You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.09.29 | ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ | আজকের এদিনে (with references) - সংগ্রামের নোটবুক

1971.09.29 | ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ | আজকের এদিনে (with references)

২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ আজকের এদিনে

২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৪র্থ বেঙ্গলের ‘বি’ কোম্পানী ব্রাহ্মনবারিয়ার কসবার নয়নপুর পাকসেনাদের অবস্থানের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে গোলান্দাজ বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করে। যুদ্ধে ১০ পাকসেনা নিহত ১৫ জন আহত ৬ জন বন্দী হয়। মুক্তিবাহিনীর ১ জন নিহত ১১ জন আহত হয়।
৩নং সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাপ্টেন ভুঁইয়ার নেতৃত্বে লে. হেলাল মুর্শেদের কোম্পানি ক্যাপ্টেন নাসিমের কোম্পানির সাহায্য নিয়ে ধর্মঘর নামক স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। ধর্মঘর ছিল সাবেক ইস্ট পাকিস্তান রাইফেল বাহিনীর বিওপি অর্থাৎ বর্ডার অবজারভেশণ পোস্টস। এতে পাকবাহিনীর( ইপিআর + রাজাকার) একজন জুনিয়র কমিশণ্ড অফিসারসহ ৬-৭ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর পক্ষে কোন হতাহত হয়নি। এ আক্রমনে ভারতের রাজপুত ব্যাটেলিয়নের একটি অংশ অংশগ্রহণ করে। এ যুদ্ধের ভারতীয় অধিনায়ক ডিসেম্বরের দিকে আশুগঞ্জে নিহত হন।
২ নং সেক্টরের ফেনীর মুন্সীরহাট থেকে পাকবাহিনীর রসদবাহী ট্রলি বিলোনিয়া যাওয়ার পথে মুক্তিবাহিনীর আক্রমনে তা ধ্বংস হয়।
১১ নং সেক্টরের চিলমারীতে মুক্তিবাহিনী বেলুচ রেজিমেন্ট ও মিশ্র বাহিনীর দুটি ক্যাম্পে হামলা করলে বহু পাক সৈন্য হতাহত হয়। মুক্তি বাহিনীর ৪ জন নিহত হয়। [*]

