You dont have javascript enabled! Please enable it! 1974.11.18 | প্রকৃত মৎস্যজীবী ছাড়া আর কাউকে জলমহলে পত্তন দেয়া হবে না | বাংলার বাণী - সংগ্রামের নোটবুক

প্রকৃত মৎস্যজীবী ছাড়া আর কাউকে জলমহলে পত্তন দেয়া হবে না

ঢাকা: প্রকৃত মৎস্যজীবী সমিতিগুলােকে জলমহলে পত্তন দেয়া হবে। রবিবার বিকালে স্থানীয় কারিগরি মিলনায়তনে বাংলাদেশ মৎস্যজীবী সমিতির প্রথম জাতীয় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণদানকালে ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রী শ্রী ফণীভূষণ মজুমদার একথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, কোনাে বিত্তশালী বা প্রভাবশালী ব্যক্তিকে জলমহলে পত্তন দেয়া হবে না। এ সম্পর্কে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, সমবায় সমাজতন্ত্র উত্তরণের প্রাথমিক স্তর। বর্তমান সমবায় সমিতিগুলাে ভুলত্রুটি থাকলেও তা সংশােধন করে সমবায় এর মাধ্যমেই সমাজতন্ত্রের পথ অতিক্রম করতে হবে। সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণদানকালে বন, মৎস্য ও পশুপালন দফতরের প্রতিমন্ত্রী জনাব রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের পতিত খাল, বিল-হাওরগুলােকে বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়ায় সংস্কার করার জন্য ৪ কোটি টাকার এক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়েও প্রচুর মৎস্য বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশের মৎস্যসম্পদ এবং মৎসজীবীদের উন্নতির জন্য সম্পূর্ণ ওয়াকিফহাল এবং এ পরিপ্রেক্ষিতে কিছু প্রকল্পে হাত দিয়েছেন। তিনি বলেন, সত্যিকারের মৎস্যজীবীরা যাতে শক্তিচালিত ইঞ্জিন ও জলযান পান তার জন্য প্রত্যেক থানায় স্থানীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মৎস্য ধরার সাথে তা বাজারজাত করতে হবে। এই লক্ষে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাক আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া মৎসকে পচন থেকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে খুব শীঘ্রই হিমাগার নির্মাণ করা হবে। তিনি বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য ধরার উন্নতিকল্পে সরকার গভীরভাবে চিন্তা করছেন। প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনায় সামুদ্রিক মৎস্য ধরার জন্য ৩৪টি ট্রলার বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে।৫৫

রেফারেন্স:

১৮ নভেম্বর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত