You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.18 | ৩১ আশ্বিন ১৩৭৮ সোমবার ১৮ অক্টোবর ১৯৭১ | একাত্তরের দশ মাস - রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী - সংগ্রামের নোটবুক

৩১ আশ্বিন ১৩৭৮ সোমবার ১৮ অক্টোবর ১৯৭১

-মার্কিন রাষ্ট্রদূত বীস মস্কোয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রোমিকোর কাছে পাক-ভারত সীমান্ত থেকে উভয় পক্ষের সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন সোভিয়েত যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের প্রস্তাব করেন। (দি ওহাইট হাউস ইয়ারাস পৃঃ ৮৭৭)

-পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক ট্রেনিং প্রাপ্ত রাজকার বাহিনীর শক্তিশালী কাউন্টার ইন্সারজেন্সী বাহিনী হিসেবে সাংগঠনিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠে আজ পর্যন্ত ট্রেনিং প্রাপ্ত এবং সশস্ত্র রাজাকারদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৫ হাজার।

-রাজস্বমন্ত্রী ও জামাত নেতা মওলানা এ কে এম ইউসুফ বলেন, সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের পেছনে আমাদের সাহসী জনগণ ঐক্যবদ্দধ থাকবেন। (দৈঃ পাঃ)

-সামরিক সরকারের বেসামরিক অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম বেতার ভাষণে বলেন, রাষ্ট্র বিরোধী শক্তিগুলোর অশুভ তৎপরতা প্রদেশ্ময় পরিব্যপ্ত হয়ে পড়েছিল। সেগুলাকে দমন করার জন্য সৈন্যবাহিনীকে কর্তব্য ভার গ্রহণ করতে হয়। (দৈঃ পাঃ ৭: ৬০১)

-ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লীতে এক অনুষ্ঠানে সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর হামলা সম্পর্কিত পাকিস্তানের অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী নয়, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা সীমান্ত এলাকায় তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েচে মুক্তিবাহিনী দেড় লাখ মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে এবং এদের প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ, ইপি আর ও সেনাবাহিনী সদস্য। তারা সবাই বাঙালী এবং ২৫ মার্চ রাতে এদের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রথম আক্রমণ করার পর এরা প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেয়। তারা মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্যে লড়াই করেছে।

-হাউস অব কমনস এ এক ভাষণে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আলেক ডগলাস হিউম বলেন যে, পূর্ব পাকিস্তানের একটা রাজনৈতিক সমাধানের দায়িত্ব পাকিস্তান সরকারের উপর সেক্রেটারী জেনারেল উথান্ট ও প্রিস্ন সদরুদ্দীণ আগা খানের আবেদনে সাড়া দিয়ে ব্রিটিশ সরকার শরনার্থীদের জন্য পাঠাচ্ছে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। (বিডি-১ পৃঃ১৬৬)

Reference:

একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী