You dont have javascript enabled! Please enable it!

১ কার্তিক ১৩৭৮ মঙ্গলবার ১৯ অক্টোবর ১৯৭১

-সকাল ১১ টার দিকে মতিঝিলস্থ ই পি আই ডিসি ভবনের সামনে টাইম বোমা বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত,  ১২ জন আহত ও ৯ টি গাড়ি বিধ্বস্ত।

-সীমান্ত এলাকায় মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তান বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড সংঘর্ষ।

-Saudi Arabia gives 75 planes to pindi. The town of Kasba in the Camilla sector has been liberated by the Mukti Bahini after a heavy fighting and Bahini has advanced up t te Kasba Market.

মস্কো থেকে দিল্লী ফিরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বললেন, ‘আমরা যুদ্ধের উস্কানি দিয়ে যুদ্ধের উন্মাদনা সৃষ্টি হয়ে পারে এমন পরিস্থিতি চাই না। কিন্ত এটা ও একতরফা বিষয় নয়। আমরা তো Clenched first সাথে করমর্দন করতে পারি না। উল্লেখ্য বিদেশী সাংবাদিকদের ইয়াহিয়া খানের ঈদ দিবসে আলোচনা বৈঠকে প্রস্তাবে প্রসংঙ্গে প্রশ্নোত্তরে শ্রীমতি গান্ধী উপরোলিখিত জবাব দেন। অন্য এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন। আমাদের ধৈর্যের প্রশংসা করছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে অন্যারা পাচ্ছেন অস্ত্র সরবরাহ।

-ঢাকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেট্যালে মুক্তিযোদ্ধা গেরিলারা বোমা ফাটিয়েছে। একটি গাড়ী বিনষ্ট হয়। কোন হতাহত হয় নি।

-রাও ফরমান আলী ঢাকায় বলেছেন, গেরিলা তৎপরতা অনেক বেড়েছে। ওদের সংখ্যা অন্তত ৫০ হাজার।

-বিশ্বের দুর্গত জনগণকে সাহায্যদানের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত ‘ওয়ান অন ওয়াল্ট’ ও ‘অক্সফার্স’ এই দুটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ‘দি টাইমস’ প্রকাশিত অর্দ্ধ পৃষ্ঠা ব্যাপী এক বিজ্ঞাপণে ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী শরণার্থী দুগর্তির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

-উল্লাপাড়া (পাবনা) থানার ধানঘড়া ক্যাম্প থেকে একদল পাকসেনা প্রতিদিন ২৫/৩০ জন করে লোক ধরে এনে বায়োনেট দিয়ে হত্যা করে।

-ঢাকার মতিঝিলের ই পি আই ডি সি ও হাবিব ব্যংক ভবনের সামনে এক বিস্ফোরনে ৪ টি গাড়ী বিধ্বস্ত ও দু’টি গাড়ীর ক্ষতি হয়। ডেমরার কাজলার পাড়ে এসোসিয়েটেড প্রিন্টার্স লিঃ প্যাকেজিং কারখানাটি বিস্ফোরনের সাহায্যে বিধ্বস্ত হয়।

-‘নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকায় প্রতিনিধি সাথে এক সাক্ষাৎকারে ইন্দিরা গান্ধী বলে যে, ভারত পাকিস্তাএ সীমান্তে এক মারাত্মক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তিনিন বলেন ভারত কখনো যুদ্ধের জন্য উস্কানী দেবে না কিন্তু সে তার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর। ভারত বাঙালী মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে, এই অভিযোগ শ্রীমতী গান্ধী খণ্ডন করেন।নিক্সন প্রশাসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমেরিকা পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করে চলছে। (বিডি-২ পৃঃ ২৪৮-৪৯)

  ভারতের প্রধান মন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লীতে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করেছে। ভারত যুদ্ধ এড়িয়ে যাওয়ার জন্যে সম্ভাব্য সব কিছুই করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মূল সমস্যা হলো ইসলামাবাদের সামরিক শাসকবর্গ ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যার পতিণতি ভোগ করেছে ভারত।

    রাওয়ালপিণ্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বলেন, আমরা ভারতের সাথে যুদ্ধ চাই না। তবে ভারত যদি বাঙালী গেরিলাদের পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ ঘটানোর কাজ অব্যাহত রাখে এবং আক্রমণ করে তাহলে আমরা তার প্রতিশোধ নেবো। অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপ আমরা আর সহ্য করতে রাজি নই। ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধী প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী ‘সৈন্য প্রত্যাহার’ না করার যুক্তি আরো জোরালো ভাষায় বলেন

Reference:

একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!