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এএম মালিক আব্বাস আলী এবং মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষকদের ২০ জনের একটি দলের (প্রভোস্ট/ডীন/সিনিয়র শিক্ষক) সাথে এক চা চক্রে মিলিত হন। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী জামাতের আব্বাস আলী খান এবং গভর্নরের বেসামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী উপস্থিত ছিলেন। ভিসি সাজ্জাদ হোসাইনের উপস্থিতিতে তিনি (রাও) তাহাদের এবং শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেন। তিনি শিক্ষকদের ছাত্রদের শিক্ষালাভ অব্যাহত এবং শিক্ষাক্ষেত্রে শুন্যতা সৃষ্টি না করে তা ছাত্রদের বুঝাতে বলেন। তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বেসামরিক সরকার কাজ করে যাচ্ছে। একমাত্র মহিলা প্রভোস্ট হিসেবে আখতার ইমাম উপস্থিত ছিলেন। কলা অনুষদের ডীন ছিলেন মুনির চৌধুরী.[**]
শেখ মুজিবের পিতা মাতার পাশে আসগর খান
গন ঐক্য ফ্রন্ট ও তেহরিক ই ইশ্তেকলাল নেতা এয়ার মার্শাল আসগর খান দলের সাধারন সম্পাদক মোখলেসুজ্জামানকে সাথে নিয়ে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেখ মুজিবের পিতা মাতাকে দেখতে সেখানে যান। বেগম মুজিব হাসপাতালে আসগর খানকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি সেখানে ২০ মিনিট অবস্থান করেন এবং তাদের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। আসগর খান সেখানে উপস্থিত ৭ বছর বয়সী মুজিব পুত্র রাসেলকে আদর করেন। মুজিব পিতা আসগর খানকে তাহার পুত্রের সাথে সাক্ষাতের সুযোগ করিয়া দেয়ার অনুরোধ করেন। মুজিব মাতা ব্রঙ্কাইটিস ও হাঁপানি রোগে এবং পিতা আলসার, রক্তশূন্যতা, চক্ষু রোগে আক্রান্ত। তাদের দেখতে এটি কোন রাজনৈতিক নেতার হাসপাতালে প্রথম ও শেষ সাক্ষাৎ। [**]
কুমিল্লায় কলেরা
কুমিল্লায় ব্যাপক আকারে কলেরা দেখা দিয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গিয়েছে ৫০ জন। এর মধ্যে ডেটরা গ্রামে মারা গিয়েছে ১৮ জন। বাকীরা মারা গিয়েছে তার আশে পাশের গ্রামে। [**]
রদবদল
প্রদেশে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল হয়েছে।
আত্মসমর্পণ
সীমান্তে আত্মসমর্পণ শিবির গুলোতে ২৬০০ লোক আত্মসমর্পণ করেছে। এদের ৩৫ ভাগ সামরিক ও আধা সামরিক বেক্তি বাকীদের বেশীরভাগই আওয়ামী লীগ কর্মী।
গভর্নর সম্মেলন
পশ্চিম পাকিস্তানেও গভর্নর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে তবে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর অংশ নেননি।
প্রাদেশিক মন্ত্রীসভা
মন্ত্রীসভার বৈঠকে মন্ত্রীরা তাদের বেতন ও বাসভবন সজ্জার খরচ কমিয়ে দিয়েছে।
করাচীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভুট্টো বলেন দেশে রাজনৈতিক বন্দীর সংখ্যা কত তা তার জানা নাই তবে তিনি মনে করেন সরকারের গ্রেফতার যথেচ্ছ ভাবে হচ্ছে। তিনি বলেন সাধারন ক্ষমা সকলের জন্যই প্রযোজ্য হওয়া উচিত। যে সরকার জনগনের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা দিতে ইচ্ছুক এমন সরকার কেন এই রুপ সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে। শেখ মুজিব সম্পর্কে তিনি বলেন শেখ মুজিবের ভাগ্যে কি ঘটিবে তাহা সরকারের উপর নির্ভরশীল। মুজিবের ব্যাপারে তথ্যাদি সরকারের কাছেই রয়েছে। তাহার দল শেখ মুজিবের বিচার প্রকাশ্য হওয়াই সঠিক মনে করে। তবে মুজিবের বিচারের সাথে ভারতের সংশ্লিষ্টতা রহিয়াছে তাই মামলার ধরন বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নিতে পারে। [**]
কোসিগিনের বক্তব্য প্রসঙ্গে
করাচিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পিপিপি চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি পক্ষপাতদুষ্ট ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রভাম্বিত। ইহা দুঃখজনক যে সোভিয়েত ইউনিয়নের মত একটি বৃহৎ দেশ পাকিস্তানের মত একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টা নিতেছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতকে সমর্থন করিয়া আসিতেছে যাহা একটি বৃহৎ শক্তির উপযুক্ত ভুমিকা নয়। জুলফিকার আলী ভুট্টো প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে দেশের সংকট সমাধানে ৪ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন। [**]
৪ মন্ত্রীর সম্বর্ধনা
