সংসদে প্রশ্নোত্তর: কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণের উদ্যোগ
সংসদ ভবন: প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে সরকার ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পরিকল্পনা হতে নিয়েছেন। আজ বিকালে সংসদে সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী জনাব ইউসুফ আলী এই তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি বলেন সরকার কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনার ৪টি বহুমুখী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং ২০০ বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণের প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, থানা পর্যায়ে বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে। সংসদে শিক্ষামন্ত্রী জানান পরিকল্পিত ৪টি বহুমুখী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি জয়দেবপুরে স্থাপন করা হচ্ছে। জয়দেবপুরে বহুমুখী কারিগরি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণের কাজ চলছে। বাকী ৩টি প্রতিষ্ঠানের স্থান এখনও চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয়নি। বাকী ৩টি প্রতিষ্ঠান দুটি টাঙ্গাইল এবং পটুয়াখালীর সদরে স্থাপনের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ৪টি বহুমুখী কারিগরি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি মেয়েদের জন্য স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ১০টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ৪টি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে অনুমােদনের অপেক্ষায় রয়েছে। কারিগরি শিক্ষার ডাইরেক্টরেটের বাকী ৬টিবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। বলেও তিনি জানান। সংসদ ভবনে সংসদ সদস্য জনাব আবদুল্লাহ সরকারের (আওয়ামী লীগকুমিল্লা) অন্য এক প্রশ্নের জবাবে জনাব ইউসুফ আলী বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও মহকুমার সদরে ৪৭টি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে। স্টেডিয়ামগুলাের নির্মাণের কাজ শেষ হলেই বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতে নবদিগন্তের সূচনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ৮৭টি স্টেডিয়ামের মধ্যে ২০টি জেলা সদরে এবং বাকীগুলাে মহকুমা সদরে নির্মাণের কাজ চলছে। স্টেডিয়ামগুলাের নির্মাণের কাজ শেষ হলেই বাংলাদেশের ক্রীড়া জাগতে নবদিগন্তের সূচনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ৪৭টি স্টেডিয়ামের মধ্যে ২০টি জেলা সদরে।
শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী বলেন, ১১২ টি বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা সরকার অনুমােদন করেছেন। এবং বাকী প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠানগুলাের স্থান নির্বাচনের কাজ চলছে। সংসদ সদস্য জনাব আবদুল আওয়ালের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, থানা পর্যায়ে বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য সরকারের পরিকল্পনা হাতে রয়েছে। মার্কিন সাহায্য কর্মসূচির আওতায় কোন স্কুল বা কলেজ নির্মাণের জন্য আনা হয়েছে। কিনা এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৬৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মার্কিন সাহায্য কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। অধিকাংশ স্কুল ও কলেজ স্বাধীনতা। সংগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, বিধস্ত স্কুল কলেজগুলােকে পুনঃনির্মাণের জন্য মার্কিন সাহায্য কর্মসূচি সাড়ে ৩ কোটি ডলার বরাদ্দ করেছে। ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে বিধস্ত স্কুল কলেজগুলাের পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সংসদ অধিবেশনে যােগাযােগমন্ত্রী এম মনসুর আলী বলেন, চলতি আর্থিক সালে ৬০০ ডাকঘর স্থাপনের পরিকল্পনা সরকার হাতে নিয়েছেন।৬৯
রেফারেন্স:
২২ নভেম্বর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত