You dont have javascript enabled! Please enable it!

মুলনীতি কমিটির অন্তরবর্তিকালীন রিপোর্ট | পাকিস্তান গনপরিষদ | ৭ই নভেম্বর ,১৯৫০

বরাবর
পাকিস্তান গনপরিসদ ,
করাচী
গনপরিষদ আইনের ধারা ৭২(১) এর বিধান অনুযায়ী আমি এর সাথে মুল নিতিমালা কমিটির রস্ট্রিয় এবং প্রাদেশিক সংবিধান ও ক্ষমতা বন্টন সংক্রান্ত অন্তরবর্তীকালিন প্রতিবেদন পেশ করছি ।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ে সংসদে উত্থাপিত আলোচনা অনুযায়ী গনপরিষদ গৃহিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক যেই নীতিস্মুহের ভিত্তিতে পাকিস্তানের সংবিধান এর রূপরেখা নির্ধারিত হবে সেগুলির বিষয়ে প্রতিবেদন পেশ করার জন্য মূল নীতিমালা কমিটিকে ১৯৪৯ সালের ১২ মার্চ নিজুক্ত করা হয় ; গৃহিত সিদ্ধান্তের মূল পাঠ্যাংশ অংযোজনি ১ এ দেওয়া আছে ।এর সদস্য হিসাবে পূর্ব-বাংলা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রি ,সিও ও এন,ডাব্লিও,এফ,পি এবং মাননীয় বিচারপতি আব্দুর রশিদ কে সহ যোজিত করা হয়েছিল ।
মূল কমিটির কার্যপরিধি, কার্য বিবরণী এবং কার্য-পদ্ধতি বিষয়ে একটি প্রতিবেদন করার জন্য মূল নীতিমালা কমিটির একটি পরিচালনা উপ-কমিটি নিয়োজিত করে এবং সেই প্রতিবেদন অনুসারেই নিম্নোক্ত তিনটি উপ-কমিটিকে রুপদাঙ্কারী মুল নীতিমালাসমুহ প্রস্তাবনার জন্য নিযুক্ত করেঃ
১। রাষ্ট্রীয় এবং প্রাদেশিক সংবিধান ও ক্ষমতা বন্টন বিহয়ক উপকমিটি
২, ভোটাধিকার বিষয়ক উপকমিটি
৩।বিচার বিষয়ক উপ-কমিটি ।
এছাড়া ৫ সদস্য বিশিস্ট তালিমাত-ইস্লামিয়া বোর্ড গঠনের সিধান্ত নেওয়া হয় ।এই বোর্ডকে লক্ষ্য নির্ধারন এবং মুলনীতিমালা কমিটি অথবা অন্য উপকমিটির কার্যাবলী বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে উপদেশ প্রদানের জন্য বলা হয়।
৪ জন সদস্য নিয়ে তালমিয়াত-ইস্লামিয়া বোর্ড ১৯৪৯ এর সেপ্টেম্বার থেকে কার্যকর হয়। তখনও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মওলানা সুলাইমান নাদবি দ্বায়িত্ব নেন নি।উপকমিটি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় এবং প্রাদেশিক সাংবিধানিক কমিটীর একটি বিশেষ কমিটি, তালিমাত-ই-ইস্লামিয়া বোর্ড এবং প্রতিবেদন সহকারে তাদের প্রস্তাবনা নিরীক্ষিত ও বিবেচিত হয়।
রাষ্ট্রীয় এবং প্রাদেশিক সংবিধান ও ক্ষমতা বন্টন বিষয়ক উপ-কমিটি এর প্রতিবেদন ১১ জুলাই,১৯৪৯ তারিখে জমা দেয় ।এবং মুলকমিটি ১৯৫০সালের ৫,৯,১০,১১ আগস্ট সভা চলাকালে এই প্রতিবেদন বিবেচনায় আনে। ভোটাধীকার এবং বিচার বিষয়ক অন্য দুটি উপকমিটির প্রতিবেদন তখনও পেশ করা হয়নি ।

অর্থনৈতিক বন্টন, পরিভাষা, রাজ্য প্রধানের যোগ্যতা প্রভৃতির মত কিছু বিষয়ে কমিটি তখনও তাদের প্রস্তাবনা পুরাপুরি সম্পন্ন করে উঠতে পারেনি ।
মুলনীতিমালা কমিটির সুপারিস সমুহ যথাযথ ভাবে সংসদে অন্তর্বর্তীকালিন প্রতিবেদন সরূপ উপস্থাপিত হয়। কমিটীর পরিকল্পনা মোতাবেক শুধুমাত্র মূল নীতিমালা নিয়েই কাজ করা হয়।
সংযোজনি ২ ও ৩ এ কমিটির সুপারিশ সমূহ দেওয়া আছে। সংযোজনি ২ এ প্রদত্ত সুপারিশ সমূহ নিম্নে প্রদত্ত খেত্রগুলো নিয়ে ছিলঃ
১। রাষ্ট্রসংঘের ধরন
২। রাষ্ট্রীয় ্সংবিধানের বৈশিষ্ট সমুহ
৩। আইনসভার ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৪। রাষ্ট্র প্রধানের ক্ষমতা ও কার্যাবলী
৫। অবশিষ্ট ক্ষমতার নীতিমালা
৬। আইনসভার দ্বন্দ সঙ্ক্রান্ত নীতিমালা এবং
৭। অর্থনৈতিক সহ-প্রশাসনিক ক্ষমতার বন্টন
আইনসভার জন্য কেন্দ্রে এবং প্রদেশে বিভিন্ন বিষয়ের বন্টন এবং নিম্নোক্ত তালিকার বিষয়গুলি নিয়ে সংযোজনি ৩ গঠিতঃ
১। কেন্দ্রীয় আইনসভাকে প্রদত্ত ক্ষমতার তালিকা
২। প্রাদেশিক আইনসভাকে প্রদত্ত ক্ষমতার তালিকা
৩। সহঘটিত বিষয়াবলির তালিকা
কেন্দ্র এবং প্রদেশের ভেতর অর্থনৈতিক বন্টন বিষয়ক প্রশ্ন গুলো নিরিক্ষনের জন্য কমিটি পাকিস্থান কেন্দ্রীয় বাংকের গভর্নর জনাব জাহিদ হুসেইনকে বিশেষজ্ঞ হিসাবে নিযুক্ত করে।
মুলনীতিমালা কমিটি যথোপযুক্ত পরিভাষা নির্ধারনের জন্যও ডক্টর মাহামুদ হুসেইন কে আহ্বায়ক এবং ডঃ ই হ কুরেইশি কে সদস্য করে একটি কমিটী গঠনের মাধ্যমে নিযুক্ত করে ।

তাজুদ্দিন খান
চেয়ারম্যান
মূলনীতিমালা কমিটি
করাচী,
সেপ্টেম্বর ৭,১৯৫০ ।

সংযুক্তি ১
সমাধান
যে এই আইনসভা বিধান দেয় যে এই কমিটি প্রেসিডেন্ট সহ নিম্নোক্ত নামের সদস্য বিশিষ্ট হবেঃ
(০১) মাননীয় জনাব মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান,
(০২) মাননীয় জনাব ঘুলাম মুহাম্মেদ,
(০৩) মাননীয় সরদার আব্দুর রব খান নিশতার,
(০৪) মাননীয় খাজা শাহাবুদ্দীন,
(০৫) মাননীয় জনাব পীরজাদা আব্দুস সাত্তার,
(০৬) মাননীয় জনাব ফজলুর রহমান,
(০৭) মাননীয় জনাব জগেন্দ্রনাথ মন্ডল
(০৮) ড. ওমর হায়াত মালিক,
(০৯) মাওলানা সাব্বির আহমেদ উসমানী
(১০) ড. ইশতিয়াক হুসাইন কুরেশী,
(১১) জনাব কামিনী কুমার দত্ত,
(১২) বেগম জাহান আরা শাহ নাওয়াজ,
(১৩) মালিক মুহাম্মদ ফিরোজ খান নুন,
(১৪) জনাব শ্রী চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়,
(১৫) মিয়া মুমতাজ মুহাম্মদ খান দৌলতানা,
(১৬) মাওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ,
(১৭) মিয়াঁ মুহাম্মদ ইফতিখারুদ্দীন,
(১৮) খান সরদার বাহাদুর খান,
(১৯) ড. মাহমুদ হুসাইন,
(২০) বেগম শায়েস্তা সোহরাওয়ার্দী ইকরামুল্লাহ,
(২১) জনাব প্রেম হরি বার্মা,
(২২) জনাব নাজির আহমাদ খাঁ,
(২৩) শেখ কেরামত আলী, এবং
(২৪) প্রস্তাবকারী (মাননীয় জনাব লিয়াকত আলী খান)

নিয়োগপ্রাপ্ত হবে, সর্বোচ্চ দশজন সদস্য গ্রহনের ক্ষমতাসহ যারা আইনসভার সদস্য হবে, আইনসভায় গৃহীত প্রস্তাবনা অনুসারে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের উপর, যেসব মূলনীতি অনুসারে পাকিস্তানের সংবিধান গঠিত হবে সেসব অনুসারে যত তারাতারি সম্ভব প্রতিবেদন প্রদানের জন্য।
এই কমিটির সভা অনুষ্ঠানের জন্য কমপক্ষে সাত জন সদস্যের উপস্থিতি থাকতে হবে।

সংযুক্তি ২
যুক্তরাষ্ট্রীয় ও প্রাদেশিক সংবিধান এবং ক্ষমতার বিভাজনের উপর স্মারকলিপি
অংশ ১
রাষ্ট্র কর্মপন্থা পরিচালনা নীতি
১. লক্ষ্য নির্ণয়
রাষ্ট্র কর্মপন্থা পরিচালনা নীতি রূপে অভীষ্ট লক্ষ্য তৈরি করতে হবে, বিধানের বিষয় যে এটি যথাযথ স্থানে সংবিধানে মৌলিক অধিকার আনয়ন প্রবণ হবে না।
২. শিক্ষা
অভীষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী সরকারী কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যে মুসলমানেরা কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী তাদের জীবন ধারণ করতে পারে।
এই ধরণের কার্যসমূহ সংবিধানে পুরোপুরি উল্লেখ করা সম্ভব নয়। অভীষ্ট লক্ষ্য গ্রহণ, যেভাবে হোক, রাষ্ট্র কর্মপন্থা পরিচালনা নীতি রূপে এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ও তার অংশ সমূহকে পরিচালিত করবে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ হল মুসলমানদের জন্য সুবিধার বিধান কোরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন কী বুঝতে এবং, তারপর, কমিটি, অন্যান্য জিনিসের মধ্যে, মুসলমানদেরকে বাধ্যতামূলক কোরআন শিক্ষার নির্দিষ্ট গুরুত্ব আরোপ করে।
৩. ওয়াক্‌ফ ও মসজিদ
ওয়াক্‌ফ ও মসজিদ যথাযথ ধারা অনুযায়ী সংগঠিত করা উচিত।
অংশ ২
যুক্তরাষ্ট্র ও তার অঞ্চলসমূহ
৪. যুক্তরাষ্ট্রের নাম ও অঞ্চলসমূহ
রাষ্ট্রের নাম অবশ্যই পাকিস্তান হওয়া উচিত, যা গভর্নরের প্রদেশসমূহের সংযুক্তি হওয়া উচিত, প্রধান কমিশনারের প্রদেশ, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী এবং এই রাষ্ট্রসমূহ যুক্তরাষ্ট্রে সম্মতি প্রদান করেছে অথবা সম্মতি প্রদান করতে পারে।
অন্যান্য সব অঞ্চল যেসব উপরে নির্দিষ্ট করা হয়নি যেসব সংবিধান প্রবর্তনের সময় পাকিস্তানের অংশ হয়েছে সেসব অবশ্যই পাকিস্তানের অঞ্চল হিসেবে সংযুক্ত হবে।
৫. প্রদেশের সীমানা ও নাম পরিবর্তন
কেন্দ্রীয় সংসদ আইন অনুসারে করতে পারে-
(ক) যেকোন প্রদেশের সীমানা বৃদ্ধি;
(খ) যেকোন প্রদেশের সীমানা কমানো;
(গ) যেকোন প্রদেশের সীমানা পরিবর্তন; এবং
(ঘ) যেকোন প্রদেশের নাম পরিবর্তন।

পাকিস্তান সরকার বাদে এই উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় আইনসভার কোন কক্ষে কোন বিল উপস্থাপন করা যাবে না এবং যদি না-
(ক) হয়- (১) যে প্রদেশ থেকে অঞ্চলটি আলাদা অথবা অন্তর্ভুক্ত হতে চায় সে অঞ্চলের প্রাদেশিক আইনসভার সংখ্যা গরিষ্ঠ প্রতিনিধিগণ কর্তৃক সরকার প্রধানের নিকট এই উদ্দেশ্যে একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করা হয়; অথবা
(২) বিলের প্রস্তাবনা অনুযায়ী যে প্রদেশের সীমানা প্রভাবিত হবে সে প্রদেশের আইনসভায় এই সম্পর্কে সিদ্ধান্ত পাস করা হয়; এবং
(খ) যেখানে বিলের প্রস্তাবনা যেকোন প্রদেশের সীমানা অথবা নাম প্রভাবিত করে, বিল উপস্থাপনার প্রস্তাবনা ও বিধান উভয় সম্পর্কে সে প্রদেশের আইনসভার দৃষ্টিভঙ্গি সেখানে সরকার প্রধান দ্বারা নির্ণিত হয়েছে।
৬. নতুন প্রদেশ প্রতিষ্ঠা
কেন্দ্রীয় আইনসভা সময় অনুযায়ী, আইনের দ্বারা, যেসব শর্ত ও অবস্থা যোগ্য মনে করে সেসব অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দিতে পারে অথবা নতুন প্রদেশ গঠন করতে পারে।
অংশ ৩
যুক্তরাষ্ট্র
অধ্যায় ১
নির্বাহী
৭. সরকার প্রধান
(১) একজন সরকার প্রধান থাকা উচিত।
(২) যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাহী সরকার প্রধানের অধীনে থাকবে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী কর্ম পরিচালনা জন্য।
(৩) ঐসব ক্ষেত্র ব্যতীত যেখানে আইন হয়েছে যে সরকার প্রধান তার বিচক্ষণতা অনুযায়ী কাজ করবেন অথবা, যদি না সেখানে কোন দ্বন্দ্ব থাকে, “সরকার প্রধান” পরিভাষাটি বুঝায় যে সরকার প্রধান মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করে।
৮. সরকার প্রধান নির্বাচন
(১)কেন্দ্রীয় সংসদের উভয় কক্ষের যুক্ত অধিবেশনে সরকার প্রধান নির্বাচন হওয়া উচিত এবং কোন কক্ষেরই সদস্য হওয়া উচিত না।
(২) যেকোন কক্ষের একজন সদস্য, যদি সরকার প্রধান নির্বাচিত হয় তবে তার নির্বাচনের তার সদস্যপদ বাতিল করা উচিত।
৯. সরকার প্রধানের দপ্তরের মেয়াদ
দপ্তর অধিগ্রহণের সময়কাল থেকে শুরু করে সরকার প্রধানের দপ্তরের মেয়াদ পাঁচ বছর হওয়া উচিত। মৃত্যু, পদত্যাগ ও অন্যান্য কারণে সরকার প্রধানের দপ্তর শূন্য হলে, নতুন সরকার প্রধানের মেয়াদ পাঁচ বছর হবে।

১০. পুনরায় নির্বাচিত হবার যোগ্যতা: পরপর দুই পূর্ন মেয়াদের পর কোন ব্যক্তিই সরকার প্রধানের দপ্তর ধরে রাখার জন্য অনুমোদিত নয়।
১১. সহকারী সরকার প্রধান: কোন সহকারী সরকার প্রধান থাকবে না।
১২. সরকার প্রধানের দপ্তরে নৈমিত্তিক ছুটি
(১) সরকার প্রধানের অনুপস্থিতিতে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ সরকার প্রধান হিসেবে কাজ করবেন যতক্ষন পর্যন্ত না নতুন সরকার প্রধান নির্বাচিত হয় এবং নিম্নোক্ত যথাক্রমে দপ্তর অধিগ্রহণ করবেনঃ
(i) হাউজ অব ইউনিট্‌স এর প্রধান
(ii) হাউজ অব পিপলসের প্রধান।
(iii) পাকিস্তানে থাকা প্রদেশেগুলোর সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ গভর্নর।
(২) যতক্ষন পর্যন্ত হাউজ অব ইউনিট্‌স এর প্রধান সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ততক্ষণ তিনি হাউজ অব ইউনিট্‌স এর প্রধানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না, অথবা কোন ভাবেই এর প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালনের কারণে হাউজ অব ইউনিট্‌সে তিনি তার আসন অথবা দপ্তর হারাবেন না। তার পরিবর্তন হলে একই আইন হাউজ অব পিপল্‌সের প্রধান অথবা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ গভর্নরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
১৩. সরকার প্রধানের শপথ
সুপারিশকৃত ধারা ও গঠন অনুযায়ী সরকার প্রধান পাকিস্তান সংবিধানের প্রতি আনুগত্যের শপথ ও দপ্তর ও গোপনীয়তার শপথ গ্রহণ করবেন।
১৪. নির্দিষ্ট ঘটনায় সরকার প্রধানের কার্যক্রম বাতিল
সংবিধানে না থাকা নির্দিষ্ট বিষয়ে সরকার প্রধানের কার্যক্রম বাতিলের বিধান প্রণয়নের অধিকার কেন্দ্রীয় সংসদের থাকবে।
১৫. সরকার প্রধানের বিশেষ ক্ষমতা
সরকার প্রধানের বিশেষ ক্ষমতা ধারণ করা উচিত, যেমন নির্বাচন পরিচালনা, এবং অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সেসব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কর্তৃত্ব দেওয়া উচিত।
১৬. সামরিক বাহিনী সমূহের সেনাপতিত্ব
সামরিক বাহিনীর সর্বোচ্চ আদেশ দান ক্ষমতা সরকার প্রধানের অধীনে থাকবে।
১৭. সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ও কর্মকর্তা নিয়োগ তিন সামরিক বাহিনীর প্রত্যেকটির সর্বাধিনায়ক, সামরিক বাহিনী সমূহের সর্বাধিনায়ক, যদি থাকে এবং সামরিক বাহিনী সমূহের কর্মকর্তা সরকার প্রধান নিয়োগ দিবেন।

১৮. রাষ্ট্র প্রধানের ফরমায়েশি ক্ষমতা
নিম্নোক্ত ক্ষমতাগুলো রাষ্ট্র প্রধান তার ইচ্ছায় চর্চা করতে পারবেনঃ
(১) ক্ষমাশীলতার ক্ষমতা, এবং
(২) নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল নিয়োগ।
ব্যাখ্যা- “বিশেষ ক্ষমতা” অথবা “বিশেষ দায়িত্ব” শব্দদ্বয় যেখানেই ব্যবহার করা হোক, এগুলো অবশ্যই রাষ্ট্র প্রধান অথবা প্রদেশ প্রধান কর্তৃক তার ঐচ্ছিক ক্ষমতার চর্চা বুঝাবে।
১৯. রাষ্ট্র প্রধানের বেতন ও ভাতা
রাষ্ট্র প্রধানের পদমর্যাদা ও সম্মান অনুযায়ী বেতন ও ভাতা নির্ধারণের যথাযথ বিধান তৈরি করা হবে।
কমিটি এই নীতি গ্রহণ করেছে যে একটি যৌক্তিক অংক পেনশন অথবা ভাতা রূপে রাষ্ট্র প্রধানকে তার অবসর পরবর্তী জীবনের জন্য দেওয়া যেতে পারে। লাভজনক কর্মে থাকলে এই ভাতা অথবা পেনশন স্থগিত গন্য করা হবে।
যদি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র প্রধানকে তার অসদাচরণের জন্য বহিষ্কার করা হয় তবে তিনি কোন পেনশন অথবা ভাতা পাওয়ার উপযুক্ত নন।
২০. রাষ্ট্র প্রধানের জন্য নিরাপত্তা
(১) রাষ্ট্র প্রধানকে কোন আদালতের নিকট জবাবদিহিতা করতে হবে না তার দাপ্তরিক ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালন ও চর্চার জন্য অথবা এসব ক্ষমতা ও দায়িত্ব চর্চা ও পালনে তার দ্বারা কোন কাজ করা হয়েছে অথবা করার অভিপ্রায়ের জন্য।
(২) যতক্ষণ তিনি দায়িত্বে থাকবেন ততক্ষণ যেকোন আদালতে যেকোন বিষয়ে ফৌজদারি কার্যক্রম গঠন অথবা চালানো যাবে না।
(৩) যতক্ষন পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থাকবেন ততক্ষণ পর্যন্ত কোন আদালতে তার গ্রেফতার কারাবন্দীকরণ অথবা হাজির হওয়ার প্রক্রিয়া করা যাবে না।
(৪) লিখিত বিজ্ঞপ্তি তার দপ্তরে যাওয়ার ৬০ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব নেওয়ার পূর্বে বা পরে রাষ্ট্র প্রধান তার ব্যক্তিগত সক্ষমতায় যেসব করা হয়েছে বা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন সেসবের জন্য তার মেয়াদ চলাকালীন সময়ে তার অব্যাহতি চেয়ে কোন দেওয়ানি মামলা গঠন করা যাবে না, অথবা তার দপ্তরে মামলার প্রকৃতি, কার্যের কারণ পাশাপাশি যে দল কর্তৃক এই মামলা গঠন করা হয়েছে তার নাম, বিবরণ এবং আবাসস্থল এবং যে অব্যাহতি সে চেয়েছে রেচকে যাওয়া হয়।
২১. রাষ্ট্র প্রধান ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রতিবন্ধকতা
রাষ্ট্র প্রধান, প্রদেশ প্রদান, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী এবং সংসদদের অভিশংসনের জন্য সংবিধানে কোন বিধি তৈরি করা যাবে না।

২২. রাষ্ট্র প্রধানের অপসারণ
কেন্দ্রীয় সংসদ প্রত্যেক সংসদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা থেকে আসা একটি চাহিদা পত্রের দ্বারা রাষ্ট্র প্রধানকে তার দপ্তর থেকে অপসারণ ক্ষমতার অধিকারি হবে এবং সিদ্ধান্তটি মোট ক্ষমতার দুই তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতার দ্বারা সংসদের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে পাস হবে, এবং কেবল সাংসদদের উপস্থিতি ও ভোটিংয়ে নয়।
উপরন্তু রাষ্ট্র প্রধানকে অপসারণের জন্য একমাসের নোটিশ জরুরী।
মন্ত্রী পরিষদ
২৩. রাষ্ট্র প্রধানকে সহায়তা ও পরামর্শের জন্য মন্ত্রী পরিষদ
রাষ্ট্র প্রধানের উচিত একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া যিনি, তার মতে, কেন্দ্রীয় সংসদের উভয় কক্ষ সংখ্যা গরিষ্ঠদের আস্থা যৌথভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগ দিতে হবে।
২৪. মন্ত্রীদের প্রতি অন্যান্য বিধান
যে কোন সংসদ কক্ষের সদস্য নয় তাকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বিধি তৈরি করতে হবে, যাতে থাকবে যে যদি নিয়োগ পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে যদি নির্বাচিত না হয় তবে তার মন্ত্রিত্ব স্থগিত বাজেয়াপ্ত করা হবে।
২৫. আইনসভার প্রতি যৌথ দায়িত্ব
কেন্দ্রের মন্ত্রীরা আইনসভার প্রতি যৌথভাবে দায়বদ্ধ থাকবে।
২৬. মন্ত্রীদের শপথ
মন্ত্রীদের দপ্তরের আনুগত্য ও গোপনীয়তার শপথ নেওয়া বাধ্যতামূলক।
পাকিস্তানের জন্য সরকারী প্রধান উকিল
২7. পাকিস্তানের জন্য সরকারী প্রধান উকিল
রাষ্ট্র প্রধান কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন সরকারী প্রধান উকিল থাকতে হবে। সরকারী প্রধান উকিল এমন ব্যক্তি হবে যিনি যুক্ত আদালতের প্রধান বিচারক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন। তার ক্ষেত্রে বয়সের কোন সীমা থাকবে না।
সরকারী কার্য পরিচালনা
২৮. পাকিস্তান সরকারের কার্য পরিচালনা
রাষ্ট্র প্রধানের দ্বারা পাকিস্তান সরকারের কার্য পরিচালনার জন্য আইন গঠনের জন্য সংবিধানে বিধি তৈরি করা উচিত।
২৯. রাষ্ট্র প্রধানের নিকট তথ্য সরবরাহে মন্ত্রীদের দায়িত্বসমূহ
বিধি তৈরি করা উচিত যার দ্বারা মন্ত্রী পরিষদের সকল সিদ্ধান্ত ও আইনসভার জন্য প্রস্তাবসমূহ সম্পর্কে রাষ্ট্র প্রধান অবহিত থাকবেন। রাষ্ট্রে বিষয়সমূহ পরিচালনা ও আইনসভায় যেসব প্রস্তাবনার জন্য তাকে ডাকা হতে পারে সে সম্পর্কিত তথ্যও রাষ্ট্র প্রধানকে সরবরাহ করতে হবে

২য় অধ্যায়
কেন্দ্রীয় আইন্ সভা
৩০- সংবিধান, ক্ষমতা ও কেন্দ্রিয় আইন সভার কার্যকারিতা
দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রিয় আইন্ সভা থাকতে হবে
house of unit আইন সভার unit গুলোর প্রতিনিধিত্ব করবে
house of people জনগন দ্বারা নির্বাচিত হবে।
৩১- প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব
বেলুচিস্তান সহ সকল প্রদেশ গুলোর house of unit এ সমান প্রতিনিধিত্ব থাকতে হবে।
৩২- কেন্দ্রিয়প্রশাসনিক এলাকার প্রতিনিধিত্ব
যদিও কেন্দ্রিয় প্রশাসনিক এলাকা গুলো house of unit এ প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেনা , কারন সেগুলো কোনো প্রদেশ নয়। কিন্তু কমিটি তাদের সুপারিশ করে House of people এ প্রদেশ হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করতে।
৩৩- মেম্বার দের অযোগ্যতা –
কোনো মেম্বার ই একসাথে-
-কেন্দ্রিয় আইন সভার দুই হাউজ এর ই সদস্য হতে পারবেনা
– একি সাথে কেন্দ্রিয় আইন সভা ও প্রাদেশিক আইন সভার সদস্য হতে পারবেনা।
৩৪- কেন্দ্রিয় আইন্সভার স্থায়িত্ব
-কেন্দ্রিয় আইন্ সভার স্থায়িত্ব হবে ৫ বছর।
35- কেন্দ্রিয় আইন সভার সমন জারি
রাষ্ট্রের প্রধান কেন্দ্রিয় আইন সভায় সমন জারি করবে।
– বছরে দুইটির বেশি সভা হতে পারবেনা এবং দুইটি সভার মধ্যবর্তী সময়ের পার্থক্য হবে ৬ মাস।
-প্রধান মন্ত্রি নিয়োগ পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যেই একটি সেশান অনুষ্ঠিত হতে হবে।
৩৬- কেন্দ্রিয় আইন্সভার যৌথ সেশান-
রাষ্ট্র প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ি নিম্নোক্ত কারন গুলো থাকলে জয়েন্ট সেশান হতে পারবে
-আইন সভার মধ্যে কোনো রকম দন্দ থাকলে ,
– নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন রাশট্র প্রধান মনোনীত করা হলে।
– টাকা পয়সা সংক্রান্ত কোনো বিষয় হলে
– মন্ত্রী সভায় অনাস্থা সৃষ্টি হলে
৩৭- কেন্দ্রিয় আইন সভা স্থগীত করন-
রাষ্ট্র প্রধানের নির্দেশে কোনো বিশেষ কারনে আইন সভা স্থগীত হতে পারে।
৩৮-কেন্দ্রিয় আইন সভার বিভক্তি-
-প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রিয় আইন সভার বিভক্তি সম্ভব।
– তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশে কোনো বিভক্তি হতে পারবেনা।
– কোনো জরুরী অবস্থার সৃষ্টি হলে রাষ্ট্র প্রশানের অধীনে কেন্দ্রিয় আইন সভা বিভক্ত হতে পারে এবং পূনরায় নির্বাচন হতে পারে।
৩৯- দুই হাউজ এর ক্ষমতা ও মধ্যকার দন্দ –
কেন্দ্রিয় আইন সভার দুই হাউজ এর ক্ষমতা এক সমান হতে হবে।তাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে একটি যৌথ সেশান এর মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে পোউছাতে হবে।
বাজেট ও টাকা পয়সার যেকোনো ব্যাপার দুই হাউজ এর মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করে নিতে হবে।
৪০- কেন্দ্রিয় আইন্সভায় মন্ত্রী ও আইঞ্জীবিদের অধিকার
কোনো হাউজ এর মেম্বার না হলেও মন্ত্রী ও আইনজীবীদের দুইটি হাউজ এর উপর ই অধিকার আছে। কিন্তু আইনজীবীদের ভোট দেয়ার অধিকার নেই।
কোনো মন্ত্রী যে হাউজ এর মেম্বার না, তিনি সেখানে ভোট দিতে পারবেন না।
৪১- কেন্দ্রিয় আইন সভার চেয়ারমেন ও ডেপুটি চেয়ারম্যান
প্রতিটি হাউজ এর একটি চেয়ারমেন ও ডেপুটি চেয়ারম্যান থাকবে
সংবিধানে চেয়ারমেন ও ডেপুটি চেয়ারম্যান কে নির্বাচিত করার নিয়মাবলি থাকবে।
-কেন্দ্রিয় আইন সভার প্রতিটি হাউজ একজন করে চেয়ারমেন ও ডেপুটি চেয়ারমেন নির্বাচিত করবে। তাদের এই পদ খালি হয়ে গেলে তখন অন্য দুজন কে পূনরায় নির্বাচিত করা হবে।
– চেয়ারমেন বা ডেপুটি চেয়ারম্যান তাদের পদ থেকে সরে যাওয়া মাত্র রাষ্ট্র প্রধান বরাবর একটি চিঠি লেখার মাধ্যমে তার অফিস খালি করে দিতে হবে।

– চেয়ারম্যান এর অফিস যখন খালি থাকবে, অফিসের দায়িত্ব তখন ডেপুটি চেয়ারম্যান পালন করবে। আর ডেপুটি চেয়ারম্যান এর পদ ও খালি থাকলে রাষ্ট্র প্রধান সেই দায়িত্ব পালন করবে। কোনো সভায় যদি চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকে তাহলে ডেপুটি চেয়ারম্যান সেই দায়িত্ব পালিন করবে। তিনিও অনুপ্সথিত থাকলে হাউজ এর অন্য কোনো দায়িত্তব বান ব্যাক্তি এই দায়িত্ত পালন করবে।
– ডেপুটি চেয়ারম্যান এর অফিস এও একই নিয়ম পালন করা হবে। হাউজ এর চেয়ারমেন এর দায়িত্ব পালন কালে ডেপুটি চেয়ারম্যান ও প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা সমান হবে। চেয়ারম্যান থেকে ডেপুটি চেয়ারম্যান এর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপ্রেও কিছু নীতিমালা থাকতে হবে।
-জয়েন্ট সেশানে হাউজ অফ ইউনিট এর চেয়ারম্যান প্রতিনিধিত্ব করবে। উনার অনুপস্থিতে হাউজ অফ পিপল এর চেয়ারম্যন প্রতিনিধিত্ব করবে।দুইজন ই অনুপ্সথিত থাকলে কোনো যোগ্য ব্যাক্তি প্রতিনিধিত্ব করবে।

42. The Secretariat of the Central Legislature
The Committee unanimously held the view that the Secretariat of each of the Houses
of the Central Legislature should be absolutely independent and should be under the
House as such. Also there was unanimity on the point that the Finance Committee of
each House should scrutinize all the financial proposals relating to the expenditure of its
respective House and thereafter the Budget should be presented to the House.
The Chairman of each House should be the Chairman and the Finance Minister as ex
officio Member of its Finance Committee; the Finance Committee of each House should
exercise similar power of control and direction in matters relating to the finances of each
House of the Central Legislature as are exercised by the Standing Finance Committee
with regard to Government expenditure.
In view of the special nature of the work rules should be framed by the Finance
Committee to secure to itself closer contact and effective voice in regulating the finances
of the House to which it relates.
43. Oath to Members: Failure or Refusal to take Oath
The Members of the Central Legislature should be required to take an oath of
allegiance. No Member should take his seat in the House as long as he has not taken the
prescribed oath.

বিধান এমন রাখা উচিত যেখানে আইনসভায় যোগদানের সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে একজন মেম্বার ব্যর্থ হলে, প্রত্যাখ্যান করলে অথবা শপথ করতে অস্বীকৃতি জানালে তার পদ খালি ঘোষণা করা হবে। যদিও ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও বিশেষ বিবেচনায় চেয়ারম্যান সেটা বাড়াতে পারবেন।
৪৪. ইন হাউজ ভোটিং এবং কোরাম
প্রদেশের প্রধান কে অপসারণের মত বিশেষ পরিস্থিতি ব্যতিত কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রতিটি সিদ্ধান্ত হাউজ সম্পর্কিত বিধি অনুসারে নিতে হবে। যে কোন আইনসভার প্রিজাইডিং অফিসার কোন ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না যদি না ভোটের ফলাফল সমান সমান হয়। আইনসভায় যদি একটি খালি পদ থেকেও থাকে, তার ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি নিজেদের গতানুগতিক কাজ চালিয়ে যাওয়া জরুরী।
প্রতি হাউজের কোরাম মিটিং অথবা দুইটি হাউজের যৌথ মিটিং এ মোট মেম্বারের অন্তত সাত ভাগের এক ভাগ অংশগ্রহণ করা জরুরী।
৪৫. প্রদেশের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত অধ্যাদেশ
আইনসভার দুই মিটিং এর মধ্যবর্তী সময়ে প্রাদেশিক প্রধান কর্তৃক অধ্যাদেশ প্রণয়ন করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্য কার্যক্রম ভেদে পরিবর্তন হতে পারে।
৪৬. উভয় হাউজের মধ্যবর্তী আলোচনা
দুই হাউজের মধ্যবর্তী আলোচনার নিয়মনীতি নিজেদের মধ্যে ঠিক করে নেয়া হবে।
৪৭. বিল প্রণয়নে সম্মতি
(ক) যখন কেন্দ্রীয় আইনসভা কর্তৃক একটি বিল পাস হবে তখন সেটি প্রাদেশিক প্রধানের কাছে নিতে হবে তার সম্মতির জন্য।
(খ) প্রাদেশিক প্রধানের কাছে বিল প্রদানের ৯০ দিনের মধ্যে তিনি তার সম্মতি প্রদান কিংবা কোন ধরণের সম্মতি প্রদান ছাড়াই বিল আইনসভার কাছে ফেরত পাঠাতে পারবেন। যদি আইনসভা আবারও বিলটি পাশ করতে পারে তাহলে এক্ষেত্রে প্রাদেশিক প্রধান সম্মতি প্রদানের জন্য ৩০ দিন পাবেন।
(গ) আর্থিক বিলের ক্ষেত্রে প্রাদেশিক প্রধান তিন দিনের মধ্যে বিলে সম্মতি প্রদান কিংবা ফেরত পাঠাতে পারবেন। যদি হাউজ সেটি আবার ফেরত পাঠায় তাহলে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে সম্মতি প্রদান করতে হবে।
৪৮. বার্ষিক আর্থিক বিবরণ
প্রাদেশিক প্রধানের কাছ থেকে বার্ষিক আর্থিক বিবরণ প্রণয়নের জন্য কোন আনুষ্ঠানিক সুপারিশের প্রয়োজন নেই। এই ধরণের প্রস্তাব আইনসভার কাছে সরকারের পক্ষে থেকে একবারই উত্থাপন করা হবে।

৪৯. বাজেট
উক্ত ব্যাপারে কমিটি সুপারিশ করে যে বাজেট এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রস্তাবনা প্রথমে যৌথ আইনসভার কাছে প্রদান করা জরুরী। এছাড়াও কমিটি আরো সুপারিশ করে যে বাজেট ও অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রস্তাবনা গুলো আইনসভারর কাছে উত্থাপন, পাশ ও বাস্তবায়নের ব্যাপারে বিশেষ কার্য পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরী।
৫০. ব্যয় তফসিল যাচাই করণ
প্রাদেশিক প্রধান ব্যয় তফসিলের তথ্য যাচাই ও বাছাই করবেন।
৫১. কার্যপদ্ধতির নিয়ম
প্রতিটি হাউজেরই নিজেদের কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য কিছু নিয়ম নীতি প্রণয়ন জরুরী। গতানুগতিক নিয়ম পরিবর্তন করে তার উপর নতুন নিয়ম বর্তানো প্রয়োজন। এই ধরণের পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ জরুরী।
একাউন্টের হিসাব নিরীক্ষণ এবং এর জন্য হিসাব নিরীক্ষক নিয়োগ প্রদান
৫২. পাকিস্তানের প্রধান হিসাব নিরীক্ষক
নতুন অনুশাসন অনুযায়ী নিম্নোক্ত বিধানগুলো প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরী –
(ক) পাকিস্তানের একজন প্রধান হিসাব নিরীক্ষক প্রয়োজন যাকে প্রাদেশিক প্রধান নিয়োগ দেবেন এবং ফেডেরাল কোর্টের বিচারক তাকে বরখাস্ত করতে পারবেন।
(খ) প্রধান নিরীক্ষকের দায়িত্ব হবে প্রাদেশিক প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসারে দায়িত্ব পালন। এবং দায়িত্ব শেষে তিনি তার অফিস এবং পদ ছেড়ে দিতে বাধ্য। যদিও বলে রাখা ভালো কোন কারণে ছুটিতে গেলে বা অবসর গ্রহণ করলে তার বেতন এবং অন্যান্য সুবিধার কোন পরিবর্তন হবে না।
(গ) প্রধান হিসাব নিরীক্ষক নিজের দায়িত্ব এবং ক্ষমতা এমন ভাবে ব্যবহার করবেন যাতে তা প্রাদেশিক প্রধানের নির্দেশনা কিংবা কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রণয়নকৃত অধ্যাদেশ মেনে চলে। বলে রাখা ভালো যে কোন বিল বা সংশোধনীর ব্যাপারে প্রাদেশিক প্রধানের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুসারে কাজ চলবে।
(ঘ) প্রধান হিসাব নিরীক্ষকের বেতন, অন্যান্য খরচ ও ভাতা সরকারী রাজস্ব থেকে ব্যয় করা হবে। তবে তার সাথে কাজ করছে এমন সদস্যদের বেতন, খরচ ও ভাতা সরকারী রাজস্বের বাইরে থেকে খরচ করতে হবে।

৫৫. প্রাদেশিক হিসাব নিরীক্ষক
একজন প্রাদেশিক হিসাব নিরীক্ষকের নিয়োগ প্রদান ও বরখাস্ত করণ যারা প্রধান হিসাব নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন তাদের মাধ্যমেই করা হবে।
(ক) প্রতি দশ বছর পর প্রাদেশিক আইনসভা তাদের হিসাব নিরীক্ষক এর বেতন ভাতার পরিমাণ পরিবর্তন করতে পারবেন যা কিনা প্রাদেশিক রাজস্ব থেকে ব্যয় হবে। একজন প্রাদেশিক হিসাব নিরীক্ষক প্রাদেশিক প্রধান কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন, যার কাজ হবে প্রদেশের হয়ে প্রধান হিসাব নিরীক্ষকের মত একই দায়িত্ব পালন ও ক্ষমতার ব্যবহার করণ করা।
(খ) পাকিস্তানের প্রধান হিসাব নিরীক্ষকের ব্যাপারে যে সকল বিধান থাকবে তা প্রাদেশিক হিসাব নিরীক্ষকের প্রতিও বর্তাবে।
(খ-১) একজন ব্যক্তি যিনি পূর্বে প্রাদেশিক হিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি পাকিস্তানের প্রধান হিসাব রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার যোগ্য।
(খ-২) প্রধান হিসাব নিরীক্ষক সম্পর্কিত (খ) এবং (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পাকিস্তানের প্রধান হিসাব নিরীক্ষকের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আইনসভার যে বিধান তা প্রাদেশিক আইনসভার বিধান দ্বারা পরিবর্তিত হবে প্রাদেশিক হিসাব রক্ষকের ক্ষেত্রে। এবং একই ভাবে প্রধান হিসাব নিরীক্ষকের জন্য প্রাদেশিক প্রধানের যে অধ্যাদেশ তা প্রাদেশিক হিসাব নিরীক্ষকের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হবে।
(খ-৩) প্রধান হিসাব নিরীক্ষক সম্পর্কিত অনুচ্ছেদ (ঘ) প্রধান হিসাব নিরীক্ষকের বেতন ভাতার ব্যাপারে সরকারী রাজস্বের বিষয়টি প্রাদেশিক হিসাব নিরীক্ষকের ব্যাপারে প্রাদেশিক রাজস্বে পরিবর্তিত হবে।
৫৪. একাউন্ট নির্দেশনার জন্য প্রধান হিসাব নিরীক্ষকের ক্ষমতা
সরকারী হিসাব একাউন্ট গুলো এমনভাবে পরিচালনা করা উচিত যাতে প্রধান হিসাব রক্ষক চাইলে প্রাদেশিক প্রধানের অনুমতি ক্রমে পরামর্শ, পরিচালনা ও নির্দেশনা দিতে পারেন। এবং সেই হিসেবে সকল প্রাদেশিক সরকারের উচিত নিজেদের হিসাব একাউন্ট গুলো জমা রাখা।
৫৫. নিরীক্ষণ রিপোর্ট
পাকিস্তানের প্রধান নিরীক্ষক হিসাব একাউন্ট সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট প্রাদেশিক প্রধানের কাছে প্রদান করবেন যিনি কিনা সেটি কেন্দ্রীয় আইনসভার কাছে পাঠাবেন। অন্যদিকে প্রধান হিসাব নিরীক্ষক এর মত প্রাদেশিক হিসাব নিরীক্ষকের একাউন্ট সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রাদেশিক প্রধানের কাছে পাঠানো হবে যেটি কিনা প্রাদেশিক আইনসভার কাছে হস্তান্তর করা হবে।

