You dont have javascript enabled! Please enable it!

ফতােয়ার নামে ধর্মবিরােধী তৎপরতা

ফতােয়া আরবী শব্দ। কোন বিষয় সম্পর্কে রায় বা সিদ্ধান্ত প্রদানকে আরবী ভাষায় ফতােয়া বলা হয়। ইসলামী অনুশাসনের পরিভাষায় কোন বিষয়ে কোরআনহাদীসভিত্তিক সিদ্ধান্ত প্রদান করাকে ফতােয়া বলা হয়। যিনি বা যারা এই ফতােয়া প্রদান করেন তাদের বলা হয় মুফতি। পবিত্র কোরআন ও হাদীস থেকে কোন বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত বের করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত সবগুলাে ভাষ্য গভীর বিচারবিশ্লেষণ করতে হয়। এছাড়া সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছা সম্ভব হয় না। কাজটি খুবই কঠিন। ফতােয়ার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলাে ইসলামী শাস্ত্র অনুসারে বিভিন্ন জীবন-জীবিকা সম্পৃক্ত  প্রশ্নের সমাধান নির্দেশ করা। অর্থাৎ এমনি সমাধান যিনি বা যারা নির্দেশ করবেন, তাকে বা তাদেরকে ধর্মশাস্ত্র সম্পর্কে পুরােদস্তুর অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞ হতে হবে। | প্রকারান্তরে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধর্মীয় অনুশাসনের বিস্তারিত ব্যাখ্যা জনসমক্ষে উপস্থাপিত হয়। সুতরাং এমনি ব্যাখ্যা শুধু আক্ষরিক অনুবাদ বা তার অর্থসর্বস্ব নয়; এতে থাকছে সমাজসম্পৃক্ত গভীর ও ব্যাপক বক্তব্য। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে এমনি ফতােয়া বা ব্যাখ্যা যারা দিতে পারেন তাদেরকে বলা হয় মুফতি। মুফতি ছাড়া আর কেউ ফতােয়া দিতে পারেন না। ফতােয়া দেয়ার সময় মুফতি শুধু কোরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যাই করেন না, তিনি সমাজ বাস্তবতার নিরিখেও অভিমত প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গে হযরত ওমর (রাঃ)-এর শাসনকালের একটি ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে। এক ব্যক্তি একটি বাগান থেকে খেজুর চুরির অপরাধে অভিযুক্ত হয়। কোরআনের বিধান অনুসারে তার হাত কেটে দেয়ার শাস্তি হলাে। কিন্তু বিষয়টি হযরত ওমর (রাঃ)-এর গােচরীভূত হলে তিনি বিচারককে ডেকে পাঠান এবং তাকে প্রশ্ন করেন কোন পরিস্থিতিতে এবং কেন অভিযুক্ত লােকটি চুরি করেছে তা যাচাই করা হয়েছে কিনা। বলা বাহুল্য, উত্তর ছিল না-বােধক। তখন এই বিচার যে সঠিক হয়নি সে সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট মত প্রকাশ করেন। অভিযুক্ত লােকটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় যে, সে ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির হয়ে খেজুর চুরি করতে বাধ্য হয়েছে। তখন হযরত ওমর (রাঃ) বিচারককে আহ্বান জানিয়েছিলেন তার নিজের হাত কেটে নিতে। কারণ তিন খলিফা হিসেবে সব মানুষের অন্নসংস্থান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ঘটনা থেকে এটা পরিষ্কার যে কোরআন বা হাদিসের আক্ষরিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে দেয়া ফতােয়া ইসলাম ধর্মে অনুমােদনযােগ্য নয়। 