দিলকুশা শান্তি কমিটির উদ্যোগে গভর্নরের মন্ত্রী পরিষদের ৪ জন সদস্য প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী জনাব আববাস আলী খান, রাজস্ব মন্ত্রী জনাব মওলানা একেএম ইউসুফ, শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী জনাব এএসএম সোলায়মান এবং সাহায্য ও পূর্নবাসন দফতরের মন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল হক এর সম্মানার্থে কার্জন হলে আয়োজিত এক সম্বর্ধনা দেয়া হয়। সম্বর্ধনা সভায় পূর্ব পাকিস্তান জামাতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম সভাপতিত্ব করেন। সংবর্ধনা সভায় পাকিস্তানকে ধ্বংস করার ব্যাপারে ভারতীয় ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রী আব্বাস আলী খান বলেন স্বাধীনতার নামে পূর্ব পাকিস্তানকে ভারত বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন তারা কেন পশ্চিম বঙ্গকে স্বাধীনতা দিচ্ছে না। এ এস এম সলায়মান বলেন কেউ বাংলার মুসলমানদের এমনি এমনি করে পাকিস্তান দিয়ে দেয়নি। তিনি বলেন পাকিস্তান অর্জনে সবচে বেশী ত্যাগ স্বীকার করেছে পূর্ব পাকিস্তানীরা।তিনি বলেন মুসলমানদের দাবী অনুযায়ী ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হয়েছিল এবং ঢাকায় রাজধানী হয়েছিল। তিনি বলেন হিন্দুদের ষড়যন্ত্রে বঙ্গভঙ্গ রদ করে কলকাতায় রাজধানী পুনর্বহাল হয়েছিল। তিনি বলেন ১৯৪০ সালে বাঙালী শেরে বাংলাই লাহোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারপর ৭ বছর পর আমরা পাকিস্তান অর্জন করেছি। তিনি বলেন পূর্ব বঙ্গের জনগন তাদের অর্জিত পাকিস্তান বিভক্ত হতে দেবে না। অধ্যাপক শামসুল হক বলেন স্বাধীন বাংলা গঠনে ভারতের যে ষড়যন্ত্র রয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ভারতের দুরভিসন্ধি ফাস হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে তারা জাতিসংঘ রেডক্রস সাংবাদিক মানবতাবাদীদের তাদের দেশে ঢুকতে দিচ্ছে না। তারা শরণার্থী সংখ্যা অনেক বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলছে। তিনি বলেন পূর্ব পাকিস্তান কে বিচ্ছিন্ন করার জন্য জনগন আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি। এ কে এম ইউসুফ তার ভাষণে বলেছেন পাকিস্তান যখন সৃষ্টি হয় তখন এ অঞ্চলে মাত্র একজন সিএসপি মানের অফিসার ছিল। এসডিও হওয়ার মত কোন অফিসার ছিল না। কিন্তু পাকিস্তান হাসেল হওয়ার পর এসব যোগ্য অফিসার আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরীতে ক্রমান্বয়ে আমাদের লোক বাড়ছিলো। কিন্তু আমাদের সুখ সমৃদ্ধি ভারতের সহ্য হয়নি তারা আমাদের সন্তানদের বিভ্রান্ত করে বিপথে যেতে বাধ্য করেছে। তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে বিপদের মুখে নিক্ষেপ করছে। তিনি বলেন আওয়ামী লীগের ভিতরে পাকিস্তান পন্থী নেতারা দলের চক্রান্ত বুঝতে পারেনি। আওয়ামী লীগ নির্বাচনের আগেই বক্তৃতা বিবৃতিতে বিচ্ছিন্নতার আভাষ দিয়েছিল। সভাপতির ভাষণে জামাত প্রধান গোলাম আজম বলেছেন ভারত তার সৈন্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করে শ্রী তাজউদ্দীনের হাতে তুলে দেবে এমন ভাবার কোন অবকাশ নেই। [***]
ভারত সোভিয়েত যুক্ত ইস্তেহার
ইন্দিরা গান্ধীর সফর শেষে প্রকাশিত যুক্ত ইস্তেহারে ক্রেমলিন ভারত মহাসাগরীয় এলাকাকে শান্তির এলাকা পরিনত করার ভারতীয় প্রস্তাব সমর্থন করে এবং এই লক্ষে অন্যান্য বৃহৎ শক্তির সহিত অংশ নিতে প্রস্তুত আছে। ভারতের এই প্রস্তাব বিগত লুসাকা জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে সমর্থিত হইয়াছিল। যুক্ত ইস্তাহারে বলা হয় উভয় দেশ পারস্পরিক সংযোগ রক্ষায় এবং উপমহাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে মতামত অব্যাহত রাখিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখিতে সম্মত হইয়াছে।
সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী কোসিগীন বলেন তার দেশ উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বদ্ধপরিকর। তিনি খুব শক্ত ভাষায় বলেন “সকলের ওপরে পাকিস্তানের কর্তব্য এমন অবস্থা সৃষ্টি করা যাতে করে শরণার্থীগন বিনা ভয়ে দেশে ফিরতে পারে এবং বিশ্বাস সৃষ্টি করা যে ভবিষ্যতেও তাদের ওপর অত্যাচার হবে না। তিনি বাংলাদেশের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান কামনা করেন। ইন্দিরা গান্ধী বলেন বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় এর সাড়া আশানুরূপ নয় তাহারা এই বিষয়ে অবহেলা করছে।
ক্রেমলিন ভারত সরকা্রের ব্রেজনেভ এবং কোসিগিনের ভারত সফরের আমন্ত্রন গ্রহন করিয়াছেন। ইন্দিরা গান্ধী মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেন। [****]

জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে সরন সিং
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরন সিং জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে বলেন শরণার্থী আগমনের ঢেউ রোধে ইয়াহিয়া ইন্দিরা আলোচনা কোন সহায়ক হতে পারে না। তিনি দৃঢ়তার সহিত বলেন ইহা পাক ভারত সমস্যা নহে। ভারত এরুপ একটি সমস্যা সৃষ্টি করতেও চাহেনা। আলোচ্য সূচীর বাহিরে এ বক্তব্য প্রদান করেন সরন সিং। সরন সিং গতকাল প্রকাশ করেন যে ইয়াহিয়া খান দু দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ভারত বেআইনী আওয়ামী লীগ বা তার দেশের জনগনের পক্ষ হয়ে কথা বলতে পারেনা। ভারত আওয়ামী লীগের বা পূর্ব বাংলার (পাকিস্তানের) জনগনের পক্ষ হয়ে কথা বলতে পারেনা। তিনি বলেন অবাক লাগে যে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান স্বয়ং কেন বাংলাদেশ নেতার সহিত কথা বলতে চাহেন না। [****]
জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে মাহমুদ আলী
জাতিসংঘের সাধারন পরিষদে পাকিস্তান প্রতিনিধিদলের দলনেতা মাহমুদ আলী বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে আলাপ আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন। তিনি মিশর, মরক্কো, তাঞ্জানিয়া, কঙ্গো, নরওয়ে এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেন। তিনি আরব দেশ সমুহের গ্রুপের সহিত সাক্ষাত করে পূর্ব পাকিস্তান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন। এই সময়ে তার সাথে জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আগা শাহী উপস্থিত ছিলেন। [**]
আলেক ডগলাস হোম

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আলেক ডগলাস হোম এই দিন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তের ওপর বিশ্ব উদ্বেগের সঙ্গে নজর রাখছে। এই পরিস্থিতি দুটি দেশকেই তাদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও যুদ্ধে ঠেলে দিতে পারে। পাকিস্তানের সমস্যার ফলে শরণার্থী সংকটের কারণে ভারতের ওপর তীব্র অর্থনৈতিক চাপ পড়েছে। পূর্ববঙ্গেও দুর্ভিক্ষের অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানেও ব্যাপক হারে সাহায্য প্রয়োজন।[**]
দুই ব্রিটিশ এমপি
ব্রিটেনের দুই সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল অবস্থা সমীক্ষার জন্য এ দিন ঢাকায় পৌঁছায়। তাঁদের একজন কনজারভেটিভ পার্টির, অন্যজন লেবার পার্টির।
সুত্রঃ
[*] স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র ১০ম খণ্ড
[**] পূর্ব পাকিস্তানের সকল পত্রিকা ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
[***] দৈনিক সংগ্রাম ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
[****] যুগান্তর, কালান্তর ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৭১

Prepared by Salah Uddin