চতুর্থ ভাগ
প্রদেশ সমূহ
প্রথম অধ্যায়
নির্বাহী বিভাগ

৫৬। প্রদেশের নেতৃবৃন্দ
প্রতিটি প্রদেশ জন্য প্রদেশের একটি হেড হওয়া উচিত।
৫৭। প্রদেশের নির্বাহী ক্ষমতা
প্রদেশের নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানের পক্ষ থেকে এবং সংবিধান ও আইন অনুযায়ী প্রয়োগ করা উচিত।
শুধুমাত্র যেসব প্রেক্ষাপট ব্যতীত যেখানে প্রদেশের প্রধান তার বিচক্ষণতা অনুযায়ী পদক্ষেপ নিবেন এবং যদি প্রেক্ষাপটে বিপরীত কিছু উল্লেখিত না থাকে , “প্রদেশের প্রধান’’ এর অর্থ ‘ মন্ত্রনালয় অর্পিত দায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত প্রদেশ প্রধান’
যে সব ক্ষেত্রে প্রদেশের প্রধান তার বিচক্ষণতা ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে মন্ত্রীদের বরখাস্ত এবং নিয়োগ দেবেন , তিনি যেন রাষ্ট্র প্রধান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও তত্তাবধিত হন।
৫৮। প্রদেশের প্রধান নিয়োগ
প্রদেশের প্রধান রাষ্ট্রের প্রধান দ্বারা নিযুক্ত করা উচিত।

৫৯। রাষ্ট্র প্রধানের কার্যদিবস
প্রদেশের প্রধানকে রাষ্ট্র প্রধান দ্বারা নির্ধারিত সময়ে পদে বহাল থাকা উচিৎ
৬০। প্রদেশ প্রধানের শপথ
প্রদেশের প্রধানকে স্ব স্ব পদের প্রতি আনুগত্য ও প্রয়োজনীয় গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নিতে হবে।
৬১। নির্দিষ্ট কিছু সম্ভাব্য ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রদেশের প্রধানের এর কার্যাবলী
নির্দিষ্ট সম্ভাব্য অবস্থার প্রেক্ষিতে প্রদেশ প্রধানেকে সংবিধানে অনুপস্থিত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রাদেশিক আইন সভার সাহায্যে ক্ষমতা প্রদত্ত করা উচিত ।
৬২। ক্ষমা প্রদান, শাস্তি রদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রদেশের প্রধানের ক্ষমতা
ক্ষমা, সাময়িক উপশম, ইত্যাদি দান করার ক্ষমতা প্রদেশের প্রধানের বিবেচনার ভিত্তিতে প্রয়োগযোগ্য।

(মাননীয় খান আবদুল কাইয়ুম খানে ভিন্ন মত পোষণ করেন )
৬৩। প্রদেশ প্রধানের ক্ষমতা গ্রহন
জরুরী অবস্থায় প্রদেশের প্রধানের রাষ্ট্র প্রধানের সমমান ক্ষমতা থাকা উচিত, কিন্তু সেই ক্ষমতা শুধুমাত্র রাষ্ট্র প্রধানের দিকনির্দেশনা ছাড়া প্রয়োগযোগ্য হবে না।

৬৪। প্রদেশ প্রধানের বিশেষ ও সাধারন ক্ষমতা
প্রদেশের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রদেশের প্রধানের একটি বিশেষ দায়িত্ব হওয়া উচিত এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষমতা প্রদান করা উচিত।
নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল নিয়োগে প্রদেশের প্রধানের এর বিচক্ষণতার উপর ন্যাস্ত করা উচিত।
৬৫। প্রদেশ প্রধানের নিরাপত্তা
(১) প্ক্ষমতার প্রয়োগ বা কার্যক্রমের জন্য প্রদেশ প্রধানকে আদালতে জবাবদিহিতা করতে হবে না।
(২) প্রদেশের প্রধান যতদিন সে পদে অধিষ্ঠিত থাকেন, ততদিন তার বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারী কার্যধারা পরিচালিত হবে না।

(৩) প্রদেশের প্রধান যতদিন উক্ত পদে অধিষ্ঠিত আছে ততদিন গ্রেফতার, জেল বা কারাভোগের জন্য কোন ধরনের প্রক্রিয়া আদালত থেকে অনুমোদিত হবে না।

(৪) প্রদেশ প্রধানের মেয়াদকালে কিংবা তার পূর্বের কর্মকাণ্ডের সময় ব্যক্তিগত ক্ষমতার ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে চাইলে তা বিচারকার্য প্রকৃতি, মামলার কারণ, নাম, বিবরণ উল্লেখিত নোটিশের প্রদানের ৬০ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত শুরু করা যাবে না।

৬৬। প্রদেশ প্রধান কে সাহায্য ও পরামর্শ প্রদানের জন্য মন্ত্রী পরিষদ
প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রাপ্ত কোন ব্যাক্তিকেই একটি প্রদেশের প্রধান মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রদেশ প্রধান নিয়োগ দিতে পারে।
প্রদেশ প্রধানের মুখ্যমন্ত্রী পরামর্শক্রমে অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ নিযুক্ত করা উচিত।
মন্ত্রীদের নিয়োগ ও বরখাস্ত বিষয়ক সিদ্ধান্ত গুলো নেয়ার সময় প্রদেশের প্রধানকে রাষ্ট্র প্রধানের তত্ত্বাবধায়নে কাজ করা উচিত।

৬৭। মন্ত্রীদের শপথ
প্রদেশের মন্ত্রীবর্গ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ের জন্য আনুগত্য প্রদর্শন ও গোপনীয়তা রক্ষার শপথ নেবে।

৬৮। প্রাদেশিক আইনসভায় মন্ত্রীদের যৌথ দায়িত্ব
প্রাদেশিক মন্ত্রীবর্গ যৌথভাবে তাদের নিজ নিজ আইনসভার দায়ভার গ্রহন করবে।

৬৯। আইনানুসারে মন্ত্রীদের নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিরাপত্তা
প্রদেশের প্রধান যদি কোন মন্ত্রী নিয়োগ কিংবা চাকরীচ্যুত করে থাকেন, এ বিষয়ে আদালতে কোন প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
৭০। প্রাদেশিক সরকারের কার্যক্রম
প্রদেশের সরকারি কার্যচালনার নিয়ম প্রণয়নের জন্য প্রদেশ প্রধানের সাংবিধানিক সংযোজন করা উচিত।
৭১। প্রদেশ প্রধানকে তথ্য সরবরাহে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব
মন্ত্রী পরিষদ প্রদেশের প্রধানকে সকল সিদ্ধান্ত এবং আইন প্রণয়নের প্রস্তাব সম্পর্কে অবহিত রাখবে। এছাড়াও প্রদেশের প্রধানকে প্রদেশের প্রশাসনিক বিষয়াবলি ও কার্যক্রম এবং আইন গঠনের প্রস্তা সংক্রান্ত তথ্য দেয়া উচিৎ ।
প্রাদেশিক অ্যাডভোকেট জেনারেল
৭২। প্রাদেশিক অ্যাডভোকেট জেনারেলরা
একটি প্রদেশের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রদেশের প্রধান দ্বারা নিযুক্ত হবেন ।সেই ব্যক্তির হাইকোর্টের একজন বিচারক হবার যোগ্যতা থাকা অত্যাবশ্যক । কোন বয়স সীমা থাকবে না।

প্রাদেশিক আইনসভা
৭৩। প্রাদেশিক আইনসভা এর সংবিধান
প্রতিটি প্রদেশে এক কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে।
৭৪। প্রাদেশিক আইনসভার মেয়াদকাল
একটি প্রাদেশিক আইনসভা পাঁচ বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

৭৫। প্রদেশিক আইনসভা তলব
(১) প্রদেশের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ পরামর্শে প্রাদেশিক আইনসভা তলব করা উচিত.
(২) প্রতি বছর নুন্যতম দুইটি সেশন অনুষ্ঠিত হবে গত অধিবেশনের শেষ দিন এবং পরবর্তী অধিবেশনের প্রথম দিন মধ্যবর্তী সময় ছয় মাসের অধিক হবে না।
(৩) প্রাদেশিক আইনসভার অধিবেশন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের তারিখ হইতে তিন মাসের মধ্যে ডাকতে হবে ।
৭৬। প্রাদেশিক আইনসভা এর ব্যাক্ষেপ
প্রাদেশিক আইনসভা প্রদেশের প্রধান আদেশ দ্বারা স্থগিত হবে।

৭৭. প্রাদেশিক আইনসভা ভঙ্গ
(১) প্রথমবার আইনসভা প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভঙ্গ হবে।
(২) প্রাদেশিক আইন সভা ভঙ্গের তারিখ এবং সদ্য নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রীসভা গঠনের মধ্যবর্তী সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্দেশে কোন আইনসভা ভঙ্গ হবে না।
(৩) যদি এমন কোন আকস্মিক ঘটনা ঘটে যখন আইনসভা গঠনের মত কোন আস্থাভাজন মন্ত্রনালয় না থাকে, তখন প্রদেশের প্রধানকে তার জরুরী ক্ষমতার বলে আইনসভা ভঙ্গের এবং নির্বাচন সংগঠনের ক্ষমতা দেওয়া হবে।
৭৮. প্রাদেশিক আইনসভা অনুযায়ী মন্ত্রীদের এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের অধিকার
(১) আইনসভার সদস্য নয় এমন একজনকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিধান থাকবে, তবে শর্ত থাকে যে সেই ব্যক্তির মন্ত্রীত্ব স্থগিত করা হবে যদি না তিনি তার নিয়োগের দিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচিত হন।
(২) মন্ত্রী ও প্রদেশের অ্যাডভোকেট জেনারেলের প্রাদেশিক আইনসভায় বক্তব্য দেওয়ার অধিকার থাকা উচিত, যদিও বা তারা আইনসভার সদস্য না হন। অ্যাডভোকেট জেনারেলের ভোট দেওয়ার কোন অধিকার থাকবে না যেহেতু তিনি আইনসভার সদস্য হবেন না। এমন কোন মন্ত্রী, যিনি আইনসভার সদস্য নন তারও ভোট দেওয়ার কোন অধিকার থাকবে না।
৭৯. প্রাদেশিক আইনসভার চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান
নিম্ন লিখিত পদ্ধতি অনুযায়ী আইনসভার একজন চেয়ারম্যান ও একজন ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিধান থাকা উচিতঃ
(১) প্রত্যেক আইনসভার উচিত, যত দ্রুত সম্ভব আইনসভার দুইজন সদস্যকে চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা এবং ঘটনা অনুযায়ী যখনি চেয়ারম্যান বা ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদ খালি হবে, আইনসভা অন্য একজন সদস্যকে চেয়ারম্যান বা ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবে।
(২) একজন সদস্য যিনি কোন আইনসভার চেয়ারম্যান বা ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে আছেন, তিনি তার পদ ত্যাগ করবেন যদি তিনি আইনসভার সদস্যপদ ত্যাগ করেন এবং যেকোন সময় প্রদেশ প্রধানের উদ্দেশ্যে স্বহস্তে লিখিত পত্রের মাধ্যমে ইস্তফা দিতে পারেন ও আইনসভার অধিকাংশ সদস্য কর্তৃক গৃহীত কোন রেজল্যুশনের মাধ্যমে তার পদ থেকে অপসারিত হতে পারেন কিন্তু এই উপ-অনুচ্ছেদের উদ্দেশ্যে কোন রেজল্যুশন উত্থাপিত হবে না যদি না রেজল্যুশন উত্থাপনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অন্তত চৌদ্দ দিনের নোটিশ দেওয়া হয়।
শর্ত থাকে যে, যখনি আইনসভা ভঙ্গ হবে, আইনসভা ভঙ্গের পর অবিলম্বে আইনসভার প্রথম মিটিংয়ের পুর্বে চেয়ারম্যান তার পদ ত্যাগ করতে পারবেন না।

(৩) যখন চেয়ারম্যানের পদ খালি হবে, সেই পদের দায়িত্ব গুলো ডেপুটি চেয়ারম্যান পালন করবেন, অথবা যদি ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদও খালি থাকে তাহলে প্রদেশের প্রধান এই উদ্দেশ্যে প্রাদেশিক আইনসভার যে সদস্যকে নিয়োগ দিবেন তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন। প্রাদেশিক আইনসভার কোন অধিবেশনে চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে, ডেপুটি চেয়ারম্যান বা যদি তিনিও অনুপস্থিত থাকেন সেক্ষেত্রে আইনসভার কার্যপ্রনালীর বিধি অনুযায়ী নির্ধারিত একজন ব্যক্তি অথবা যদি এমন কেউ উপস্থিত না থাকেন তাহলে প্রাদেশিক আইনসভা কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কেউ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
৮০. আইনসভার দপ্তর
প্রাদেশিক আইনসভার দপ্তর সম্পুর্নভাবে স্বাধীন হবে এবং আইনসভার নিজস্ব অধীনে থাকবে। আইনসভার অর্থ কমিটি আইনসভার ব্যয় সংক্রান্ত সকল প্রস্তাব পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নিরীক্ষন করবে এবং এরপর আইনসভায় বাজেট উত্থাপন করা হবে।
প্রাদেশিক আইনসভার চেয়ারম্যান হবেন চেয়ারম্যান এবং প্রদেশের অর্থমন্ত্রী, অর্থ কমিটির একজন প্রাক্তন সদস্য। আইনসভার অর্থ কমিটি প্রাদেশিক আইনসভার আর্থিক বিষয়াবলি নিয়ন্ত্রন ও নির্দেশনায় একই ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে যেমনটা সরকারি ব্যয় সম্পর্কে প্রাদেশিক আইনসভার বর্তমান অর্থ কমিটি কর্তৃক ব্যবহৃত হয়েছে।
কাজের বিশেষ ধরনের প্রেক্ষিতে অর্থ কমিটির উচিত এর ঘনিষ্ট যোগাযোগ এবং আইনসভার অর্থায়নের নিয়ন্ত্রনে কার্জকর সত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিধান তৈরী করা।
৮১. সদস্যদের শপথ
আইনসভার সদস্যদের আনুগত্যের একটি শপথ নিতে হবে। যতক্ষন পর্যন্ত না কোন সদস্য তার যথাবিহিত শপথ গ্রহন করবেন, তিনি আইনসভায় তার আসন গ্রহন করতে পারবেন না। আইন করা হবে যে, যে ক্ষেত্রে একজন সদস্য আইনসভার প্রথম মিটিংয়ের তারিখ হতে অনধিক ছয় মাসের মধ্যে আনুগত্যের শপথ নিতে ব্যর্থ হন বা প্রত্যাখ্যান করেন অথবা অপারগ হন সেক্ষেত্রে তার আসনটি শুন্য ঘোষণা করা হবে। শর্ত থাকে যে, উপরে উল্লেখিত সময়সীমা অতিক্রান্তের পুর্বে চেয়ারম্যান কোন উপযুক্ত কারন দর্শানো ছাড়াই সময়সীমা বাড়াতে পারেন।
৮২. ভোটদান এবং কোরাম
যে সকল ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন আছে, সেগুলো ছাড়া প্রাদেশিক আইনসভার সকল সিদ্ধান্ত উক্ত প্রাদেশিক আইনসভা কর্তৃক প্রনীত নিয়ম অনুযায়ী নেওয়া হবে। সমান সমান ভোটের ক্ষেত্রে প্রাদেশিক আইনসভার প্রিজাইডিং অফিসার নির্ধারিত ভোট ছাড়া আর কোন ভোট পরিচালনা করবে না। প্রাদেশিক আইনসভাকে এর দায়িত্ব পরিচালনার জন্য অভিহিত করা উচিত যদিও সেখানে একটি পদ খালি থাকে এবং সেই হিসেবে সভার কার্যধারা বাতিল হবে না।
প্রাদেশিক আইনসভার একটি মিটিংয়ের জন্য কোরাম হবে প্রাদেশিক আইনসভার মোট সদস্য সংখ্যার সাত ভাগের এক ভাগ।

