You dont have javascript enabled! Please enable it! পবিত্র ধর্মের নামে রাজনীতি- বঙ্গবন্ধু ও ইসলামী মূল্যবোধ - সংগ্রামের নোটবুক

পবিত্র ধর্মের নামে রাজনীতি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অগ্নিপুরুষ ইন্দোনেশিয়ার স্থপতি প্রয়াত ডঃ সুকর্ন ষাটের দশকে বলেছিলেন, “আমাদের দেশে রাজনীতিকদের বামপন্থী বা কম্যুনিস্ট হিসেবে পরিচয় দেয়া একটা ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। মনে মনে যে আদর্শ বা মতবাদই বিশ্বাস করুক না কেন কথাবার্তা ও বক্তৃতা-বিবৃতিতে তারা নিজেদেরকে কম্যুনিস্ট হিসেবে জাহির করে থাকে। ইন্দোনেশিয়ায় এটা একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে”।  বর্তমানে বাংলাদেশেও এ ধরনের একটা ফ্যাশন দেখা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশের ফ্যাশনটা ভিন্ন ধরনের। এখানকার ফ্যাশন হচ্ছে নিজেকে ভারত বিদ্বেষী ও ইসলাম। পছন্দ হিসেবে জাহির করা। ব্যক্তিগত জীবনে যাই করুক না কেন কোন মিটিংসমাবেশে বক্তৃতা দিলে, কোন সংবাদপত্র-সাময়িকীতে কিছু লিখলে কিংবা বিবৃতি দিলে, এই ফ্যাশন জাহির করা চাই। অথবা যারা কারণে অকারণে ভারতের বিরুদ্ধে তারস্বরে চিল্কার করে, ভারতকে আগ্রাসী ও আধিপত্যবাদী বলে গালিগালাজ করে খোঁজ নিলে দেখা যায়, তাদের ছেলেমেয়েরাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভারতের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলােতে লেখাপড়া করছে। ঘরে বসে বিবি-বাচ্চা নিয়ে ভিসিআরে ভারতীয় ছবি দেখে, ভারতীয় শিল্পীদের গান শােনে তাতে কোন দোষ নেই, তাহজিব-তমদুনও নষ্ট হয় না। কিন্তু রেডিও-টিভি ও কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ভারতীয় কোন শিল্পীর কণ্ঠস্বর শুনলে, চেহারা দেখলেই ‘অপসংস্কৃতির আমদানি’ বলে চিৎকার শুরু করে। এ শ্রেণীর সংবাদপত্র-সাময়িকীর এমন কোন সংখ্যা নেই যাতে ভারতের বিরুদ্ধে বিষােদগার করা হয় না অথচ এসব সংবাদপত্রের ছাপার মেশিন থেকে শুরু করে প্লেটটা পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করা হয়। ভারত বিদ্বেষের আর এক হাতিয়ার হচ্ছে, ভারতের সাথে বাংলাদেশের ২৫ বছরের চুক্তি। আমরা যতটুকু জানি, এই চুক্তিতে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কিংবা স্বার্থের পরিপন্থী কোন কিছু নেই এমনকি, বাংলাদেশের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও জাতীয় সংসদে এই চুক্তি সম্পর্কে আলােচনা প্রসঙ্গে বলেছেন, তাতে জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী কোন কিছু নেই’।

