প্রথম, বিভিন্ন শিল্পী ও সাহিত্যিকদের একত্র করে একটি সংগঠন করা হয়। এর নাম দেয়া হয় ‘লিবারেশন কাউন্সিল অফ দি ইনটেলিজেন্টসিয়া’। এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন অধ্যাপক এ.আর.মল্লিক। জহির রায়হান এবং আলমগীর কবীর এই সংগঠনে বেশ সক্রিয় ছিলেন।“
.
এই লিবারেশন কাউন্সিল অব ইন্টেলিজেন্টসিয়া গঠন নিয়ে পৃষ্ঠা ৭-এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ আন্দোলনের অন্যতম নেতা আজিজুর রহমান মল্লিক বলেনঃ

“কলকাতায় এসে আমার প্রথম কাজ হয় বাংলাদেশ লিবারেশন কাউন্সিল অব ইন্টেলিজেন্টসিয়া গঠন করা। দেশের যেসব বুদ্ধিজীবী,শিল্পী ও অন্যান্য সংস্কৃতিকর্মী ততদিনে কলকাতায় শরণার্থী হয়েছেন, তাঁদের সংগঠিত করে মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে কাজ করা ছিল এর উদ্দেশ্য। আমি সভাপতি নির্বাচিত হই, জহির রায়হান নির্বাচিত হন সাধারণ সম্পাদক। সৈয়দ আলী আহসান, সারওয়ার মুর্শিদ, ব্রজেন দাশ, ফয়েজ আহমদ, কামরুল হাসান প্রমুখ এই কমিটি তে ছিলেন। প্রথম দিকে এই কমিটির কর্মকর্তাদের কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয় আমার প্রাক্তন ছাত্রী, সেসময়ে লরেটো কলেজের অধ্যাপিকা ডঃ পি সি ঘোষ এর বাসভবনে। তিনি এবং তাঁর স্বামী কমল ঘোষ ব্যক্তিগতভাবেই কমিটির কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন এবং সভার অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচাদির ব্যয়ভার বহন করতেন। এই বুদ্ধিজীবী সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে নেতাজী রিসার্চ ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। এখানে আমার দুই মেয়ে এমি ও রানা তথ্য সংগ্রহের ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবিকা হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমি, মুক্তিযুদ্ধের গতি, শরণার্থীদের অবস্থা প্রভৃতি বিষয়ে তথ্য সংগৃহীত হয়। অরুপ চৌধুরীর অফিসও এই পরিষদের কাজে এবং পরবর্তীতে স্থাপিত শিক্ষক সমিতির কাজে ব্যবহার করা হয়। পরে বাংলাদেশের শিল্পীদের দিয়ে বিভিন্ন স্থানে সঙ্গীতানুষ্ঠান ও প্রচারমূলক বক্তৃতাদানের ব্যবস্থাও হয় পরিষদের উদ্যোগে। এর কাজে কলকাতার মৈত্রেয়ী দেবী, গৌরী আইয়ুব, বিচারপতি মাসুদ এবং অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মাহমুদ খুব সাহায্য করেছিলেন।“
.
একইভাবে লিবারেশন কাউন্সিল অব ইন্টেলিজেন্টসিয়া গঠন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের তদকালীন রিডার পদে কর্মরত এবং জুলাই ৭১ হতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সম্পাদক ডঃ অজয় রায় ৩২৬ নং পৃষ্ঠায় বলেন,

“বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি নামক দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠান কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করে যায়।

প্রায় একই সাথে সকল স্তরের বুদ্ধিজীবিদের সংগঠন বাংলাদেশ ‘লিবারেশন কাউন্সিল অব ইন্টেলিজেন্টশিয়া’ গড়ে তোলা হয়। এর সভাপতি ছিলেন ডঃ খান সারওয়ার মুর্শেদ, সম্পাদক ও সহসম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান ও ড. বেলায়েত হোসেন। এই সংগঠনের প্রযোজনায় জহির রায়হান ‘Stop Genocide’ ছবিটি নির্মাণ করেন।“
.
লিবারেশন কাউন্সিল অব ইন্টেলিজেন্টসিয়া সম্পর্কে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যোগ করে অধ্যাপক আজিজুর রহমান মল্লিক, পৃষ্ঠা ৮-

“’লিবারেশন কাউন্সিল অব ইন্টেলিজেন্টসিয়া’ গঠন করা নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কেউ কেউ সরকারকে এমন ধারণা দিয়েছিলেন যে সরকারী যে উদ্যোগের বাইরে যেভাবে আমরা এই পরিষদ গঠন করেছি তাতে সরকারের সঙ্গে অসহযোগের সম্ভাবনাই বেশী থাকবে। আমাদের মধ্যে আবার কেউ কেউ এমন ধারনা করেছিলেন যে সরকার এক ধরনের দলীয় নিয়ন্ত্রণ আমাদের ওপরে আরোপ করতে যাচ্ছেন। শিক্ষক সমিতি গঠনের পূর্বমুহূর্তেও আবার এ ধরনের একটা ভাবের সৃষ্টি হয়। ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম এমপি ও জনাব কামরুজ্জামান এমপি’র মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন এক সন্ধ্যায় আমাকে ও আনিসুজ্জামানকে ডেকে পাঠান। তিনি বলেন যে, আনিসুজ্জামান প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে যুক্ত থাকলে তাঁর কাজে সুবিধা হবে অতএব তাঁকে যেন শিক্ষক সমিতিতে বড় দায়িত্ব না দেয়া হয়। আমিরুল ইসলাম ও একই বক্তব্য সমর্থন করেন। কিন্তু আমরা আগে থেকে যেভাবে ভেবে এসেছিলাম তার ফলে এই প্রস্তাবে সম্মত হইনি। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকার পরিকল্পনা সেল গঠন করলে ডঃ মুজাফফর আহমদ, ডঃ সারোয়ার মুর্শিদ, ডঃ মোশাররফ হোসেন ও ডঃ স্বদেশ বসুর সঙ্গে ডঃ আনিসুজ্জামানকে তার সদস্য করা হয় তখন আনিসুজ্জামান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ত্যাগ করেন এবং সেই ভার অর্পিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ অজয় রায়ের ওপরে।“
.
জহির রায়হানের আরেকটি ছবি ‘জীবন থেকে নেয়া’ নিয়ে পৃষ্ঠা ১৩৩-এ সাংবাদিক ওয়াহিদুল হক আবার বলেনঃ

