রূপগঞ্জ এলাকায় তাঁতীরা সমস্যায় পড়েছে
রূপগঞ্জ, ঢাকা: শান্তি ও শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় রূপগঞ্জ থানায় বিভিন্ন এলাকার তাঁতীগণ উদ্বেগজনক অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে এখানে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়। খবরে প্রকাশ, যে সব তাঁত শিল্পীর বাড়িতে অনেকগুলাে তাঁত আছে তারাই প্রকৃতপক্ষে ভাত ও সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
এ ব্যাপারে দৃষ্টান্তরূপে দুটি ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। ঈদের আগের দিন এবং ঈদের দুদিন পরে রূপগঞ্জ থানাধীন হােরগাঁও ও দারিয়াকান্দি গ্রামের দুটি বিশিষ্ট তাঁতী বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতি সংঘটিত হয়। দুবৃত্তরা সে দুই বাড়ি থেকে কয়েক হাজার টাকার সুতা ও সুতী বস্ত্র নিয়ে যায়।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং এর আগে থেকেই দুবৃত্তদের উৎপাত বৃদ্ধি পাওয়ায় রূপগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় তাঁতীরা রাতে তাদের সুতা এবং উৎপাদিত কাপড় বাড়িতে না রেখে ভােলতাসহ পার্শ্ববর্তী বাজারগুলাের বিভিন্ন মহাজনের গুদামে রাখেন। কারণ বাজারে পাহারাদার থাকে এবং বহু লােকজনও সজাগ থাকেন। আবার এজন্য তাঁতীদের পয়সাও দিতে হয়। মহাজনদেরকে তাদের গুদামের ভাড়া বাবদ।
এতদসঙ্গে আর একটি ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। অভিযােগে প্রকাশ, অনেক সময় যে সব তাতীর ১০ কাউন্টের তাঁত আছে তাদের একাউন্টের সামগ্রিক চাহিদার একচতুর্থাংশ সুতা দেয়া হয়। ফলে তারা অবশিষ্ট ২০ কাউন্টের সুতা অন্য তাঁতীর কাছ থেকে সংগ্রহ করেন যাদের ২০ কাউন্ট তাঁত নেই অথচ ২০ কাউন্টের সুতা পাচ্ছেন। অনুরূপভাবে ৩২, ৪০ কিংবা ৮০ কাউন্টের তাঁতের বেলাতেও তাই ঘটছে। সাধারণত বাংলাদেশ ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থা এবং সমবায় বিভাগ থেকে তাঁতীদের মধ্যে এরূপভাবে সুতা সরবরাহ করা হয়। এ অনিয়মের অবসান। ঘটানাের জন্য স্থানীয় তাঁতী সম্প্রদায় আবেদন জানাচ্ছেন।১৮
রেফারেন্স:
৫ নভেম্বর ১৯৭৪, বাংলার বাণী
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৪, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ও শাহজাহান মৃধা বেণু সম্পাদিত