কোন কোন ইসলামী শাস্ত্রবিদ এ কথাও বলেন যে, ফতােয়া দেয়া যেতে পারে সেই মুসলিম রাষ্ট্রে যেখানে ইসলামী আইন প্রচলিত আছে। তা না হলে প্রচলিত ভিন্ন ধরনের আইনের পাশাপাশি ইসলামী আইন প্রয়ােগের উদ্যোগ নিলে সমাজে বিশৃংখলা  অনিবার্য। তারা এটাও মনে করেন যে, ফতােয়া দিতে পারেন সেই মুফতি যিনি ইসলামী রাষ্ট্রে সরকার কর্তৃক অনুমােদিত। যে কেউ ফতােয়া দিতে পারে না।  মধ্যযুগে মুসলিম শাসনামলে এই দায়িত্ব বিচার বিভাগের উপর ন্যস্ত ছিল। পবিত্র কোরআন-হাদিসের উপর গভীর জ্ঞানের অধিকারী পণ্ডিতদের বিচার বিভাগে নিয়ােগ করা হতাে। এ ছাড়া যুগশ্রেষ্ঠ ইমাম ও ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তাদের গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন সেগুলাের বিরাট বিরাট সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। এসব সংকলনের মধ্যে রয়েছে ফাতাওয়া কাজিখান, ফাতাওয়া শামী, ফাতাওয়া বাযযাযিয়া প্রভৃতি। কোন কোন সময় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগেও যুগশ্রেষ্ঠ ইসলামিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ইসলামী অনুশাসন বিষয়ক ফতােয়া সংকলন প্রকাশ করা হয়েছে। যেমন মােগল বাদশাহ আওরঙ্গজেবের আমলে ফাতাওয়া আলমগিরী প্রণয়ন করা হয়।  মুসলিম সাম্রাজ্যগুলাে পতনের পর শাসন ক্ষমতা চলে যায় পশ্চিমা ঔপনিবেশিক শক্তিগুলাের হাতে। এ সময় মিসরের আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ ভারতে দারুল উলুম দেওবন্দের মতাে ইসলামী বিদ্যাপীঠ গুলাের কাছে সাধারণ মুসলমানরা চলমান জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান জানতে চেয়েছে। পরবর্তীকালে এসব সমাধান কিংবা সিদ্ধান্তগুলােও সংকলন হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। আল ফাতাওয়া আল মিসরিয়া, ইমদাদুল ফাতাওয়া, ফাতাওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ প্রভৃতি এক্ষেত্রে উল্লেখ করা যায়।

ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর বর্তমানে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রে সরকার কর্তৃক গঠিত কিংবা স্বীকৃত ফতােয়া কমিটি বা বাের্ড রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী অনুশাসন বিশেষজ্ঞরা রয়েছে। যেমন আলআযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার স্বীকৃত ফতােয়া কমিটি রয়েছে। তুরস্কে রয়েছে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ। পাকিস্তানেও অনুরূপ একটি পরিষদ রয়েছে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জর্দান, মরক্কো, সুদান, সৌদি আরব, আরব আমিরাত প্রভৃতি মুসলিম দেশের সরকার নিয়ােজিত শরিয়া বাের্ড ও গ্রান্ড মুফতি রয়েছে। এসব দেশে প্রয়ােজন হলে সরকার ধর্মীয় উপদেষ্টা পরিষদ, শরিয়া বাের্ড কিংবা গ্রান্ড মুফতিদের কাছে কোন বিষয় সম্পর্কে কোরআন-হাদিসভিত্তিক সমাধান চেয়ে পাঠান। সংশ্লিষ্ট ফতােয়া বা সিদ্ধান্তটি সরকারি উদ্যোগে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কোন উপদেষ্টা পরিষদ কিংবা কোন গ্র্যান্ড মুফতি নিজেদের উদ্যোগে তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন না। দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করা যায়, তুরস্ক সরকার পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি সম্পর্কে সেখানকার ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত চেয়ে পাঠান। তারা বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত সুপারিশমালা তৈরি করে সরকারের কাছে পেশ করেন। উক্ত সুপারিশমালার শেষাংশে। বলা হয়েছে, আমরা এই অভিমতের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলতে চাই, যদি দেশে অস্থিরতা ও প্রতিকূল পরিবেশ বিরাজ করে, তাহলে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করা জায়েয হবে।” অন্য মুসলিম দেশগুলােতেও এ ধরনের বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। কিন্তু কোন দেশেই ফতােয়াকে রাজনৈতিক হাতিয়ার কিংবা প্রচলিত রাষ্ট্রীয় আইনকানুন ও দণ্ডবিধির বাইরে শাস্তি হিসেবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পাকিস্তান আমলে পঞ্চাশের দশকের শুরু থেকে ফতােয়াকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। আহমদিয়াদের অমুসলিম ঘােষণার মধ্য দিয়ে এর সূচনা হয়। জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওলানা মওদুদী ছিলেন এর অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা। ১৯৫১ সালে আহমদিয়াবিরােধী ফতােয়াবাজির পরবর্তীকালে লাহােরের রাজপথ মানুষের রক্তে লালে লাল হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন পর্যন্ত আহমদিয়াবিরােধী ফতােয়া চাপা পড়ে থাকে।

