মিযােগণ
এই উপজাতি বাস করে লুশাই পর্বতসমূহে, যা এখন মিযােরাম নামে ভারতের একটি আলাদা রাজ্য। উৎসের দিক দিয়ে তারা মঙ্গোল-প্রতিম এবং সাধারণত তারা শান্তিপ্রিয়, সহজে বশ মানা স্বভাবের তাদের মধ্যে কিছু বাস করে সংলগ্ন বার্মার চীন পাহাড়সমূহে তাদের বসতির এমন ছড়ানাে ছিটানাে চরিত্রের কারণে সামগ্রিক ব্রিটিশ শাসন কর্তৃপক্ষ তাদেরকে তৎকালীন আসাম, বেঙ্গল ও বার্মার গভর্নরদের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। এটা বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, ১৮৯২ সালে এই এলাকাগুলিকে একটি মাত্র প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের অধীনে আনার একটা চেষ্টা চালানাে হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সেটা সম্ভবপর বলে দেখতে পেল না । দি স্টেট অ্যাক্ট অব ইন্ডিয়া ১৯৩৫ -এর আওতায় ভারতের ১৬ হাজার বর্গমাইলের মিযাে এলাকাকে গভর্নর-জেনারেল-ইন-কাউন্সিল -এর বিশেষ দায়িত্বে দেওয়া হল। ব্রিটিশ সরকার এই স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকায় যে কোনও ধরনের রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করলেও ব্রিটিশ মিশনারিদেরকে পুরা সুবিধা দিয়েছিল এই সরল উপজাতীয়দেরকে খ্রিস্টান মতে ধর্মান্তরিত করার এবং তারা যতটা গ্রহণ করতে পারে ততটা পাশ্চাত্য শিক্ষা ও সংস্কৃতি এদের মধ্যে ছড়ানাের জন্য। এটা ছিল ব্রিটিশদের দীর্ঘমেয়াদি পলিসির অংশ পলিসির উদ্দেশ্য নিজেদের জন্য একটা অবস্থান বজায় রাখা ভারত ও বার্মার মধ্যে, যারা উভয়েই স্বাধীনতা অর্জনের খুব কাছাকাছি ছিল। এই সরল ও ভালোবাসাযযোগ্য জনগণ নিয়ে গণ্ডগােলের শুরু হয়েছিল এই পলিসির ফলেই। ১৯৪৬ -এর এপ্রিলে ব্রিটিশ সরকার রাজনৈতিক দল গঠনের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল। এই সময় মিযযা ইউনিয়ন পার্টি গঠিত হল। মি. চ সাংগা, এই পাটির ভাইসপ্রেসিডেন্ট, এই অংশ থেকে একজন সংসদ সদস্য হিসাবে গৃহীত হলেন। ইউনাইটেড মিযাে ফ্রীডম অর্গানাইযেশন নামে অন্য একটি সংগঠন তার প্রেসিডেন্ট মি, লালমাভিয়া -এর অধীনে একটি প্রতিনিধি দল বার্মার সঙ্গে তাদের একত্রীকরণের পন্থা খতিয়ে দেখার উদ্দেশ্যে বার্মার প্রধানমন্ত্রী উনু -এর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পাঠালে বর্মি কর্তৃপক্ষ তাতে উৎসাহ দেখায়নি। তৃতীয় রাজনৈতিক দল মিযযা ইউনিয়ন কাউন্সিল, সার্বভৌমত্বের লক্ষ্যে পুনরেকত্রীকরণ চাচ্ছিল এই দলের নেতারা ছিলেন অধিকতর শক্তিশালী মিযাে ইউনিয়ন থেকে বহিকৃতরা। মিযাে ইউনিয়ন -এর লক্ষ্য ছিল ভারতের সাথে একত্র হওয়া ঠিক এই সময়টায় ব্রিটিশ পলিটিক্যাল অফিসার ম্যাকডােনাল্ড সাহেব কুখ্যাত খলনায়কের ভূমিকা পালন করে চললেন।
তিনি পুস্তিকার পর পুস্তিকা লিখে চললেন মানুষকে তার ভাষায় আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার শেখানাের জন্য। তিনি গির্জার নেতাদের এবং মিশনারিদের ব্যবহার করতে লাগলেন মিযােদেরকে তাদের ওপর ভারতীয় সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় আধিপত্যের ব্যাপারে এবং তাদের পরিপূর্ণ ভারতীয়করণের ও তাদের সম্প্রতি অর্জিত পাশ্চাত্য রুচিবােধ হারানাের আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিতে। তিনি