কিন্তু এক শ্রেণীর রাজনীতিক উঠতে বসতে এই চুক্তির সমালােচনা করে থাকেন। তাদের সংবাদপত্র ও সাময়িকীগুলাের ভারত-বিদ্বেষ ছড়ানাের একটা প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে এই চুক্তি। বস্তুত যাদের আমলে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, তারা বিগত ২০ বছর থেকে ক্ষমতায় নেই। এই দীর্ঘ সময় থেকে যারা ক্ষমতায় ছিলেন বা আছেন, এই চুক্তি জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী হয়ে থাকলে তারা এটি বাতিল করছেন না কেন। নিজেদের ক্ষমতা দখল বৈধ ও স্থায়ী করার জন্য জনগণ নির্বাচিত প্রতিনিধি কর্তৃক প্রণীত সংবিধানের কতাে কিছুই না তারা কাটছাট করেছেন। এমনকি রাষ্ট্রীয় চার  মূলনীতিরও তারা সংযােজন-বিয়ােজন করেছেন। তাদের ভাষায়, “এতাে বড় ক্ষতিকর চুক্তিটি তারা কেন বাতিল করলেন না বা করছেন না। এতেই প্রমাণিত হয়, এটা একটা নিছক স্লোগান ছাড়া কিছু নয়। এই মহলটির ইসলাম পছন্দ থাকার ব্যাপারটিও ভারত বিদ্বেষের মতই। ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামের অনুসারী হােক বা না হােক, বক্তৃতাবিবৃতিতে তারা পবিত্র ইসলামের জন্য জীবনবাজি রাখার ঘােষণা দিতেও দ্বিধা করে না। এই মহলের এক নেতাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি। তিনি আগে ছিলেন চরম বামপন্থী  বর্তমানে ইসলাম পছন্দ সেজেছেন। বক্তৃতা-বিবৃতিতে তার মুখে ইসলাম কায়েমের খই ফোটে। কিন্তু তার বাসায় পেপসি-কোকা কোলার মত নিয়মিত মদ্যপান চলে। অন্যসব ব্যাপার-স্যাপার না বলাই ভাল। আসলে সাধারণ মানুষের বিবেক কেনার এই দুই হাতিয়ার উত্তরাধিকার সূত্রে বাংলাদেশে রয়ে গেছে। পাকিস্তান আমলে অস্ত্র দুটো অহরহ ব্যবহার করা হত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এই দুটি হাতিয়ার ব্যবহৃত হয়েছে। পাকিস্তানে এগুলাে ব্যবহারের প্রেক্ষাপট রয়েছে। এ দুই হাতিয়ার প্রয়ােগের মাধ্যমেই পাকিস্তানের জন্ম। সুতরাং পাকিস্তানের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই সে দেশের জনগণের মধ্যে ভারত বিদ্বেষ ও ইসলাম পছন্দের স্লোগান চাঙ্গা রাখতে হবে। পাকিস্তানী নেতারাও তাই। রাখছেন। মুসলিম লীগ কিংবা পিপিপি যে-ই ক্ষমতায় আসকু, তাদের কারাে মধ্যে এ ব্যাপারে ব্যতিক্রম কিছু দেখা যায় না। বস্তুত দ্বিজাতিতত্ত্ব বা ধর্মভিত্তিক জাতিসত্তা অস্বীকার করলে পাকিস্তান সৃষ্টির যৌক্তিকতাই থাকে না। এ জন্যই তারা ‘ভারত বিদ্বেষ ও ইসলামী জজবার’ স্লোগান চাঙ্গা রাখে। পাকিস্তান এই দুটো স্লোগান চাঙ্গা রাখার জন্য কিছু ইস্যুও সৃষ্টি করে রেখেছে। এ ধরনের রাজনীতির জন্য পাকিস্তানকে অতীতে চরম মূল দিতে হয়েছে।

ভবিষ্যতেও হয়তাে তাকে আরাে খেসারত দিতে হবে।  বর্তমানে তাে পাকিস্তান তার পুরনাে মুরব্বী ও বন্ধু-বান্ধব থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন বলা চলে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মৌলবাদবিরােধী যে মেরুকরণ চলছে, তার সাথে পাকিস্তান নিজেকে খুব একটা মানিয়ে নিতে পারছে না। ইসলামী জজবার স্লোগান তুলে মধ্যপ্রাচ্যের পেট্রো-ডলার সমৃদ্ধ দেশগুলাের সাথে পাকিস্তানের যে দহরম-মহরম ছিল, এখন তা ঝিমিয়ে পড়েছে। এসব দেশেও মৌলবাদবিরােধী মেরুকরণ চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাে এই মেরুকরণ প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বই দিচ্ছে। নিজের নামের আগে ইসলাম শব্দ ব্যবহার করা সত্ত্বে বর্তমানে পাকিস্তানকে একটা কম্যুনিস্ট রাষ্টের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এই নির্ভরতার আদৌ কোন ভিত্তি আছে কিনা বলা মুশকিল। শােনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো নাকি কাশ্মীরী ইস্যুতে চীনের সমর্থন আদায় করতে গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। অবশ্য বেনজীর ভুট্টো ক্ষমতায় এসেই তার ব্যক্তি ইমেজ খাটিয়ে পাকিস্তানের পুরনাে বন্ধুদের সাথে থিতিয়ে যাওয়া সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছেন। কামিয়াব কতটুকু হবেন বলা মুশকিল। স্নায়ুযুদ্ধের দিনগুলােতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে অপর পরাশক্তি সােভিয়েট রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতাে। ক্রুশ্চেভের আমলে পাকিস্তানের পেশওয়ার বিমান ঘাঁটি থেকে সােভিয়েট রাশিয়ায় গােয়েন্দা বিমান পাঠানাে এবং তা ভূপাতিত করার ঘটনা অনেকেরই স্মরণ থাকার কথা। সে আমলে পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে এই সুযােগের সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করতাে। অবশ্য তখনাে ভারত দুই পরাশক্তির মধ্যে, বিশেষ করে এশিয়ায় ব্যালান্স অফ পাওয়ার ছিলাে। উভয় পরাশক্তি ভারতকে নিজ দলে রাখার জন্য তােয়াজ করতাে।

এক্ষেত্রে ১৯৬৪ সালের একটি ঘটনা উল্লেখ করা অপ্রাসঙ্গিক হবে না। করাচীর বহুল প্রচারিত উর্দু দৈনিক জংয়ে পীর আলী রাশদী এই ঘটনাটি লিখেন। রাশদী ছিলেন সিন্ধুর শীর্ষস্থানীয় তিনটি পরিবারের মধ্যে এক পরিবরের। তিনি পাকিস্তানের একজন বিশিষ্ট কূটনীতিক ছিলেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চীনসহ প্রায় সব ক’টি দেশে তিনি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। অবসর জীবনে দৈনিক ‘জংয়ে’ ‘মাশরিক বাঈদ’ বা দূরপ্রাচ্য শীর্ষক একটি কলাম লিখতেন। একদিন উক্ত কলামে তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতির মূল্যায়ন প্রসঙ্গে লিখেছেন, “আমি তখন ফিলিপাইনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাকনামারা ফিলিপাইন সফরে আসছে। ম্যানিলা বিমানবন্দরে আমরা বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত হয়েছি। আমার পরই ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দাঁড়িয়েছেন। ম্যাকনামারা রাষ্ট্রদূতদের সাথে কুশল বিনিময় করছিলেন। আমার সাথে যেনতেনভাবে হাত মিলিয়েই তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দিকে এগিয়ে গেলেন এবং তার সাথে উষ্ণ করমর্দন করে বললেন কি খবর। আমরা তাে ভারতকে এশিয়ার নেতৃত্বে দেখতে চাচ্ছি। এ সময় আমি নিথর হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। আমার অস্বস্তিকর অবস্থাটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।” এই ঘটনা থেকে স্নায়ুযুদ্ধের দিনগুলােতেও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারতের মর্যাদা কিরূপ ছিল অনুমান করা যায়। অথচ এই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর ভরসা করেই পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে লম্ফঝম্ফ মারতাে। বারবার চরম মূল্য দিয়েও পাকিস্তানের বােধােদয় হয়নি। পাকিস্তানের এই ভারত বিদ্বেষী ভূমিকা অনেকটা হাতির সাথে পাল্লা দিয়ে ছাগলের বাশ পাতা খাওয়ার মত। আমাদের গ্রামাঞ্চলে এই গল্পটি প্রায় প্রবীণদের দৃষ্টান্ত হিসেবে বলতে শােনা যায়। এক হাতি নাকি শুর দিয়ে বাঁশ ঝাড়ের বাশ নামিয়ে পা দিয়ে চেপে ধরে পাতা খাচ্ছিল। পাশ দিয়ে একটি ছাগল যাচ্ছিল। হাতির পাতা খাওয়া দেখে ভাবলাে, আমিও তাে হাতির মতাে চতুষ্পদ প্রাণী। হাতি এভাবে বাঁশ পাতা খেতে পারলে আমি পারবাে না কেন।