এই ফতােয়াবাজির হাতিয়ার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেও প্রয়ােগ করা হয়। সে সময় হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সহযােগী একশ্রেণীর আলেম ফতােয়া দিয়েছিলেন, “পাকিস্তানের এই অংশ একটা রণক্ষেত্র। একদিকে রয়েছে ইসলাম ও পাকিস্তানের দুশমন হিন্দুবাহিনী (মুক্তিযােদ্ধা)। অপরদিকে আছেন ইসলাম ও পাকিস্তান রক্ষার সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকৃত মুসলিম পাকবাহিনীর জন্য গনিমতের মাল হিসেবে ঘৃণ্য  এই ফতােয়াবাজির খেলা বর্তমান বাংলাদেশে আরাে নগ্নরূপ ধারণ করছে। কখনাে এই তৎপরতার মাধ্যমে সামাজিক অস্থিরতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। প্রফেসর আহমদ শরীফ ও কবীর চৌধুরী নামে প্রচারিত দুটো বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কিছুদিন রাজধানীর রাজপথ-জনপথ গরম করে তােলা হয়। তাদেরকে মুরতাদ ঘােষণা করে ফতােয়া দেয়া হয়। তাদের ফাসি দাবি করা হয়। অথচ এই দুই ব্যক্তি বিভিন্ন সংবাদপত্রে বিবৃতির মাধ্যমে পরিষ্কার ঘােষণা করেন, আমরা পবিত্র ধর্ম সম্পর্কে কোন প্রকার আপত্তিকর মন্তব্য করি নি। একটি দৈনিক উদ্দেশ্য মূলকভাবে আমাদের নামে ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রচার করেছে। সে সব অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন বুদ্ধিজীবীও সংবাদপত্রে বিবৃতি প্রদান করেন যে, তারা এ ধরনের কথা বলেননি। কে কার কথা শােনে। সেই সময় আমার পরিচিত ফতােয়াবাজ এক মওলানাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, মুরতাদ (ধর্মত্যাগকারী) ও ফাসি ঘােষণার আগে আপনার কি প্রফেসর আহমদ শরীফ ও কবীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে কিংবা অন্তত টেলিফোনে যােগাযােগ করে তাদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছিলেন? সংবাদপত্রে তাদের বিবৃতি দেখেছিলেন? তিনি। বললেন, না। এরপর আমি পবিত্র কোরআনের সূরা নিসার ১৪০ নম্বর আয়াতটি উল্লেখ করে তাকে বললাম, যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, প্রফেসর আহমদ শরীফ ও কবীর চৌধুরী ধর্ম সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এই আয়াতে আল্লাহতায়ালা এ ধরনের লােকদের সঙ্গে মেলামেলা করতে বারণ করেছেন। আপনারা তাদের ফাঁসি দেওয়ার। ফতােয়া দিলেন কিসের ভিত্তিতে। মওলানা সাহেব সেদিন আমার এ কথার কোন সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তসলিমা নাসরিনের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযােজ্য।

