You dont have javascript enabled! Please enable it!

সত্তরের সাধারণ নির্বাচন মহাপ্রলয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

উনসত্তরের গণআন্দোলন-পরবর্তী পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের শাসনতান্ত্রিক সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৬৯ সালের ১০ মার্চ রাওয়ালপিণ্ডিতে সর্বদলীয় গােলটেবিল বৈঠক আহ্বান করেন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান। পাকিস্তানব্যাপী তখন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকার ভিত্তিতে সাধারণ নির্বাচন এবং গণপরিষদ তথা জাতীয় সংসদে নতুন সংবিধান প্রবর্তনের দাবি সর্বজনীন ঐকমত্যরূপে প্রতিষ্ঠিত, সে দাবি প্রত্যাখ্যানের শক্তি পাকিস্তান সশস্ত্রবাহিনীর ছিল না। ওই গােলটেবিল বৈঠকে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আর জুলফিকার আলী ভুট্টো ছাড়া সব রাজনৈতিক দলের নেতারা যােগদান করেন। গােলটেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ ও ১১-দফা দাবির ভিত্তিতে পাকিস্তানের নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবিতে অটল থাকেন। গােলটেবিল বৈঠক ব্যর্থ হয়। ফলে ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পাকিস্তানের ক্ষমতার রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নেন । পাকিস্তানে আবার প্রত্যক্ষ সামরিক শাসন কবলিত হয়। জেনারেল ইয়াহিয়া খান প্রাপ্তবয়স্কদের ভােটাধিকারের ভিত্তিতে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ ও পশ্চিম পাকিস্তান প্রদেশ ভেঙে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান, পাঞ্জাব, সিন্ধু, উত্তরপশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ এবং বেলুচিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের জন্য ১৯৭০ সালের ৫ অক্টোবর পাকিস্তানের প্রথম সাধারণ নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ আর আইনগত কাঠামাে আদেশ জারি করেন। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক বন্যার জন্য প্রতিবাদের মুখে ৭ ডিসেম্বর জাতীয় আর ১৭ ডিসেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। এই নির্বাচন উপলক্ষে বেতার ও টেলিভিশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভাষণ প্রচারিত হয়। বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেন, আমাদের সংগ্রাম চলবেই। কারণ আমাদের মূল লক্ষ্যে আমরা এখনাে পৌছাইনি। জনগণকে ক্ষমতা অর্জন করতেই হবে। মানুষের ওপর মানুষের শােষণ, অঞ্চলের ওপর অঞ্চলের শােষণের অবসান ঘটাতেই হবে। আওয়ামী লীগের ৬দফা কর্মসূচি যা ১১-দফা কর্মসূচিতেও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, সে কর্মসূচি আঞ্চলিক অন্যায়-অবিচারের বাস্তব সমাধানের পথ নির্দেশ করেছে। আগামী  নির্বাচনে জাতীয় মৌলিক সমস্যাসমূহ, বিশেষ করে ৬ দফা ভিত্তিতে আমরা গ্রহণ করেছি। আমাদের ৬-দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে ফেডারেশনের ইউনিটসমূহকে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন মঞ্জুর করে অঞ্চলে অঞ্চলে সুবিচারের নিশ্চয়তা বিধান। করতে হবে। এ ধরনের গণতান্ত্রিক কাঠামাের আওতায় দেশে ‘সামাজিক বিপ্লবের জন্য প্রগতিশীল অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

দৈনিক পাকিস্তান, ২৯ অক্টোবর ১৯৭০)

আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনকে ৬-দফার ওপর রেফারেন্ডাম বা গণভােট ইস্যু করে নির্বাচনী প্রচারণায় জনগণের বিপুল সমর্থন লাভ করে। কিন্তু নির্বাচনের আগে পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলবর্তী অঞ্চলসমূহ এক ব্যাপক জানমাল বিধ্বংসী প্রলংকর মহাপ্রলয়ের শিকার হয়। নির্বাচনের প্রস্তুতির মুখে ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর উপকূলবর্তী অঞ্চলে বিশেষত পটুয়াখালী, নােয়াখালী, চট্টগ্রামের উপকূলবর্তী অঞ্চল ও দ্বীপসমূহে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ সাইক্লোন ও জলােচ্ছ্বাস আঘাত হানে। এই মহাপ্রলয়ে ওইসব অঞ্চলে অন্তত ১০ লাখ মানুষ ভেসে যায় এবং সমস্ত ‘জনপদ সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রকৃতির এই নিষ্ঠুরতাকে ছাপিয়ে যায় পাকিস্তান সরকারের হৃদয়হীন ঔদাসীন্য ও অবহেলা। পাকিস্তানের প্রচার মাধ্যমগুলাে ইতিহাসের এই ভয়াবহতম ট্রাজেড়িকে গোপন করতে ও চাপা দিতে চেষ্টা করে; কিন্তু বিদেশের প্রচার মাধ্যমগুলাের মাধ্যমে বিশ্ববাসী ওই ট্র্যাজেডির খবর জানতে পেরে ত্রাণ ও সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসে। ১৮ নভেম্বর মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী দুর্গত অঞ্চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার জাহাজ পতেঙ্গায় থামিয়ে রাখা হয়। অবশেষে মওলানা সাহেব দুর্গত অঞ্চল সফর শেষে ১৯৭০ সালের ২৩ নভেম্বর পল্টনে এক বিরাট জনসভায় বিপর্যয়ের বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, বাঙালির জীবনে আজ মহাদুঃখের দিন। আমাদের জীবনে নেমে এসেছে মহাদুর্যোগ। বিধ্বস্ত বিরাণ উন্মুক্ত আকাশের নিচে আমাদের অগণিত মা-বােন উলঙ্গ হয়ে পড়ে আছে। বিরাণ জনপদে কোথাও কাপড় নেই, এই শীতের দিনে ধনী-গরিব কারো | মাথা গোজার ঘর নেই। হজরত নূহের আমলের পর এতাে বড় প্রলয়কাণ্ড মানুষের ইতিহাসে ঘটেনি। পূর্ব বাংলার উপকূলে ১০ লাখ থেকে ১২ লাখ নরনারী ও শিশু প্রাণ হারিয়েছে; কিন্তু মহাধ্বংসযজ্ঞের ১০ দিন পরও প্রায় ৪ লাখ লাশ পড়ে আছে। এদের দাফনের কোনাে ব্যবস্থা নেই। গলিত লাশ ও মরা পশুর দুর্গন্ধের। মধ্যে যারা এখনো আর্তনাদ করচে, আল্লাহর কৃপাতেই তারা বেঁচে আছে।

(দৈনিক পাকিস্তান, ২৪ নভেম্বর ১৯৭০)

১৯৭০ সালের ২৩ নভেম্বর পল্টনে অনুষ্ঠিত জনসভায় মওলানা ভাসানী পাকিস্তান। সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন এবং ‘পূর্ব পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ ধ্বনি দেন। 

মহাপ্রলয়ের সময় বঙ্গবন্ধু নির্বাচনী প্রচারে যশাের অঞ্চলে ছিলেন। মহাপ্রলয়ের সংবাদ পাওয়া মাত্র বঙ্গবন্ধু উপদ্রুত অঞ্চলে রওনা দেন। একটি লঞ্চযােগে তিনি উপদ্রুত অঞ্চলে ১০ দিনব্যাপী সফর ও ত্রাণ বিতরণ শেষে ঢাকায় প্রত্যাবর্তনের পর এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিপর্যয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি ব্যাপকভাবে উদ্ধার ও রিলিফ কার্য শুরু হতাে, তাহলে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেয়েও অনাহার, শীত ও চিকিৎসার অভাবে যে হাজার হাজার লােকের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব হতাে। নৌবাহিনী যদি অবিলম্বে উপদ্রুত এলাকায় যেতাে, তাহলে তারা সাগরে ভেসে। যাওয়া হাজার হাজার লােককে বাঁচাতে পারত । এ ধরনের রিলিফ ও উদ্ধারকার্য শুরু করতে ব্যর্থ হওয়া ক্ষমাহীন অপরাধ । ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত জনগণের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০ দিন সময় লেগেছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর অবহেলা ও বৈষম্যমূলক আচরণের জন্য আমি তাদের দায়ী করছি। জাতীয় সংহতির প্রবক্তা ও ইসলামের স্বনিৰ্বাচিত ধ্বজাধারী মাওলানা মওদুদী, খান আবদুল কাইয়ুম খান, মিয়া মমতাজ দৌলতানা, নওয়াবজাদী। নসরুল্লাহ তারা আজ কোথায়? উপদ্রুত জনগণের প্রতি সহানুভূতি জানানাের উদ্দেশ্যে একদিনের জন্যও তারা বাংলাদেশে আসার সময় পাননি। আমরা এখন। নিশ্চিত যে, প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার হাত থেকে বাংলাদেশের জনগণকে বাঁচাতে হলে ৬-দফা আর ১১-দফার ভিত্তিতে আমাদের পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন অর্জন করতেই হবে। নির্বাচন যদি বানচাল করা না হয়, তাহলে নির্বাচনের মাধ্যমেই বাংলাদেশ তার রায় জানিয়ে দেবে। আর নির্বাচন যদি হয়, তাহলে আমরা যাতে মুক্ত জনতা হিসেবে বাঁচতে পারি এবং বাংলাদেশ যাতে নিজের ভাগ্য নিজে নির্ধারণ করতে পারে, তার জন্য প্রয়ােজন হলে আরাে ১০ লাখ প্রাণ বিসর্জন দেবে।