ছাগলও পাল্লা দিয়ে হাতির পাশে দিয়ে বাশ পাতা খাওয়া শুরু করলাে। ছাগলের এই পাল্লা দেয়া দেখে হাতি খাওয়া বন্ধ করে বাঁশটি ছেড়ে দিল। দেখা গেল ছাগলটি বাশের সাথে ঝুলছে। এরপর ছাগলের অবস্থা কি হয়েছিল সচ্ছন্দে অনুমান করা যায়। সে যাই হােক, বলছিলাম বাংলাদেশের একটি মহলের পাকিস্তান থেকে। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ভারত বিদ্বেষ ও ধর্মীয় জজবার কথা। ভারত বিদ্বেষ ও দ্বিজাতিতত্ত্ব বা ধর্মভিত্তিক জাতিসত্তার স্লোগান পাকিস্তান কায়েমের ভিত্তি হলেও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পটভূমি সম্পূর্ণ আলাদা। এই দু’টি স্লোগানের অস্বীকৃতি, বিরােধিতা, বিদ্রোহ ও অস্ত্রধারণই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পটভূমি। পাকিস্তানে দ্বিজাতিতত্ত্বের বিরােধিতা করা যেমন রাষ্ট্রদ্রোহিতা তেমনি বাংলাদেশে এই দেশ প্রতিষ্ঠার পটভূমি, অন্যভাবে বলা যায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবােধের বিরােধিতা করাও রাষ্ট্রদ্রোহিতা। অবশ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানে ধর্মদ্রোহিতা নয়। দেশের সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লােকেরা তাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে স্বাধীনভাবে ধর্ম-কর্ম পালন করবে। রাষ্ট্র কিংবা এক ধর্মের অনুসারীরা অন্য ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। অপরদিকে ধর্মও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। ধর্ম ও রাষ্ট্র নিজ নিজ পরিমণ্ডলে স্বাধীন থাকবে। আর রাষ্ট্রীয় জীবনে ধর্মমত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিক অভিন্ন জাতিসত্তার অধিকারী হবে। এই চিন্তা চেতনাই ১৯৭১ সালে গােটা বাঙালি জাতিকে হানাদার পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করেছিল। 

কিন্তু স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের শেষার্ধ থেকে পরাজিত শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। সাধারণ মানুষের বিবেক কেনার জন্য আবার শুরু হয় পাকিস্তানী স্টাইলে ‘ভারত বিদ্বেষ’ ও ধর্মীয় জজবার’ স্লোগান। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেন, অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির কথা বলেন, তাদের ভারতের দালাল, ইসলামের দুশমন বলে গালিগালাজ শুরু হলাে। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের চেতনারও অপব্যাখ্যা দেয়া আরম্ভ হলাে। বিগত দেড় যুগ ধরে ক্ষমতাসীনরাও এই অপশক্তির মদদ যুগিয়ে চলেছেন। ‘বিদ্বেষ আর জজবার হাতিয়ার প্রয়ােগ করে বিগত ক’টি সাধারণ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরােধী শক্তি ও ক্ষমতাসীনেরা বেশ ভালই সুবিধা করে চলছিলেন। কিন্তু একবার দু’বার বার বার একই হাতিয়ার কাজ করে না। বিগত চারটি করপােরেশন নির্বাচনে তাই প্রমাণিত হলাে। সব কটি সিটিতে জজবার ধ্বজাধারীদের ভরাডুবি হয়েছে। এসব সিটি করপােরেশনের সচেতন ভােটারদের নিকট এসৰ ধ্বজাধারীদের মুখােশ খুলে গেছে। আগামীতে সারাদেশে এই নির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব পড়বে। তাতে করে এদেশে ‘বিদ্বেষ আর জজবার রাজনীতির অবসান হবে। এজন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকেও আরাে সক্রিয় হতে হবে। এই শুভ সূচনা দেশের গ্রাম-গ্রামান্তরে পৌছে দিতে হলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলােকে দলীয় সংকীর্ণতা, নেতৃত্বের কোন্দল ও সাময়িক মােহ ত্যাগ করে আরাে ঘনিষ্ঠ হতে হবে। মুক্তিযােদ্ধের দিনগুলাের মত একযােগে কাজ করতে হবে।

আজকের কাগজ ও ৬ = ২ = ৯৪

সূত্র : বঙ্গবন্ধু ও ইসলামী মূল্যবোধ – মওলানা আবদুল আউয়াল