“জহির রায়হান ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। কি প্রচণ্ড পরিশ্রমে সংগঠনের জন্য কাজ করেছেন তা বলা যায় না। একটা বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করা যায়। একদিন হঠাৎ খবর পাওয়া গেল যে ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবির একটি প্রিন্ট কলকাতায় এসেছে। সারাদিন খোঁজের পর পাওয়া গেল সেটি। শেরপুর এলাকার একটি সিনেমা হলের মালিক সাহস করে নিয়ে এসেছেন। মালিক জানালেন এটা তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং প্রিন্ট তিনি দেবেন না। তখন মীমাংসায় বসা হলো। জনাব খায়ের (সংসদ সদস্য) এর দায়িত্ব নিলেন। ষাট হাজার টাকা নগদ দেওয়া হলো মালিককে। এরপর ঠিক হলো ছবি দেখিয়ে যা আয় হবে তার অর্ধেক পাবে শিল্পীরা আর বাকিটা পাবে এম.সি.এ.। জহির রায়হান নিজে কিছুই নিলেন না। মনে রাখা দরকার সবার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।…

…তখন ডিসেম্বর মাস। আমি গেলাম জহির রায়হানের কাছে এই ব্যাপারে আলাপ করা জন্য। তাকে খুব আনমনা মনে হচ্ছিল। আমি কথাটা তুলতেই তিনি হঠাৎ বলে উঠলেন, “ওয়াহিদ ভাই, এসবের প্রয়োজন হবে না। আমি ১৬ তারিখ ঢাকায় যাচ্ছি।” আমি এই কথার কোনো কিছুই বুঝলাম না। কারণ, দেশ যে মাত্র কদিন পরই স্বাধীন হবে ভাবিনি। যখন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয় যে দেশ স্বাধীন তখন আমি নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দিন সাহেবের সাথে ছিলাম। আনন্দে যে কি করেছি তা বলার নয়। ১৬ তারিখেই দেশ স্বাধীন হয়। সেদিনের কথা জহির রায়হান বলেছিলেন দু’সপ্তাহ আগে।“
.
.
জহির রায়হান ১৯৭২ সালের জানুয়ারির ৩০ তারিখে মিরপুরের বিহারী পল্লীতে মুক্তিযুদ্ধে নিখোঁজ সহোদর শহীদুল্লাহ কায়সারের খোঁজে গিয়ে আর ফেরেন নাই। ধারণা করা হয় রফিক নামক একজন সি আই এ এর গুপ্তচরের টেলিফোন পেয়ে তিনি মিরপুরে যান। শহীদুল্লাহ কায়সারকে বিহারীরা আটকে রেখেছে মিরপুরে, ফোনে এই খবর দিয়ে তাঁকে ডেকে নেয়া হয়। মিরপুর বিহারী এবং পাকিস্তানী সেনাদের দখলে থাকায় সেখানে সিভিলিয়ানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ভারতীয় সেনারা এই জায়গাটিকে ঘিরে রেখেছিল আগে থেকেই। ৩০ জানুয়ারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে এ অঞ্চলকে মুক্ত করার দায়িত্ব দিয়ে তারা সতে যান। এই দলের সাথে মিরপুরে প্রবেশ করেন জহির রায়হান। সেনাদের মাঝে একমাত্র সিভিলিয়ান ছিলেন জহির। সেনারা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে ছড়িয়ে পড়ে পুরো মিরপুর। এর মধ্যে মিরপুর সাড়ে এগারো নম্বর ধরে ১২ নম্বর সেকশনের দিকে যে দলটি গিয়েছিল তাতে ছিলেন জহির। দলটিতে ছিল প্রায় ৪৫-৫০ জন সেনা। গাড়িগুলো মিরপুর সাড়ে এগারো হতে ধীরে ধীরে মিরপুর ১২-এর দিকে অগ্রসর হতে হতে পানির ট্যাংকটার সামনে এসে থামে। হঠাৎই সকাল এগারোটার দিকে আচমকা কয়েকশো বিহারী এবং সাদা পোশাকের ছদ্মবেশে থাকা পাকিস্তান সেনারা ভারী অস্ত্র এবং ড্যাগার কিরিচ নিয়ে আল্লাহু আকবর স্লোগান দিতে দিতে এই দলটির উপর হামলা করে। প্রথমে ব্রাশফায়ারেই লুটিয়ে পড়েন জহির, একটু পর বিহারিগুলো প্রচণ্ড আক্রোশে জানোয়ারের হিংস্রতায় কুপিয়ে, খুঁচিয়ে, গুলি করে হত্যা করে প্রায় সবাইকে। তারপর কোপাতে কোপাতে লাশগুলো টেনে নিয়ে যায় মুসলিম বাজারের নুরী মসজিদের পেছনের ডোবার দিকে। প্রতিভাবান এই মানুষটি শহীদ হন স্বাধীন বাংলায়!
.