৮৩. প্রাদেশিক আইনসভা এবং এর সদস্য ও কমিটির ক্ষমতা, বিশেষ সুবিধা ও নিরাপত্তা।

প্রাদেশিক আইনসভাকে সভার কার্যপরিচালনার স্থায়ী আদেশ ও বিধানের সাপেক্ষে এর সদস্যদের বিশেষ সুবিধা ও নিরাপত্তার ব্যাপারে আইন জারি করার জন্য অভিহিত করা উচিত। বাক স্বাধীনতা এবং যেকোন কিছুর ভিত্তিতে কোন কোর্টে চলা কার্যধারা থেকে নিরাপত্তা বা প্রাদেশিক আইনসভার একজন সদস্যের দেওয়া কোন ভোট অথবা তার বদলে একটি কমিটি দিতে হবে এবং প্রাদেশিক আইনসভা কর্তৃক বা তাদের অধীনে প্রকাশনার কোন রিপোর্ট, কাগজ, ভোট বা কার্যধারার জন্য কোন ব্যক্তি দায়ী হবে না। একই ধরনের সুবিধা তারাও পাবেন যারা যদিও প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য নন কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী প্রাদেশিক আইনসভা এবং এর কমিটির কার্যধারায় উপস্থিত থাকা, বক্তব্য দেওয়া এবং অংশগ্রহন করার জন্য অনুমতি প্রাপ্ত।

এই জাতীয় বিষয়াবলি সংক্রান্ত আইন পাশকে অমীমাংসিত রেখে, যুক্ত রাজ্যের হাউস অফ কমন্স এর সদস্যগণ যে সকল সুবিধা ও নিরাপত্তা পান, আইনসভার সদস্যগণও সেগুলো ভোগ করবেন।

৮৪. বিলের অনুমোদন

প্রাদেশিক আইনসভা কর্তৃক পাশ করা বিল প্রদেশ প্রধানের কাছে উপস্থাপন করতে হবে এবং প্রদেশ প্রধান হয় ঘোষণা দেবেন যে তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের নামে বিলের অনুমোদন দিচ্ছেন অথবা তিনি সেখানেই বিলের অনুমোদন নাকচ করছেন বা তিনি রাষ্ট্র প্রধানের বিবেচনার জন্য বিলটি সংরক্ষন করছেন।

যখন প্রদেশ প্রধান রাষ্ট্র প্রধানের বিবেচনার জন্য কোন বিল সংরক্ষন করেন, তখন রাষ্ট্র প্রধান ঘোষণা দেবেন যে হয় তিনি বিলটির অনুমোদন দিচ্ছেন বা অনুমোদন নাকচ করছেন, শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্র প্রধান যদি উপযুক্ত মনে করেন তবে তিনি প্রদেশ প্রধানকে একটি বার্তা সহ প্রাদেশিক আইনসভাকে বিলটি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন, যখন একটি বিল এভাবে ফেরত আসবে, প্রাদেশিক আইনসভা সেই অনুযায়ী সেটাকে পুনর্বিবেচনা করবে এবং যদি সেটা সংশোধন করে বা সংশোধন ছাড়া আবারো প্রাদেশিক আইনসভা কর্তৃক পাশ হয়, তাহলে সেটা আবারো রাষ্ট্র প্রধানের বিবেচনার জন্য তার কাছে উপস্থাপন করতে হবে।

শর্ত থাকে যে, যদি রাষ্ট্র প্রধান মনে করেন যে তার অনুমোদন দেওয়া উচিত না কারন বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় আইন সভার প্রয়োজন আছে তাহলে তিনি কেন্দ্রীয় আইনসভার পরবর্তী অধিবেশনে উক্ত আইন পাশ না হওয়া পর্যন্ত তার অনুমোদন স্থগিত করতে পারবেন।

আর্থিক বিলের ক্ষেত্রে প্রদেশ প্রধান হয় অনুমোদন দেবেন অথবা তিন দিনের মধ্যে তা পুনর্বিবেচনার জন্য প্রাদেশিক আইনসভায় ফেরত পাঠাবেন। যদি প্রাদেশিক আইনসভা সেগুলো আবার পাঠায় তবে তাকে তিন দিনের মধ্যে অনুমোদন দিতে হবে।

৮৫. বার্ষক আর্থিক বিবৃতি
সেখানে বিভাগীয় প্রধানের বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সংক্রান্ত কোন আনুষ্ঠানিক সুপারিশ থাকা উচিত নয়। এই রকম প্রস্তাব শুধুমাত্র জরুরী অবস্থায় এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রাদেশিক আইন সভায় উপস্থাপন করা উচিত।

৮৬. ব্যয় তফসিলের যথার্থতা
বিভাগীয় প্রধানের উচিত ব্যয় তফসিলের যথার্থতা নিশ্চিত করা।

৮৭. কার্যপ্রক্রিয়ার বিধিনিষেধ
প্রত্যেক প্রাদেশিক আইন সভার উচিত তার ব্যবসায়িক লেনদেনে জন্য নিজস্ব নিয়মকানুন নির্ধারন করা। নতুন নিয়ম তৈরী স্থগিত রেখে, প্রচলিত নিয়ম গুলোকেই প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা উচিত। এই ধরনের পরিবর্তনকে কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা উচিত। এছাড়াও বর্তমান শাসনতন্ত্রের অধীনে, কোন আইন সভা নেই এমন কোন বিভাগের কোন প্রতিষ্ঠানের কার্যপ্রনালীর নিয়ম কানুন তৈরীর ক্ষেত্রেও এই মেশিন গুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৮৮. প্রাদেশিক আইন্সভার অবকাশকালে বিভাগীয় প্রধানের অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা
বিধান, প্রাদেশিক আইনসভার অবকাশকালে বিভাগীয় প্রধানকে অধ্যাদেশ জারি করার ক্ষমতা দাওয়ার জন্য তৈরী করা হবে, কিন্তু এই ক্ষমতাগুলো রাষ্ট্র প্রধানের নির্দেশ অনুযায়ী ও তার নিয়ন্ত্রনে প্রয়োগ করতে হবে। অধ্যাদেশের কার্যাবলী সীমাবদ্ধ করার জন্য কিছু সময়সীমা বেধে দাওয়া উচিত।
পঞ্চম খন্ড
ফেডারেশন এবং এর বিভিন্ন অংশের মধ্যে সম্পর্ক
৮৯. বিষয়-আইনের যে সকল বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় আইনসভা এবং প্রাদেশিক আইনসভা কর্তৃক প্রনীত হতে হবে
কমিটি আইন সভার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর তিনটি বিস্তারিত তালিকা তৈরী করেছে।
(১) শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় আইনসভা কর্তৃক তৈরী
(২) শুধুমাত্র প্রাদেশিক আইনসভা কর্তৃক তৈরী
(৩)কেন্দ্রীয় আইনসভা এবং প্রাদেশিক আইনসভা উভয় কর্তৃক তৈরী
এই তিনটি তালিকা-কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক এবং যৌথ-সংযুক্তি ৩ এ পাওয়া যাবে।
আইনসভার অবশিষ্ট ক্ষমতা কেন্দ্রের উপর ন্যস্ত করা উচিত।

৯০. প্রাদেশিক ও চলতি তালিকার বিষয়গুলো অনুযায়ী পরিকল্পনা ও স্বমন্বয় করন

বিধানগুলো বানানো হবে প্রাদেশিক ও চলতি তালিকার বিষয়গুলো অনুযায়ী কেন্দ্রীয়ভাবে পরিকল্পনা ও স্বমন্বয় করার জন্য এবং কেন্দ্রীয় আইনসভাকে এই সম্পর্কিত আইন পাস করার যোগ্য হতে হবে।
৯১. কেন্দ্রীয় আইন্ সভার অন্য কোন এলাকার গ্রহন ও মতামতের ভিত্তিতে এক বা একাধিক এলাকায় আইন প্রনয়নের ক্ষমতা
যদি এক বা একাধিক প্রদেশের আইনসভার এটা মনে হয় যে, শুধু মাত্র আইনত জরুরী অবস্থায় প্রাদেশিক তালিকায় উল্লেখিত যে সব বিষয় ঐ এলাকা গুলোতে কেন্দ্রীয় আইনসভা কর্তৃক পরিচালিত হবে সেগুলো ছাড়া, ওই এলাকা বা এলাকা গুলোতে আইন তৈরীর কোন ক্ষমতা কেন্দ্রীয় আইন সভার থাকা উচিত নয়, এবং এ সম্পর্কে প্রত্যেক প্রাদেশিক আইনসভার পাশ করা রেজল্যুশন কেন্দ্রীয় আইনসভার ঐ বিষয় গুলো পরিচালনার জন্য আইন পাশের ক্ষেত্রে বৈধ হবে, এবং পাশ করা যে কোন আইন ঐ সকল এলাকায় প্রযোজ্য হবে এবং অন্য যেকোন এলাকায়ও, যেখানে এটা পরবর্তীতে এ সম্পর্কিত বিষয়ে আইনসভার রেজল্যুশন পাশের মাধ্যমে গৃহীত হয়েছে।
৯২. কেন্দ্র কর্তৃক প্রনীত আইন বাতিল
পুর্ববর্তী অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় আইনসভা কর্তৃক গৃহীত কোন আইন যা গৃহীত হয়েছে কিন্তু হওয়া উচিত নয়, কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রনীত বা গৃহীত অন্য কোন আইন দ্বারা বাতিল বা সংশোধন হতে পারে, যে সকল এলাকায় এটি প্রযোজ্য সে সকল এলাকায় আইনসভার কোন আইন দ্বারা এগুলো পরিবর্তন বা বাতিল করা যাবে।
৯৩. কেন্দ্রীয় আইনসভা এবং প্রাদেশিক আইনসভা কর্তৃক প্রনীত আইনের মধ্যে অসংগতি
সংঘাতের ক্ষেত্রে প্রাদেশিক আইনের বদলে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক প্রচলিত আইন চালু করার বিধান থাকা উচিত।
৯৪. একটি প্রাদেশিক আইনকে নিয়মবিরুদ্ধ ঘোষনা করার ক্ষমতা
একজন বিভাগীয় প্রধানের কোন প্রাদেশিক আইনকে নিয়মবিরুদ্ধ ঘোষনা করার ক্ষমতা থাকা উচিত না। সাংবিধানিক ভাবে শুধুমাত্র ফিডেরাল কোর্টকে এই ক্ষমতা দাওয়া উচিত।
৯৫. ক্ষমতা অর্পন
কেন্দ্রকে কোন প্রদেশ বা প্রদেশের অনুমোদন প্রাপ্ত কোন অফিসারের কাছে এর ক্ষমতা অর্পনের কর্তৃত্ব দাওয়ার বিধান থাকা উচিত।
এছাড়াও একাধিক অঞ্চলের অনুরোধে প্রাদেশিক তালিকায় উল্লেখিত কোন বিষয়ে বিধানিক বা নির্বাহী পদক্ষেপ নাওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের থাকবে।
এই তালিকার বাইরে প্রাদেশিক সরকার অথবা ফিডেরাল রাষ্ট্রের শাসকের অনুমতি সাপেক্ষে বিভাগীয় প্রধান শর্ত সাপেক্ষে বা নিঃশর্তে সেই সরকার বা শাসক, অথবা তাদের কোন সন্মানিত অফিসারের ওপর এমন কোন বিষয়ের কার্যাবলি নিয়ে বিশ্বাস করতে পারেন যাতে ফেডারেশনের বর্ধিত ক্ষমতা আছে।
এরপরও এমন কোন বিষয় যাতে প্রাদেশিক আইন সভার আইন প্রনয়ন বা ক্ষমতা প্রদান করার ক্ষমতা নেই তাদের ওপর দায়িত্ব দেওয়ার ও ক্ষমতা প্রদান এবং কোন প্রদেশ বা অফিসার এবং কর্তৃপক্ষেকে তাদের দায়িত্ব দেওয়া কেন্দ্রীয় আইনসভার আর একটি আইন হতে পারে।

