রিলিফ ফান্ডের টাকা তছরূপ?
(দর্পণের সংবাদদাতা)
রিলিফের টাকা-পয়সা অপব্যবহারের এক গুরুতর অভিযােগ দর্পণের কাছে এসেছে। চৌত্রিশ নং ইন্ডিয়ান মিরর স্ট্রিটে গােপালচন্দ্র কুমারের বাড়ির দোতলাতে অনেক দিন আগে বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম সহায়ক কমিটির এক অফিস বসে। ভদ্রলােক নিজে গভর্নমেন্ট কন্ট্রাকটর। চালাক চতুর মানুষ। রিলিফ ফান্ডের অফিসের জন্যে নিজেই উদ্যোগী হয়ে বাড়ির একাংশ ছেড়ে দেন। বিভিন্ন সূত্র থেকে টাকাপয়সার আনাগােনাও এরপর শুরু হয়। গত জুন মাসের শেষের দিকে রিলিফের কাজে মশারি জামাকাপড় কেনার জন্যে এক টেন্ডার ডাকা হয়। তিরিশে জুন টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল। যদিও টেন্ডার খােলা হয়নি তবু প্রায় লাখ টাকার মাল বিনা টেন্ডারেই কেনাকাটা হয়ে গেছে। তবে সুখের কথা, শােনা গেল, উক্ত গােপালকুমার কমিটির একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং রিলিফ কমিটির অফিস প্রতিষ্ঠার পর ইতিমধ্যেই তিনি নাকি তার ঋণের বােঝা অনেক কমিয়ে ফেলেছেন। আরও অনেক অভিযােগ রয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখযােগ্য কমিটির প্রেসিডেন্ট হলেন অজয় মুখার্জি।
সূত্র: দর্পণ
১০.০৯.১৯৭১