তসলিমা যে সব কথা লিখেছেন। সেগুলাের যুক্তগ্রাহ্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দিয়ে তাকে বােঝানাের উদ্যোগ নেয়া উচিত ছিল কিন্তু তা না করে তার মৃত্যুদণ্ড ঘােষণা করা হলাে। তার মাথার জন্য ৫০ হাজার, ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘােষণা করা হলাে। কিসের ভিত্তিতে এই শাস্তি আর পুরস্কার ঘােষণা করা হলাে, তা মওলানা সাহেবরাই জানেন। দেশের প্রচলিত আইনের দৃষ্টিতে বরং এ ধরনের ঘােষণা দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। আর পবিত্র কোরআনের ভাষা অনুযায়ী আল্লাহতায়ালা কাউকে এ ধরনের শাস্তি ঘােষণার অধিকার প্রদান করেননি। সূরা আনআমের ৬৮-৬৯ আয়াতের ভাষ্য অনুযায়ী, যারা বাজে কথা বলে তারা সংশােধন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সঙ্গে মেলামেশা করতে বারণ করা হয়েছে। কিন্তু মওলানা সাহেবরা।  পবিত্র কোরআনের এই শিক্ষার প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন না।  জাতীয় পর্যায়ে এই ফতােয়াবাজির মারাত্মক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে আঞ্চলিক ও গ্রাম পর্যায়ে। গ্রামেগঞ্জে একশ্রেণীর লােক ফতােয়ার আবরণে প্রতিহিংসা চরিতার্থ। করছে। সাতক্ষীরার ফিরােজা, মৌলভীবাজারের নূরজাহান, ফরিদপুরের আরেক নূরজাহানকে ফতােয়াবাজির শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে। গ্রামের টাউটরা আলেম নামধারী একশ্রেণীর মূর্খদের দ্বারা পবিত্র ইসলামের নামে এসব অমানবিক কাণ্ডকারখানা করাচ্ছে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে ফতােয়াবাজির নামে এক নৈরাজ্যকর। পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। আর এই অবস্থা শুধু আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না, দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির পথে দুর্ভেদ্য প্রতিবন্ধক হয়ে দাড়াবে। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি না হওয়ার পেছনেও উক্ত বিশেষ মহলটির ফতােয়াবাজি কার্যকর রয়েছে। ফতােয়া সম্পর্কে উপস্থাপিত এমনি তথ্যের ভিত্তিতে আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি  বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ফতােয়াবাজির মাধ্যমে যে অমানবিক নারীনির্যাতন চলছে, তা ইসলাম সম্মত নয়। ফতােয়াবাজ আসলে ইসলাম সম্পর্কে অনভিজ্ঞ এক ধরনের কূট মতলববাজ। এরা এই মতলববাজির উদ্দেশ্যে ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যার আশ্রয় গ্রহণ। করছে। এই মতলববাজি সম্ভব হচ্ছে আমাদের সমাজে সিংহভাগ মানুষ নিরক্ষর অশিক্ষিত এবং ইসলাম সম্পর্কে অনভিজ্ঞ থাকার কারণে।  এখন থেকে, এই মুহূর্ত থেকে আইন করা উচিত, অন্যান্য মুসলিম দেশের মতাে সরকার অনুমােদিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ছাড়া কেউ ফতােয়াবাজি করতে পারবে না। করলে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। বস্তুত কারাে বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযােগকারীর কঠোর শাস্তির বিধান ইসলামে রয়েছে। সুতরাং ফতােয়াবাজদের | বিরুদ্ধে একটা গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। তাতে করে তাদের নর্তন-কুর্দনের মূলােৎপাটন করতে হবে।

ভােরের কাগজ ঃ ১-১-৯৪

সূত্র : বঙ্গবন্ধু ও ইসলামী মূল্যবোধ – মওলানা আবদুল আউয়াল

 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!