কেন্দ্রীয় আইনসভার একটি আইন যা ক্ষমতা প্রদান এবং দায়িত্ব দাওয়ার অথবা প্রদেশ বা অফিসারকে ক্ষমতা বা দায়িত্ব দাওয়ার কর্তৃত্ব প্রদান এবং শাসকদের উদ্দেশ্য অনুযায়ী কর্তৃত্বের বিন্যাস করা পর্যন্ত ফেডেরাল রাষ্ট্রের ক্ষমতা বর্ধিত করতে পারে।
যেখানে এই ব্যবস্থার উৎকর্ষ, ক্ষমতা এবং দায়িত্ব কোন প্রদেশ বা ফিডেরাল রাষ্ট্রের ওপর অথবা কোন অফিসার বা কর্তৃপক্ষের ওপর আরোপ করা হয়েছে সেখানে ফেডারেশন প্রদেশ বা রাষ্ট্রকে অনুমদিত অর্থ প্রদান করবে অথবা, অর্থের পরিমান নির্ধারনে সম্মত না হলে পাকিস্তানের প্রধান বিচারকের নিয়োগকৃত একটি সালিশে, এই ক্ষমতা ও দায়িত্ব পালনের জন্য প্রদেশ বা রাষ্ট্রের যেকোন অতিরিক্ত খরচসহ এই অর্থের পরিমান নির্ধারিত হবে।
৯৬. জরুরী অবস্থা ঘোষনা সম্পর্কে প্রাদেশিক তালিকার যেকোন বিষয় সম্পর্কিত আইন
জরুরী অবস্থা ঘোষনার ক্ষেত্রে প্রাদেশিক তালিকার যেকোন বিষয়ে আইন প্রনয়নের জন্য কেন্দ্রকে ক্ষমতা দাওয়ার বিধান করা উচিত।
৯৭. সীমানা সামঞ্জস্যের জন্য যন্ত্রপাতি
বিভিন্ন প্রদেশের মধ্যকার সীমানর মধ্যে সামাঞ্জস্য আনার জন্য যন্ত্রপাতি স্থাপনের আইন করা উচিত।
ব্যাখ্যা-সীমানা সামঞ্জস্য বলতে কোন বিদ্যমান প্রদেশের বিলুপ্তি বোঝায় না।
৯৮. প্রদেশ এবং ফেডারেশনের দায় ও কতিপয় ক্ষেত্রে প্রদেশের ওপর ফেডারেশনের নিয়ন্ত্রন
(১) প্রতিটি প্রদেশের নির্বাহী ক্ষমতা, কেন্দ্রীয় আইনসভার আইন এবং সেই প্রদেশে প্রযোজ্য যেকোন বিদ্যমান আইনের মধ্যে অনুবর্তিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োগ করা উচিত এবং ফেডারেশনের নির্বাহী ক্ষমতা একটি প্রদেশে পাকিস্তান সরকারের সে উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দাওয়া পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত।
(২) প্রতিটি প্রদেশের নির্বাহী ক্ষমতা ফেডারেশনের নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ কে বাধাগ্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত না করার জন্য ব্যবহার করা উচিত এবং ফেডারেশনের নির্বাহী ক্ষমতা কোন প্রদেশে পাকিস্তানি সরকারের উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত।
(৩)কোন প্রদেশে, জাতীয় ও সামরিক ক্ষেত্রে ঘোষিত গুরুত্বপুর্ন যোগাযোগ স্থাপন ও রক্ষার উদ্দেশ্যে নির্দেশ দাওয়ার জন্যও ফেডারেশনের নির্বাহী ক্ষমতা বৃদ্ধি করা উচিত;
উল্লেখ্য যে, এই উপ-অ্নুচ্ছেদের কোন কিছুই কেন্দ্রীয় আইনসভার কোন মহাসড়ককে জাতীয় মহাসড়ক এবং কোন জলপথকে জাতীয় জলপথ ঘোষনা বা মহাসড়ক অথবা জলপথ ঘোষনায় ফেডারেশনের ক্ষমতা কিংবা নৌ, সামরিক, বিমান বাহিনীর সাথে এর কাজের জন্য যোগাযোগ তৈরী ও রক্ষার ক্ষেত্রে কোন প্রতিবন্ধক হিসেবে বিবেচিত হবে না।

(৪) ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী ক্ষমতা বৃদ্ধি করে প্রদেশের নির্দেশনা প্রদান তথা প্রদেশের রেলওয়ের নিরাপত্তার জন্য পরিমাপ নেয়া হবে।
(৫) উপ-অনুচ্ছেদ (৩) অনুযায়ী কোনো প্রদেশে কোনো নির্দেশনা নির্বাহকালে কোনো নির্মাণ বা রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম কিংবা উপ-অনুচ্ছেদ (৪) অনুযায়ী কোনো রেলওয়ের নিরাপত্তায় নেয়া পরিমাপ সম্বন্ধে যদি প্রদেশের সাধারণ দায়িত্বের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নির্দেশনা না থাকে তবে সেসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ যুক্ত হবে । চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তান সরকারকে এই মোট প্রদেশকে দিতে হবে কিংবা চুক্তি অনুযায়ী প্রদেশে অতিরিক্ত খরচ যুক্ত করার জন্য পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কতৃক ধার্য বিচারক দ্বারা এই অংক নির্ধারন করতে হবে ।
৯৯. সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত বিরোধ
প্রদেশগুলোর মধ্যে সংবিধানের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত বিরোধের জন্য আন্তঃ কিংবা কেন্দ্রের এবং অন্য এক বা একাধিক প্রদেশের জন্য ফেডারেল আদালত উল্লেখিত হবে।
১০০. সাধারণ বিরোধ
কেন্দ্র এবং প্রদেশের কিংবা প্রদেশের মধ্যে আন্তঃ সকল বিরোধ ট্রাইবুনাল কতৃক সমাধান করা হবে যা যেকোনো দলের অনুরোধে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে।
১০১. আন্তঃ প্রদেশীয় পরিষদ
প্রদেশের নেতার দলীয় সম্মতি দ্বারা প্রদেশগুলোর মধ্যে সাধারণ বেপার কিংবা কেন্দ্রের সাথে প্রদেশের সাধারন বেপারে এক বা একাধিক পরিষদ গঠনের ক্ষমতা থাকবে।
১০২. পাকিস্তান সরকারের ঋণ
প্রদেশের চাওয়া অনুযায়ী কেন্দ্রের অর্থ ঋণ নেয়ার যোগ্যতা থাকতে হবে।
১০৩. প্রদেশ কতৃক করা ঋণ
কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্বে প্রদেশ নিজ যোগ্যতায় ঋণ নিতে পারবে, কোনো বিধান প্রয়োজনীয় নয় এক্ষেত্রে।
৬ষ্ঠ অংশ
ফেডারেশন ও প্রদেশের অধীনে সেবা
১০৪. সেবার নিরাপত্তা
নিম্নোক্ত চরণে সরকারী কর্মচারিদের মামলা ইত্যাদির বিরুদ্ধে নিরাপত্তার উল্লেখ করা হলঃ

পাকিস্তানে রাজ্যের নির্দিষ্ট কর্মীদের নিরাপত্তা উঠানো বা সীমাবদ্ধ করার জন্য কোনো বিল বা সংশোধনী প্রদান করা হবে না , অপরাধী প্রক্রিয়া আইন (১৮৯৮) ১৯৭ ধারা বা বেসামরিক প্রক্রিয়া আইনের(১৯৮০) ৮০-৮২ ধারা পরিচিত করা হবে অথবা কেন্দ্রীয় আইনসভার পূর্ব অনুমতি ছাড়া রাষ্ট্রের মুখ্য কিংবা প্রাদেশিক আইনসভায় পূর্ব অনুমতি ছাড়া রাজ্যের মুখ্য আনা হবে।
যেখানে একজন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে বেসামরিক মামলা জারি হবে,যার মানে হবে বেসামরিক প্রক্রিয়া আইন,১৯০৮,এই সম্পর্কে তার মনে তার সরকারি দক্ষতা নিয়ে কোনো কর্মের অভিপ্রায় জাগে ,সম্পূর্ণ অথবা খরচের একটি অংশ তার দ্বারা সংযুক্ত হবে এবং কোনো ক্ষতি বা ক্ষতির নির্দেশ তাকে বহন করতে হবে,যদি ফেডারেশনের এই ব্যাপারে যুক্ত কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে রাষ্ট্রের মূখ্য নির্দেশনা দেয় , কিংবা প্রদেশের এই ব্যাপারে যুক্ত কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে প্রদেশের মূখ্য নির্দেশনা দেয় তবে তাকে খরচ বহন করতে হবে এবং ফেডারেশন কিংবা প্রদেশের রাজস্বে অভিযুক্ত হতে পারে হয়ত।
১০৫. ফেডারেশন ও প্রদেশের জন্য জনসেবা কমিশন
কেন্দ্রে একটি জনসেবা কমিশন থাকতে হবে এবং প্রতিটি প্রদেশে একটি জনসেবা কমিশন দিতে হবে।এটি হয়ত দুটি আ কয়েকটি প্রদেশে যুক্ত জনসেবা কমিশনের ক্ষেত্রে অনুমোদনযোগ্য।
১০৬.জনসেবা কমিশনের সভাপতি ও সদস্যদের সাক্ষাৎ
প্রক্রিয়া অনুসারে কেন্দ্রে জনসেবা কমিশনের সভাপতি ও সদস্যদের সাক্ষাৎ এমনকি প্রদেশেও তা করতে হবে যা হয়ত উচ্চ আদালতের বিচারকদের জন্য জমা রাখা হবে।
৭ম খন্ড
বহির্ভূত কিংবা আংশিক বহির্ভূত এলাকা
১০৭.বহির্ভূত কিংবা আংশিক বহির্ভূত এলাকা
“বহির্ভূত” এবং “আংশিক বহির্ভূত” রাশিগুলো যথাক্রমে বোঝায় যে, যেগুলো ফেডারেশন গঠনের তৎক্ষণাৎ পূর্বে বহির্ভূত কিংবা আংশিক বহির্ভূত ছিল।অথবা এই এলাকাগুলো অতঃপর রাষ্ট্রের মুখ্য দ্বারা বহির্ভূত বা আংশিক বহির্ভূত ঘোষনা করা হয়েছে।
১) প্রদেশের কার্যনির্বাহী কতৃপক্ষ তাতে বহির্ভূত ও আংশিক বহির্ভূত এলাকা সম্প্রসারণ করেছে,কিন্তু পরন্তু সংবিধানে যেকোন কিছু , কেন্দ্রীয় আইনসভা অথবা প্রাদেশিক আইনসভা বহির্ভূত কিংবা আংশিক বহির্ভূত এলাকা নিয়ে আইন প্রয়োগ করতে পারবে না,যদি না প্রদেশের মূখ্য কতৃক কোন জনপ্রজ্ঞাপন বা নির্দেশ না দেয়, এবং প্রদেশের মূখ্যের কোনো আইন সংক্রান্ত এই ধরণের নির্দেশনা যে এই আইনটি ঐ এলাকায় প্রয়োগ করা হবে,অথবা এর নির্দিষ্ট অংশে প্রয়োগ করা দরকার,তবে এই ক্ষেত্রে তিনি যেভাবে প্রত্যাশা ও অদলবদলে মানানসই মনে করেন সেভাবে পারবেন।

২) প্রদেশের মূখ্য হয়ত শান্তি ও মঙ্গলময় সরকারের জন্য প্রদেশের যেকোনো এলাকায় নিয়ম তৈরী করতে পারবেন,যেটি ঐ সময়ে বহির্ভূত কিংবা আংশিক বহির্ভূত এলাকার জন্য এবং যেকোনো নিয়ম যা কেন্দ্রীয় বা প্রাদেশিক আইনসভার কোনো আইনকে বাতিল বা সংশোধন করা কিংবা কোনো বিদ্যমান আইন যেটি এই সময়ে ঐ এলাকার জন্য কার্যকর।এই উপ অনুচ্ছেদের অধীনে তৈরী হওয়া নিয়মগুলো অবিলম্বে রাষ্ট্রের নেতাকে দেখাতে হবে এবং তার সম্মতি না পাওয়া পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব থাকবে না।
৮ম খন্ড
জরুরি বিধান
১০৮. জরুরি অবস্থার ঘোষনা
যদি রাষ্ট্র বাহ্যিক কোনো আক্রমণ কিংবা অভ্যন্তরীণ ঝামেলার সম্মুখীন হয় তবে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করা হবে।
১০৯. রাষ্ট্রের জরুরি অবস্থা অথবা নিরাপত্তার হুমকিতে রাষ্ট্রপ্রধানের সংবিধান স্থগিত করার ক্ষমতা
রাষ্ট্রের জরুরি অবস্থা অথবা নিরাপত্তার হুমকিতে অথবা সংবিধানের ব্যর্থতায় রাষ্ট্রপ্রধান যদি মনে করে তবে সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক সংবিধান স্থগিত করার ক্ষমতা থাকবে।
১১০.প্রদেশে সংবিধানের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপ্রধানের সংবিধান কিংবা সংবিধানের অংশ স্থগিত করার ক্ষমতা
কোনো প্রদেশে সংবিধানের ব্যর্থতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রেপ্রধানের সংবিধানের ঐ অংশ স্থগিত করার ক্ষমতা থাকবে যদি সেটি প্রশাসনের বহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়,তবে এই ক্ষমতা ফেডারেল আদালত বা উচ্চ আদালত রদ করা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে না অথবা ফেডারেল ও উচ্চ আদালতে সংবিধান অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করে।
১১১. দেশের অর্থনীতির হুমকিতে রাষ্ট্রপ্রধানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতা
দেশের স্থায়িত্ব ও অর্থনৈতিক জীবনে বা এর কোনো অংশ হুমকির সম্মুখীন হলে সকল জরুরি অবস্থায় রাষ্ট্রপ্রধানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে।
১১২. অর্থনৈতিক স্থায়িত্বের হুমকির ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ ,নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা
অর্থনৈতিক প্রয়োজনের খাতিরে কতৃপক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ ,নির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা রাষ্ট্রপ্রধানকে ন্যস্ত করবেন।
১১৩.কেন্দ্রের নির্দিষ্ট ক্ষমতার অনুশীলন
প্রাদেশিক তালিকায় কোনো সমস্যার ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থা ঘোশোনা করার জনয কেন্দ্রের আইন প্রণয়নের অধিকার থাকা উচিত।
কেন্দ্রকে ক্ষমতাবান করার জন্য বিধান তৈরী করা উচিত যাতে প্রয়োজনীয় ব্যাপারে জরুরি অবস্থা তৈরী হলে প্রদেশে নির্দেশনা ইস্যু করা যায়।

রাস্ট্র প্রধানের কেন্দ্রীয় আইন নিয়ন্ত্রনের বিধানিক ক্ষমতা থাকা উচিত।যদি আইনগত কারনের জন্য কোন কারনে যথাসময়ে বাজেট অনুমোদন দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে ব্যায় অনুমোদনের জন্য রাস্ট্র প্রধানকে ক্ষমতা দেবার বিধান চালু করা যেতে পারে।
114. Laying of Proclamation of Emergency before the Central Legislature
Provision should be made making it compulsory on the part of the Head of the State
to lay the Proclamation of Emergency issued by him before the Central Legislature in
case the Legislature is in existence and can meet.

