ছাত্রলীগের দুর্দিনের কথা (৮৭-৮৯)
এরশাদ বিরোধী বা রাজনৈতিক কোন কর্মসূচীতে ছাত্রলীগের মিছিলে কর্মী সংখ্যা খুব নগণ্য ছিল। তখন বলা হইত হল গুলি ছাত্রদলের দখলে তাই নিরাপত্তার কারনে তেমন কেউ প্রকাশ্য ছাত্রলীগ করত না। ছাত্রলীগ সম্পূর্ণ মহানগর ছাত্রলীগের উপর নির্ভর করতে হইত। ঢাকা, তেজগাও, নিউ মডেল, জগন্নাথ কলেজের ছাত্ররা আসিয়া দলকে চাঙ্গা রাখত। মেয়েদের হলেও ছাত্রলীগের খুব করুন দশা ছিল। সক্রিয় ছাত্রলীগ কর্মীর উপস্থিতি ছিলনা বললেই চলে। ৮৯ এর ডাকসু নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনাকেই ২ বার মেয়েদের হলে আসতে হইল। দুই হলে দুটি নবীন বরণ করে ছাত্রলীগকে কোন মতে দাড়া করানো হইল। সংগঠনটি ছাত্র ইউনিয়ন থেকে শক্তিশালী তা প্রমান করতে খুব কষ্ট হইল। শামসুন্নাহার হলে নেত্রী বলতে শুধু মরহুম আইরিন পারভিন বাধন (পরে বিসিএস প্রশাসন)। এ সময়ে শিরিনা নাহার লিপি আসার পর ছাত্রলীগের একটু অস্তিত্ব দেখা যাইতেছিল। ৮৯-৯০ সালে বাহাদুর ব্যাপারী যাকে আমরা মেয়েদের হলের ভিপি বলতাম সে মেয়েদের মধ্যে ছাত্রলীগের ভালই সম্প্রসারন ঘটাতে সক্ষম হন। সে সময়ে বাহাদুরের কোন পোস্ট ছিল না।