(দৈনিক পাকিস্তান, ২৭ নভেম্বর ১৯৭০)

বস্তুত ‘সত্তরের মহাপ্রলয় বাংলাদেশের মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রে তাদের করুণ অবস্থা। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের সময় অরক্ষিত পূর্ব পাকিস্তান প্রথম অনুভব করতে পেরেছিল তাদের নিরাপত্তাহীন; কিন্তু তখন ভারত পূর্ব পাকিস্তান আক্রমণ না করায় যথাযথভাবে পরিস্থিতি অনুধাবন করা যায়নি। ১৯৭০ সালের মহাপ্রলয় আর পূর্ব বাংলার মানুষের প্রতি পাকিস্তানি শাসক-শােষকদের চরম উপেক্ষা ও উদাসীনতা বাঙালিদের ভালাে করে বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, তাদের চরম দুঃখ-দুর্দশায় পাকিস্তানের হর্তাকর্তা বিধাতাদের কিছুই আসে-যায় না। ‘৭০-এর মহাপ্রলয়ের পর বিশ্ববাসী এগিয়ে এসেছিল সাহায্য ও ত্রাণ নিয়ে, এমনকি মহাপ্রলয়ে নিহত অগণিত মানুষের লাশ দাফন করেছিল সিঙ্গাপুর। থেকে ব্রিটিশ রাজকীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজে এসে ব্রিটিশ নাবিকরা। পৃথিবীর সম্পদশালী দেশগুলাে কার্গো বিমানযোগে সরাসরি টাকায় বিপুল পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছিল; কিন্তু তেজগা বিমানবন্দর সব বিমানকে নামতে দিতে পারেনি ফলে অনেক দেশের বিমান পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ত্রাণসামগ্রী করাচি বিমানবন্দরে পৌছে দিয়েছিল। সেসব ত্রাণ অবশ্য পূর্ব পাকিস্তানে আসেনি, পশ্চিম পাকিস্তান সেগুলাে আত্মসাত করেছিল। ‘৭০-এর নির্বাচনের ফলাফল ৬-দফা ও ১১-দফা ছাড়িয়ে ১দফা অর্থাৎ পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে ছিল গণরায়। আর সেজন্যই সেই গণরায় উপেক্ষিত হলে অভূতপূর্ব অসহযােগ আন্দোলন হয়েছিল। ‘৭১-এর নির্বাচনের রায়কে যারা কেবল ৬দফার ভিত্তিতে পাকিস্তানের মধ্যে স্বায়ত্তশাসনের রায় হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, তারা ইতিহাসের ওই রায়কে বিকৃত করেন।

‘৭০-এর মহাপ্রলয়ে ত্রাণকার্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকসমাজ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ত্রাণ সংগ্রহ করে শিক্ষক প্রতিনিধিরা লঞ্চযােগে পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে মহাপ্রলয়ে বিপর্যস্ত কয়েকটি গ্রামে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কাজ সম্পন্ন করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত ছিল, সেটা মুলতবি রেখে তারা ত্রাণকাজে নেমে পড়েন। পরে অবশ্য তারা আবার সক্রিয়ভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যােগ দিয়েছিলেন। ষাটের দশকের ছাত্রনেতাদের অনেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হয়েছিলেন। তবে উল্লেখ্য যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও ‘৭০-এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি, যদিও সামরিক স্বৈরাচারবিরােধী অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তারা ছিলেন পথিকৃৎ। এতে বােঝা যায়, দলীয় রাজনীতিতে শিক্ষকসমাজের আগ্রহ ছিল না, যদিও বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে তারা বরাবর সােচ্চার ছিলেন | আটচল্লিশ ও বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক সমাজকে এক অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদী চেতনায় অভিষিক্ত করেছিল। ষাটের দশকে পাকিস্তান সামরিক স্বৈরশাসনের প্রেক্ষাপটে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরনের সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ অধ্যাপকদের ‘টু ইকনমি থিওরি বঙ্গবন্ধুর ছয়দফার ভিত্তি ছিল । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিসচেতন শিক্ষকগণ দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন, পূর্ববাংলার মানুষের বিস্মৃত জাতিসত্তা বা বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষে যা মন্ত্রের মতাে কাজ করেছে। ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ও রূপান্তরে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রফেসর মুহম্মদ আবদুল হাই, প্রফেসর মুনীর চৌধুরী, প্রফেসর মােফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর যে ভূমিকা তার যথাযথ মূল্যায়ন আজও হয়নি তবে একাত্তরের বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের মীরজাফরদের বুদ্ধিজীবী নিধনের তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাধান্য তার অকাট্য প্রমাণ ।  

সূত্র : স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় – রফিকুল ইসলাম

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!