নবম অংশ
বিবিধি
১১৫-উপাধি এবং সজ্জা
পাকিস্তান রাস্ট্রে কোন উপাধি গ্রহন করা হবে না;পাকিস্তানের কোন নাগরিক কোন ধরনের কোন উপাধি কোন রাজা,রাজপুত্র অথবা বিদেশী রাস্ট্র থেকে গ্রহন করতে পারবে না। This should not, however, bar the award by the Head of the State of decorations in recognition of service in its Defence services, Police and other similar organizations, or decorations
for velour.
১১৬ চুক্তি-ক্ষমতা তৈরি
সকল চুক্তি রাস্ট্রপ্রধান দ্বারা স্বাক্ষর এবং অনুমোদন পাবে।সকল চুক্তি কেবলমাত্র ঐ বিভাগ ব্যাতিত যেগুলো হয়ত বা নির্দিস্টভাবে এই ধারা থেকে ছেটে ফেলা হয়েছে তা ব্যাতিত সকল বিষয় কেন্দ্রীয় আইন পরিষদ দ্বারা অনুমোদন লাভ করবে।চুক্তি বাতিল রাস্ট্রের প্রধান দ্বারা অনুমোদন করা যেতে পারে।এই কমিটির উপদেশ পর্যবেক্ষন হল এই যে,নির্দিস্ট চুক্তির এমন এক গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্ট্য আছে যে তাদের অনুমদনের জন্য কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের প্রতিটি কক্ষে আলাদা ভাবে বসা যেতে পারে।এই ধরনের ব্যাতিক্রমী ঘটনায়,এই বিষয়গুলো দুই পরিষদের যুগ্ম সেশনে আলোচনা করা যেতে পারে।
১১৭ কূটনৈতিক অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষমতা
রাস্ট্রপ্রধানের কুটনীতিক অভ্যর্থনা জানানোর ক্ষমতা থাকবে।
১১৮ যুদ্ধঘোষণার ক্ষমতা
রাস্ট্রপ্রধানের যুদ্ধ ঘোষনার ক্ষমতা থাকবে
১১৯
ফেডারেশনের পাকিস্তানের বাইরের রাজ্যে সম্পর্ক এর অধিকার
পছন্দমত বিধান আইন কর্তাদের জন্য সংবিধানে যুক্ত করা যেতে পারে এবং একটি অতিরিক্ত প্রাদেশিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে বিচারিক এখতিয়ার

১২০ রাষ্ট্রভাষা
উর্দু পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হতে পারে
১২১ পরিভাষা
পরিভাষা হতে পারে রাস্ট্রভাষার সাথে সংবিধানের ইংলিশ ভার্ষনের ইংরেজী অনুবাদ।
এই কমিটি ডঃ মৌলভী আব্দুল হক,ডঃ আই এইচ কুরায়েশি এবং ডঃ মাহমুদ হুসাইন দারা গঠিত একটি বিশেষায়িত কমিটিকে নিয়োগ দিল যাতে তারা উপযুক্ত পরিভাষার পরামর্শ প্রদান করতে পারে।
১২২ শপথ
যেখানেই সংবিধানের অধীনে শপথ নেবার প্রয়োজন হোক না কেন, মুসলমানরা আল্লাহর নামে শপথ নিতে পারে এবং নন মুসলিমদের ক্ষেত্রে এটা উন্মুক্ত রাখা যেতে পারে হয় ঈশ্বরের নামে শপথ নিতে অথবা অন্য বিবৃতিতে।
১২৩ সংবিধানের ব্যাখ্যা
সংবিধানের ব্যাখ্যা বিচারপতিগনের জন্য রাখা যেতে পারে।কিন্তু যখন বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হবে তখন কোন রকমের প্রয়োজনীয় বিলম্ব ছাড়াই এর চুড়ান্ত দায়িত্ব পাকিস্তানের উচ্চ আদালতকে দেয়া যেতে পারে।
১০ম অংশ
সংবিধান পরিবর্তন
১২৪ সংবিধান পরিবর্তনের জন্য প্রক্রিয়া
কমিটির দৃষ্টিভংগি হল সংবিধান পরিবর্তনের প্রক্রিয়া কঠিন হওয়া উচিত।সে মোতাবেক নিম্নোক্ত প্রক্রিয়া সুপারিশ করা যেতে পারে।
যদি প্রাদেশিক পরিষদের এক তৃতীয়াংশ এর চেয়ে কম সদস্য নয় এমন স্বাক্ষরিত নোটিশ গ্রহন করা হয়, যারা প্রাদেশিক পরিষদের ভিতরে সংবিধান পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব উত্থাপন জ্ঞাপনের অনুমতি চাচ্ছে,এটা পরিষদের এজেন্ডা সম্পর্কিত হিসেবে এবং বিবেচনায় রাখা যেতে পারে। কোন কাররে যদি এটা অধিকাংশের দ্বারা অনুমোদিত হয়,তাহলে বিষয়টি অন্য পরিষদে বিবেচনার জন্য একই উদ্দেশ্য পাঠানো যেতে পারে।যখন দ্বিতীয় পরিষদ দ্বারা অনুমোদন দেয়া হবে,প্রস্তাবটি পরিষদে এর চেয়ারম্যান দ্বারা উত্থাপন করা যেতে পারে যিনি এটি শুরু করে থাকেন। প্রত্যেক আইন পরিষদের চেয়ারম্যান,যার দ্বারা এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে,আইন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান যিনি এই প্রস্তান উত্থাপন করেছিলেন তিনি এই সিদ্ধান্ত জ্ঞাপন করতে পারেন।কেন্দ্রীয় একইভাবে প্রাদেশিক আইন পরিষদের সিদ্ধান্ত বেশিরভাগের ভোটের মাধ্যমে গ্রহন করা যেতে পারে।যদি প্রাদেশিক পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য প্রস্তাব বিবেচনার সমর্থন দেন,এটা পরিষদের বিবেচনা হিসেবে এজেন্ডায় রাখা যেতে পারে।
কোন কারনে এটি যদি পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে এবং ভোটে অনুমোদন পায়,এটি অন্য পরিষদে প্রেরন করা যেতে পারে একই ধরনের ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য।যদি পরবর্তি পরিষদও প্রস্তাব বেশিরভাগের মাধ্যমে অনুমোদন করে থাকে,তাহলে এই সংশোধনী অনুমোদন দেয়া যেতে পারে।

একাদশ অংশ
১২৫ পরিবর্তনকালীন সময় পর্যন্ত বিধান
১ দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানোর জন্য বিশেষ বিধান চালু করা যেতে পারে।যত দ্রুত সম্ভব নতুন সংবিধান বাস্তবায়নের আগে বর্তমান সংবিধান অনুসারে কার্যক্রম চালান যেতে পারে।
২ বিদ্যমান প্রশাসনকে নতুন সংবিধান জারীর সকল সুবিধাজনক পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাবার সক্ষমতা তৈরির জন্য নতুন বিধান করা যেতে পারে।

সংযোজনী ৩
তালিকা ১ (যুক্তরাষ্ট্রীয়)

১ শান্তিকালীন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে রাস্ট্রের প্রতিরক্ষা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় সকল বিষয়।
২ প্রশিক্ষন,রক্ষন্সবেক্ষন এবনহ নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রন,সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর ও তাদের পাকিস্তানের প্রতিরক্ষার জন্য চাকরি এবং পাকিস্তানে আইন প্রয়োগকারী এবং এর বিধান ও অন্য বাহিনী যাদের নিরাপত্তা এবং বর্ডারে সেবা দিতে হয় ইত্যাদি বিষয় উত্থাপন।
3. Preventive detention in the territory of Pakistan for reasons connected with
defence, external affairs or the security of Pakistan,
Persons subjected to preventive detention under the authority of the Federation.
৪ প্রতিরক্ষা শিল্প এবং পরমানু শক্তি
৫ 5. All work connected with services set up under Nos. 1 and 2 and Local Self-
Government in Cantonment areas, powers and functions within such areas of
Cantonment authorities, control of house accommodation in such areas and the
delimitation of such areas
৬ পররাষ্ট্র সম্পর্কিত ,সকল বিষয় যা কোন বিদেশি রাস্ট্রের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক স্থাপন করবে।
৭ কূটনৈতিক,বাণিজ্যদূত সংক্রান্ত এবং প্রতিনিধিত্ব।
৮ আন্তর্জাতিক সংস্থা,আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহন,সংস্থা এবং অন্যান্য বিষয় ও সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন যা রিট তৈরি করেছিল।
৯ যুদ্ধ এবং শান্তি ও অঞ্চল তৈরি এবং তাদের বাস্তবায়ন
১০ বিদেশ এবং অতিরিক্ত আঞ্চলিক বিচারিক ব্যাবস্থা

১৫. পাসপোর্ট এবং ভিসা
১৬. পাকিস্তান এবং জাতীয় আইনের বিরুদ্ধে পাইরেসি এবং অপরাধ।
১৭. পাকিস্তান হতে ভর্তি হওয়া, প্রবাস এবং নির্বাসন।
১৮. চাকরীস্থল পাকিস্তানের বাইরে।
১৯. বিদেশীদের চাকরীস্থল পাকিস্তানের ভেতরে।
২০. আন্ত-প্রদেশ এবং বন্দর পৃথক করা, নাবিক সমুদ্র এলাকার হাসপাতাল গুলো আলাদা করা।
২১. পাকিস্তান সরকারের প্রণীত আইনে আমদানি-রপ্তানি পরিচালনা।
২২. সব রকম যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন- রেলওয়ে, বিমান পথ, জাহাজ চলাচল, সমুদ্র ও আকশ পথে ন্যাভিগেশন, জাতীয় সড়ক, জাতীয় বন্দর, ডাক বিভাগ, টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন সবকিছু আইন সভার অনুমোদনে চলে।
জোয়ার প্রবন এলাকায় চলাচল, শিক্ষা নীতি, বাণিজ্যিক সমুদ্রযান, বেসামরিক বিমান চলাচলের প্রশিক্ষন সহ সামুদ্রিক জাহাজ চলাচল ও নাভিগেসন সবকিছু প্রাদেশিক এবং অন্যান্য সংস্থার বিধানে চলে।
২২ ক. বিমান পথ, বিমান এবং এয়ার ন্যাভিগেশন; বিমানশালার নীতি; এয়ার ট্রাফিক এবং বিমানশালার নীতিমালা ও সংস্থা; বিমান শিক্ষা এবং প্রশিক্ষন এইসব কিছু প্রদেশ এবং অন্যান্য সংস্থা থেকে দেয়া।
অন্তর্দেশীয় পানিতে জাহাজ চালনা এবং ন্যাভিগেশন, যান্ত্রিক জল-পরিবহন, যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য ছিল আইন-সভার বিধি-বিধান।
২৩. জাতীয় ভাবে ঘোষিত প্রাচীন এবং ঐতিহাসিক নিদর্শন, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, পাঠাগার এবং জাদুঘর এর অর্থায়ন না করা।
২৪. গবেষণা, পেশাগত বা প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষন বা বিশেষ শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত ফেডারেল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান সমূহ।
২৫. ফেডারেল জরিপ ও ফেডারেল আবহবিদ্যাগত প্রতিষ্ঠান সমূহ।
২৬. পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক, ব্যাংকিং, মুদ্রা, বৈদেশিক লেনদেন, টংকন, আইন স্বীকৃত টেন্ডার, চেক, লেনদেনের হিসাব, সঞ্চয়পত্র এবং এই সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় সমূহ।
২৭. ইনস্যুরেন্স
২৮. প্রাতিষ্ঠানিক আইন
২৯. কপিরাইট, নকশা, পেটেণ্ট, উদ্ভাবন, বাণিজ্য ও পণ্যদ্রব্য
৩০. ফেডারেল নিয়ন্ত্রনে শিল্প উন্নয়নের আইন জনসাধারনের বিবেচনার জন্য প্রকাশ করা।

৩১. ফেডারেল আইনে লোহা, স্টিল, কয়লা, পেট্রোলিয়াম, খনিজ পদার্থ সহ এরকম অন্যান্য পদার্থ গুলো কে জাতীয় স্বার্থে ব্যাবহারের আইন প্রণয়ন করা হয়।
ফেডারেল আইনে খনি, তেলখনি সমূহ এবং খনিজ উন্নয়ন জনস্বার্থে ব্যাবহারের জন্য সমীচীন মনে করা হয়।
৩২. বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে খনি ও তেলখনি স্রমিকদের নিয়মনীতি এবং নিরাপত্তা জনিত বিতর্ক।
৩৩. আন্তপ্রদেশিয় বাণিজ্য নীতি।
৩৪. ওজন ও পরিমাপের আদর্শ
৩৫. বিক্রয় বা রপ্তানির উদ্দেশে আফিম আবাদ এবং উৎপাদন
৩৬. সংবিধান, প্রতিষ্ঠান, অধিক্ষেত্র এবং ফেডারেল আদালতের ক্ষমতা এবং ফি।
৩৭. আদমশুমারি
৩৮. যেকোনো উদ্দেশে এই তালিকার যেকোনো বিষয়ে অনুসন্ধান এবং পরিসংখ্যান।
৩৯. কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স সংস্থা
৪০. ফেডারেল জনসেবা এবং ফেডারেল জনসেবা কমিশন।
৪১. কেন্দ্রীয় আইন সভার নির্বাচন এবং রাষ্ট্রপতি সহ অন্যান্য ফেডারেল নির্বাচন।
৪২. দেশের সমুদ্রসীমার বাইরে মাছ ধরা এবং মৎস্যশিল্প।
৪৩. লবন
৪৪. দেশের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার আইন।
৪৫. এই তালিকার যেকোনো বিষয়ে আইন লঙ্ঘন।
৪৬. ইউনিভার্সিটি, সমবায়ী সমিতি এবং পৌরসভা ব্যাতিত ব্যাংকিং, ইনসিওরেন্স এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সহ অন্যান্য করপরেশনের উন্নয়ন।
৪৭. পাকিস্তানে আন্তঃপ্রাদেশিক স্থানান্তর।
৪৮. বিভিন্ন প্রতিস্থানের নামে ভূসম্পত্তি অধিগ্রহন করা
৪৯. প্রতিস্থানের সম্পত্তি এবং এর থেকে অর্জিত রাজস্ব কেন্দ্রীয় আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ
৫০. রাষ্ট্রের নামে বিভিন্ন প্রতিস্থানের ঋণ।
৫১. যাকাত।
৫২. সাজসজ্জা এবং সন্মানিয় উপাধি।

৫৩. বিষাক্ত পানীয় এবং চেতনানাশক ওষুধ।
৫৪. প্রদর্শনীর জন্য চলচ্চিত্র ফিল্ম এর বরাদ্দ।
৫৫. অস্ত্র, বন্দুক, গুলি এবং বিস্ফোরক
৫৬. পোস্ট অফিস সেভিং ব্যাংক
৫৭. নৌবাহিনী অধিক্ষেত্র
৫৮. জাহাজ এবং বিমানের নিরাপত্তার জন্য বাতিজাহাজ, দিক নির্দেশক এবং অন্যান্য নিয়ম কানুন।

৫৯. ফেডারেল আইনে পেট্রলিয়াম এবং অন্যান্য তরল পদার্থ দখলে রাখা, সংরক্ষণ করা বা পরিবহনের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ ঘোষিত হয়।

৬০. কেন্দ্রীয় আইন বিভাগের মন্ত্রি, উপমন্ত্রী, চেয়ারম্যান, সহঃচেয়ারমান ও সদস্যদের বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কিত এবং উপযুক্ত দলিল উপস্থাপন না করার শাস্তি।

৬১. কেন্দ্রীয় আইন বিভাগের সামনে দলিল উপস্থাপনকারীর জোরপূর্বক উপস্থিতি নিশ্চিতকরন।

৬২. একটির চাইতে বেশি প্রদেশের জন্য প্রয়োজনীয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, চাষাবাদ এবং হাইড্র-ইলেক্ট্রিক পাওয়ার নিশ্চিতকরনে পানির গতিপথ উন্নয়ন।

৬৩. স্টক এক্সচেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ বাজার।
৬৪. হাই কোর্টের অধিক্ষেত্র ক্ষমতা প্রদেশের বাইরে প্রয়োগের জন্য বর্ধন।
৬৫. সুপ্রিম কোর্ট ছাড়া অন্যান্য কোর্টের ক্ষেত্রে এই তালিকার যেকোনো বিষয়ে ক্ষমতা।
৬৬. কোন নির্দিষ্ট প্রদেশের পুলিশ সদসসের অধিক্ষেত্র ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্র নির্ধারণ।

৬৭. অন্য সব বিষয় সমূহ যা ১ ও ২ নম্বর তালিকায় উল্লেখ করা হয়নি।

তালিকাঃ ২ (প্রাদেশিক)
১. প্রকাশ্য আদেশের তদারকির জন্য (বেসামরিকদের জন্য সামরিক বাহিনির ব্যাবহার এর অন্তর্ভুক্ত নয়), বিচার প্রশাসন, ফেডারেল কোর্ট ছাড়া অন্যান্য সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এবং নিবর্তনমূলক আটক এর জন্য গৃহীত ফি।

2. জেল/হাজতখানা, বন্দি সংশোধনাগার, কিশোর পুর্নবাসন কেন্দ্র এবং এরকম অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেখানে অপরাধীদের বন্দী রাখা হয়, এসব প্রতিষ্ঠানসমূহ অন্য প্রভিন্সের সাথে জেলখানা হিসেবে ব্যবহার করবে
পুলিশ
৩.—
৪.প্রভিন্সের সরকারি দায়
৫. প্রভিন্সিয়াল পেনশন; যা প্রভিন্স কর্তৃক পরিশোধিত
৬. প্রভিন্সিয়াল সেবা ও প্রভিন্সিয়াল পাবলিক সার্ভিস কমিশন
৭.পূর্ত, ভূমি ও দালান কোঠা যা প্রভিন্সের নিকট অর্পিত কিংবা অধিকারে রয়েছে
৮. কেন্দ্র কিংবা প্রভিন্সের প্রয়োজনে কোন সম্পত্তি বা ভূমি অধিগ্রহন কিংবা অধিযাচন
৯.যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রন্থগার, জাদুঘর এবং এরকম অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যার কর্তৃত্ব ও অর্থায়ন করে প্রভিন্স
১০.জনস্বাস্থ্য, সেনিটেশন, হাসপাতাল, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন
১১. মৃত্যু ব্যক্তির সতকার ও গোরস্থান
১২.প্রভিন্সিয়াল পরিষদের নির্বাচন, মন্ত্রী ও চেয়ারম্যানদের বেতন-ভাতা ইত্যাদি।সংসদীয় কমিটির সামেনর দালিলিক প্রমান হাজির করতে না পারলে তাদের বিচার নিশ্চিত করা
১৩.স্থানীয় সরকার; মিনিসিপালিটি, ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট, ডিস্টিক্ট বোর্ড, মাইনিং সেটেল্টমেন্ট কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যার মাধ্যমে লোকাল সেলফ গর্ভমেন্টকে তরান্বিত করে
১৪. প্রভিন্সের আওতাধীন ধর্মীয় স্থানসমূহ
১৫. শিক্ষাব্যবস্থা
১৬. যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন রোড, সেতু, ফেরী ও অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম যা তালিকা-১ এর অন্তর্ভক্ত নয়, মিউনিসিপাল ট্রামওয়ে, রোপওয়ে, আভ্যন্তরিন নৌরোট ও অন্যান্য রাস্তাঘাট যা তালিকা-৩ এর অধিভূক্ত এসব নৌপথ ও বন্দর যা তালিকা-১ এ জাতীয় বন্দরের অন্তর্ভক্ত, যানবাহন যা যন্ত্রচালিত যানবাহন ব্যতিরেকে
১৭. পানি সরবরাহ, সেচ ব্যবস্থা ও খাল, পয়ঃনিষ্কাসন ও বাঁধ ও পানি সংরক্ষনাগার
১৭. জল বিদ্যুত
১৮. কৃষি, কৃষি শিক্ষা ও গবেষনা, ক্ষতিকর পোকামাকড় প্রতিরোধ ও বৃক্ষ/গাছপালার রোগ প্রতিরোধ করা, গবাদি পশুর জাত উন্নয়ন ও রোগ নিয়ন্ত্রন, ভেটেনারি ট্রেনিং, গবাদিপশুর চারণভূমি সুরক্ষা করা

১৯- ভূমি,ভূমির উপর অধিকার,মধ্যসত্তভোগকারি,ভূমির মালিক ও সেখানে বসবাসকারীদের মধ্যকার সম্পর্ক , ভাড়া ওঠানো, কৃষি ভূমির ক্ষমতা হস্তান্তর, জমির উন্নয়ন, কৃষি ঋণ, উপনিবেশিক স্থাপনা।
২০-বন ও বন্য পশুপাখি সংরক্ষন।
২১-গ্যাস ও গ্যাস এর কাজ।
২২- তালিকা ১ এ বর্ণিত সুবিধাদি অনুসারে খনিজ সম্পদ ও তেলের খনির রক্ষণাবেক্ষণ।
২৩- মাৎস্য সম্পদ
২৪- সরাইখানা, দোকান ও সেলুন রক্ষণাবেক্ষণ।
২৫- উপমহাদেশের বানিজ্য, মেলা ও বাজারসমূহ
২৫ ক- অর্থ দাতা ও অর্থ গ্রহীতা
২৬- মালামালের উৎপাদন ও বিতরণ এর রক্ষনাবেক্ষন,তালিকা১এউল্লেখিতশিল্প কারখানা সমূহের উন্নয়ন।
২৭-খাদ্য ও অন্যান্য পন্যের ভেজাল রোধ।
২৮-মদ ও ড্রাগ এর ব্যাপারে সচেতনতা।
২৯-দারিদ্রতা, বেকারত্ব নিরসন ও বিভিন্ন দাতব্য কাজ ও সংস্থার কাজের তদারকি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় বৃত্তি।
৩০- তালিকা ১-এ যেসব সংস্থার উল্লেখ আছে সেসব প্রতিষ্ঠানের তদারকি। অপ্রাতিষ্ঠানিক লেনদেন; সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, ধর্মীয় এবং মুসলিম সমাজের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য সমাজ ব্যবস্থাসমূহ।
৩১- জুয়া খেলা ও বাজি ধরা।
৩২- থিয়েটার,নাটক ও সিনেমা (বিনামূল্যে প্রদর্শনের জন্য সিনেমা ব্যাতীত)।
৩৩-লিস্টের অন্যান্য ব্যপারে তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহ
৩৪-আইন বিরুদ্ধ কোনো ব্যাপার থাকলে তার তদারকি
৩৫- মসজিদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
তালিকা-৩ (সহাবস্থিত)
১- ফৌজদারি আইন, এই আইন পাসের দিন থেকে ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্তর্ভুক্ত সকল বিষয় এর অন্তর্ভুক্ত কিন্তু ১ নং অথবা ২ নং তালিকার উল্লেখিত যেকোন বিষয়ের আইন বিরুদ্ধ অপরাধ এবং বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় নৌ, সামরিক এবং বিমান বাহিনীর ব্যবহার ব্যতীত।
২- ক্রিমিনাল আইনের সব বিষয় যা ওইদিন পাশ করা হয়েছে।

৩- দোষী ব্যাক্তি ও আসামি দের এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশ এ স্থানান্তর
৪- বেসামরিক কার্যকলাপ,সে সংক্রান্ত সব আইন কানুন,বা এসব আইনে যা জটিলতা আছে,জমির বকেয়া খাজনাসহ সব বিষয়েরক্ষণাবেক্ষণ করা।
৫- সূচনা ও শপথ গ্রহণ; আইন, সামাজিক নীতি ও আদালতের শাসনের পরিচিতিকরণ।
৬- বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, বিবাহের বয়স এই সংক্রান্ত সব আলোচনা।
৭- জমির দলিল, দলিলবিহীন বা মালিকানা বিহীন কৃষি জমির রক্ষণাবেক্ষণ।
৮- কৃষি জমি ছাড়া অন্যান্য সম্পত্তিরহস্তান্তর সংক্রান্ত কার্যাবলী; নথিভুক্তি ও অন্যান্য।
৯- ট্রাস্ট ও ট্রাস্টি
১০-কৃষি জমি ছাড়া অন্যান্য সব রকম চুক্তি যেমন- কোন সংস্থার অংশীদারিত্ব বা মালামাল সংক্রান্ত
১১-সালিশ ব্যবস্থা
১২-দেউলিয়া হওয়া বা অর্থশূন্যতা বা ব্যাংক সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যাবলী
১৩- বিভিন্ন রকম স্ট্যাম্প এর মুল্য জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের দ্বারা সংগ্রহ করা হবে।
১৪-তালিকা ১ ও ২ এ উল্লেখিত যেকোনো সম্ভাব্য দোষমূলক কাজ এড়িয়ে চলতে হবে।
১৫-ফেডারেল কোর্ট ছাড়া অন্যান্য সকলআদালতেরক্ষমতা ও সীমা এই তালিকায় উল্লেখ থাকবে।
১৬- চিকিৎসা ওঅন্যান্য পেশা।
১৭-খবরের কাগজ , বই ও অন্যান্য মুদ্রণ প্রেস।
১৮- মানসিক সমস্যা ও মানসিক বিকারগ্রস্থতার চিকিৎসার জন্য স্থান
১৯-বিষ ও অন্যান্য ক্ষতিকর ড্রাগ
২০- যান্ত্রিক বাহন
২১- বয়লার
২২- প্রানীদের প্রতি হিংস্র আচরণ প্রতিরোধ করা।
২৩- গৃহহীন,যাযাবর, অপরাধী ও যারা অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হচ্ছে
২৪-কারখানা
২৫- শ্রমিক দের সুযোগ সুবিধা ও উন্নয়ন; শ্রমিকদের অবস্থা, ফাণ্ড, কাজদাতার দায়িত্ব ও ক্ষতিপূরণ, স্বাস্থ্য বীমা্, অক্ষমতা ভাতা ও বয়স্ক ভাতা।

২৬। বেকারত্ব ও সামাজিক বীমা
২৭। ব্যবসায়িক ঐক্য; শিল্প ও শ্রম বিরোধ.
২৮। সংক্রমন ও সংক্রামক ব্যাধি বা অন্য যেকোনো কিছু যা মানুষ, প্রানী বা উদ্ভিদকে সংক্রামিত করে তা এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে ছড়ানোকে প্রতিরোধ করা।
২৯। বিদ্যুৎ
৩০। রপ্তানি এবং অন্তর্দেশীয় জলপথে পরিবহন যেমন যান্ত্রিক জাহাজ, এবং নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের নিয়ম
৩১। সেই সব নিতিমালা যার আলোকে ফেডারেশন অথবা প্রদেশের জন্য অধিগ্রহনকৃত অথবা রিকুজিশনে নেওয়া সম্পত্তির ক্ষতিপূরণনির্ধারন করা।
৩২। এই তালিকার যে কোন বিষয়ে উদ্দেশ্যে তদন্ত এবং পরিসংখ্যান
৩৩। এই তালিকার যে কোন বিষয়ের জন্য ফি
৩৪। সূদ
৩৫। উচ্চ কারিগরি শিক্ষা.
৩৬। বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা.
৩৭। মুসলিম ধর্মীয় সমাজ (মসজিদ ও ওয়াকফ ব্যতীত)

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!