মিযাে ইউনিয়ন নেতাদের মারাত্মক পরিণতির ভয় পর্যন্ত দেখালেন যদি না তারা ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বাধীনতাকামী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস -এর লাইন অনুসরণ করতে বিরত হন। তিনি তাদের বললেন-“আপনাদেরকে বিশ্বাসঘাতক হিসাবে বিবেচনা করা হবে এবং কবর খুঁড়ে আপনাদের হাড় তুলে ক্লেদাক্ত নােংরার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।” ম্যাডােনাল্ড সাহেব এমনকি সংসদীয় গণতন্ত্রভিত্তিক একটি স্বাধীন মিযােরাম শাসনতন্ত্রও খসড়া করলেন যাতে ছিল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অনুসরণে একটি উচ্চ ও একটি নিম কক্ষ তিনি এক্স-সার্ভিসমেন’স অ্যাসােসিয়েশন এবং লুশাই চীফস কাউন্সিল (যে দুটিই সরাসরি পলিটিক্যাল এজেন্টের তাবের মধ্যে ছিল) এবং মিযাে ইউনিয়ন কাউন্সিল দলের সমর্থন সংগ্রহ করলেন। কিন্তু তিনি তার এই মূলত ‘ম্যাকডােনাল্ড প্রস্তাব’কে সরাসরি লন্ডনের রাজকীয় সরকারের দ্বারা গ্রহণ করাতে ব্যর্থ হলেন এই প্রস্তাবে একটা মৌলিক ক্রটি ছিল যা বেশিরভাগ মিযােকে এর বিপক্ষে ঠেলে দিল। এই প্রস্তাব অনুযায়ী গ্রাম সর্দার যারা বংশগতভাবে একনায়কের বিপুল ক্ষমতা খাটাত, তাদের কর্তৃত্বপূর্ণ অবস্থান বহাল থাকবে বলে কথা ছিল। এর বিপরীতে মিযাে ইউনিয়ন পাটি জনগণকে বলেছিল যে ভারত প্রজাতন্ত্রের অংশ হিশাবে মিযােরামে বংশগত সর্দারি ব্যবস্থা উচ্ছেদ হবে এবং সাধারণ মানুষ মত প্রকাশের সুযােগ পাবে মিযােদের স্বাধীনতাপ্রিয় উপজাতীয় চরিত্র এই গুনটি পছন্দ করল সেদিন দেখা গেল মিযাে ইউনিয়ন পার্টিরই জয়-জয়কার। পরে ম্যাকডােনাল্ড সাহেবের দূরভিসন্ধিমূলক কাজ হাতে নিলেন লুশাই হিলস -এর ব্রিটিশ তত্ত্বাবধায়ক এল এল পিটার্স সাহেব তিনি তড়িঘড়ি একটা রাজনৈতিক কমিটি গঠন করলেন প্রধানত কাগজসর্বস্ব কতক পার্টির নেতাদের নিয়ে যেমন বিভিন্ন চার্চের প্রতিনিধিগণ, গ্রাম সর্দারদের কাউন্সিলের প্রতিনিধিগণ, এক্স-সার্ভিসমেন’স অ্যাসােসিয়েশন এবং মহিলা কল্যাণ সংগঠনের প্রতিনিধিগণ ।
তিনি নিজে এর সভাপতি হলেন এবং এইসব লােকের পক্ষ থেকে নিজে একপ্রস্ত সিদ্ধান্ত মুসাবিদা করে আসামের গভর্নরের কাছে পেশ করলেন। মূলত এই সিদ্ধান্তে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে লুশাইরা (মিযােরা) তাদের পছন্দমতাে যে কোনও ডমিনিয়নে, যেমন পাকিস্তানে বা বার্মায়, যােগ দেওয়ার সুযােগ পাবে নাকি তাদেরকে ইতিমধ্যে ভারত ইউনিয়নের অংশ বলে নির্ধারণ করা হয়ে গেছে । ঐ সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করে যেন তাদের প্রথাগত আইন ও ভূমিস্বত্ব ব্যবস্থা রক্ষিত এবং লুশাইরা ইচ্ছা করলে তারা যেন দশ বছর পরে যে কোনও সময় ভারত ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যেতে পারে। এ সিদ্ধান্তের তারিখ ছিল ১৪ আগস্ট ১৯৪৭। আসামের মহামহিম ব্রিটিশ গভর্নর এ সংক্রান্ত পত্রের কোনও জবাব দেননি। এতে বােঝা যায় যে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ এ পর্যায়ে এই স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতা বাড়ানাের বিপক্ষে ছিল। যা হােক, এলএল পিটার্স ও কতক মিশনারির মতাে লােকেরা তাদের দূরভিসন্ধিমূলক কার্যকলাপ চালিয়ে গেল, এমনকি বাড়িয়ে তুলল । ২২ অক্টোবর ১৯৬১-তে মিযােরামে মিযাে ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হল । এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট শ্ৰী লালডেংগা এবং ভাইসপ্রেসিডেন্ট শ্ৰী লালনুম্বাডিয়া ভ্রমণের যথাযথ কাগজপত্র ছাড়া এবং ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তানে যাওয়ার অভিযােগে ১৯৬৩ সনে গ্রেফতার হলেন। তাদেরকে অবশ্য দু’মাস পরে মুক্তি দেওয়া হল ভারতের আপশকামী নীতির কারণে। এমএনএফ -এর এক প্রতিনিধি দল তার প্রেসিডেন্ট শ্রী লালডেংগার নেতৃত্বে ১৯৬৫ সনের ৩০ অক্টোবর আসামের গৌহাটিতে তৎকালীন শ্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করল। তারা এক স্বাধীন মিযােরাম রাষ্ট্র গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এবং তাকে অর্থনৈতিকভাবে টিকে থাকার মতাে সক্ষম করতে বার্মার চীন পাহাড়সমূহ ছাড়াও সংলগ্ন মিযাে জনগণ অধ্যুষিত ভারতীয় এলাকা নতুন রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য জোর দাবি জানালেন। প্রধানমন্ত্রী ধৈর্যের সাথে তাঁদের কথা শুনে এই বলেছিলেন যে পরে তিনি এ ব্যাপারে তাদের সাথে যােগাযােগ করবেন। এই রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে অহিংস পন্থা অবলম্বনের আনুষ্ঠানিক ঘােষণা সত্ত্বেও শ্রী লালডেংগা এবং তার পাটি গেরিলাদলসমূহ গঠন করে এবং পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সাথে যােগসাজশে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারতীয় সীমান্তের ঠিক অপর পারে। তাদের অনেক ঘাঁটি গড়ে তুলে।
এই নিরাপদ ঘাঁটিগুলি থেকে এবং সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র এবং চীনা ইনস্ট্রাক্টরদের অধীনে প্রাপ্ত গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তানের সমর্থনে পুষ্ট হয়ে তারা ভারতীয় অঞ্চল মিযােরামে হাঙ্গামা চালিয়ে যেতে লাগল। এইসব সরল কিন্তু বিপথে চালিত উপজাতীয়রা তারা কী অবস্থার সম্মুখীন তার সঠিক বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছিল। তাদের পার্বত্য আবাসভূমি যে সড়ক ও রেলওয়ের মতাে যােগাযােগ ব্যবস্থা নেই, কৃষি জমি বা খনিজ সম্পদও নেই এবং বনজ সম্পদও সামান্যই আছে, এসব কিছু তাদের ভবিষ্যতের জন্য ভাল অর্থনৈতিক বা অন্যান্য সম্ভাবনা দেখায় এটা স্পষ্ট যে ভারতের মতাে এক উন্নয়নশীল দেশের অংশ হয়ে থাকা এবং ভারতের সাহায্যে তাদের বিরল সম্পদের যথাসম্ভব উন্নয়ন ঘটানােই তাদের স্বার্থের অনুকূল স্পর্শকাতর সীমান্ত এলাকার ভারতের পাহারাদার হিশাবে তারা ভারতের কাছ থেকে অনেক কিছু পাওয়ার আশা করতে পারে। ভারত এ অঞ্চলে একমাত্র দেশ যার মিযােরামকে আর্থিকভাবে সহায়তা দানের মতাে অবস্থা আছে মিযােদের অসন্তোষের কারণ বিবেচনা করলে দেখা যাবে ভারতের বিরুদ্ধে তাদের ক্রোধের মধ্যে বেশ অনেকটা প্রকৃত জিনিশ বিদ্যামান পাশ্চাত্য জীবনের ও সভ্যতার মিথ্যা মূল্যবােধ ছাড়া ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আর কিছু দেয়নি এছাড়া মিশনারিরা পরিশীলিত মিযাে খ্রিস্টান সমাজের সঙ্গে দেশের বাদবাকি অংশের বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করেছে ভারতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় চিন্তাধারা সম্বন্ধে হীনকারী নিন্দাবাদ করার মাধ্যমে ভারতীয়রাও এর চেয়ে ভাল কিছু করেনি করার মধ্যে তারা তাদেরকে জাদুঘরে প্রদর্শনের বস্তু হিশাবে বিবেচনা করেছে এবং কেবল তাদের লােকনৃত্যকে অন্যদের সামনে তুলে ধরেছে তাদের ক্ষুধা দূর করার উদ্দেশ্যে তাদের কৃষির উন্নয়ন ঘটানাের বা এমনকি ক্ষুদ্র মাপের শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্যও তেমন কোনও চেষ্টা করা হয়নি ক্ষুদ্র মাপের শিল্প কারখানার জন্য মিযােরা ভাল কারিগর হতে পারে গােটা রাজ্যটায় নাম করার মতাে কোনও যন্ত্রপাতি নেই রাজধানী আইযাওয়াল -এর সঙ্গে বাদবাকি ভারতের যােগাযােগের প্রধান মহাসড়কটি ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। সেখানে হাসপাতাল ও স্কুলের দারুণ অভাব এদের চমৎকার পুরুষ ও নারীদের মুখমণ্ডলে হতাশা বিরাটভাবে অঙ্কিত থাকে কিন্তু তবু তারা তাদের দুর্দশা হেসে উড়িয়ে দিতে পারে কিভাবে পারে তা কেবল ঈশ্বরই জানেন মােটের ওপর এই সরল উপজাতিগুলি কেবলমাত্র শান্তিতে জীবিকা অর্জন করতে চায়, তাছাড়া আর কিছু নয়।
তাদের চরিত্র এবং সমস্যাবলি বােঝে, এমন একটি ভাল প্রশাসন পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের অবস্থার বৈপ-বিক পরিবর্তন সাধন করতে পারত এবং এমন এক সমাজের ভিত্তি তৈরি করত যা ঐ সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়ার উপযুক্ত অনুগত ও শক্ত সমর্থ মানুষের সমাজে পরিণত হত। দরকার হচ্ছে এমন প্রশাসন যা মিশনারির উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করবে, এবং এই চমৎকার মানুষগুলির প্রথাসমূহ এবং তাদের নতুন খ্রিস্ট ধর্মকে শ্রদ্ধা করবে। নিরাপত্তা বাহিনীগুলির কাজ জনগণকে দমন করা নয়। তারা তাদের উদ্ধত ব্যবহার দ্বারা বড়জোর জনগণকে উত্ত্যক্ত করতে পারে। তাদেরকে ঠিক ঠিক বুঝিয়ে বলা চাই যে তারা প্রতিটি মিযােকে শত্রু বলে। বিবেচনা করবে না। মিযযাদের মধ্যে অসন্তোষ বেশ ভাল রকম ছড়িয়েছিল এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের নিরাপদ ঘাঁটিগুলি পাকিস্তান ও চীনের দ্বারা প্রয়ােজনীয় সামগ্রীতে এমন পরিপূর্ণ হয়ে থাকত যে এই বৈরী ভূমিতে যে কোনও ভারতীয় অনুপ্রবেশ তারা প্রতিরােধ করতে পারত। এই মিযােরা বাংলাদেশস্থ পাকিস্তান প্যারামিলিটারি ফোর্সেস -এর বেতনভুক ছিল । তারা চীনাদের দ্বারা গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ পেয়েছিল। পাকিস্তান তাদেরকে সজ্জিত ও পার্বত্য চট্টগ্রামজুড়ে মােতায়েন করেছিল। পাক কর্তৃপক্ষ প্রতিটি পােস্টে মিযাদের পাশাপাশি বেলুচি, পাঠান ও পাঞ্জাবিদের ছােট ছােট ইউনিট রাখত এটা নিশ্চিত করতে তারা যেন সর্বশেষ লােক এবং সর্বশেষ রাউন্ড পর্যন্ত পাকিস্তানের স্বার্থে লড়াই করে । আমরা পরবর্তী অধ্যায়গুলিতে তাদের সম্বন্ধে আরও আলােচনা করব এবং যােদ্ধা হিসাবে এবং অন্যান্য ব্যাপারে তাদের গুণাগুণ পাঠকের সামনে তুলে ধরব। প্রথমে আমরা আমাদের অপারেশন স্থান পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্বন্ধে একটা সমীক্ষা তুলে ধরি ।
সূত্র : ফ্যান্টমস অব চিটাগং-দি ফিফথ আর্মি ইন বাংলাদেশ – মেজর জেনারেল (অব.) এস এস উবান